alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

: রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হিমাগারে স্তূপ হয়ে আছে আলু। উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ও বাজারে চাহিদা কম থাকায় এ বছর আলুর দাম পড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। অনেক জায়গায় আধা লিটারের পানির দামে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মক লোকসানে পড়েছেন।

এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১৩ টাকা, আর হিমাগারে সংরক্ষণসহ মোট খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩ টাকা। কিন্তু বাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ টাকায়। ফলে প্রতি কেজিতে ১৫ টাকারও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

এই অবস্থার প্রধান কারণ অতিরিক্ত উৎপাদন। গত বছরের তুলনায় এ বছর জয়পুরহাটে ৬৮০ হেক্টর জমিতে বেশি আলু চাষ হয়েছে। মোট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে দাম পড়ে গেছে। হিমাগারেও দেখা দিয়েছে সংকট। অনেক হিমাগারে এখনো হাজার হাজার বস্তা আলু পড়ে আছে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বারবার আলু তুলতে বললেও কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

অন্তর্বর্তী সরকার এ অবস্থায় হিমাগারের গেটে ২২ টাকা কেজি দরে আলু কেনার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে হতাশা বাড়ছে। অনেক কৃষক বলছেন, সরকার কিনবে ভেবে আলু বিক্রি করিনি। এখন সব আলু হিমাগারে পড়ে আছে, আর লোকসান বাড়ছে।

দেশজুড়ে একই চিত্র। মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী-সব জায়গায় আলুর দাম পড়েছে। গত বছর যেখানে আলুর দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। ফলে কৃষকেরা উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেক কৃষক আলু চাষ কমিয়ে অন্য ফসলে ঝুঁকতে চাইছেন। এতে আগামী মৌসুমে আলুর উৎপাদন কমে যেতে পারে।

আলু দেশের প্রধান খাদ্যশস্যগুলোর একটি। কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিত না হলে এ খাত বড় সংকটে পড়বে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত আলু কেনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা এবং রপ্তানির পথ খুলে দেওয়া। তা না হলে কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয়েরই ক্ষতি বাড়বে, আর দেশের কৃষি অর্থনীতিতে দেখা দেবে নতুন এক ধস।

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হিমাগারে স্তূপ হয়ে আছে আলু। উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ও বাজারে চাহিদা কম থাকায় এ বছর আলুর দাম পড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। অনেক জায়গায় আধা লিটারের পানির দামে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মক লোকসানে পড়েছেন।

এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১৩ টাকা, আর হিমাগারে সংরক্ষণসহ মোট খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩ টাকা। কিন্তু বাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ টাকায়। ফলে প্রতি কেজিতে ১৫ টাকারও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

এই অবস্থার প্রধান কারণ অতিরিক্ত উৎপাদন। গত বছরের তুলনায় এ বছর জয়পুরহাটে ৬৮০ হেক্টর জমিতে বেশি আলু চাষ হয়েছে। মোট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে দাম পড়ে গেছে। হিমাগারেও দেখা দিয়েছে সংকট। অনেক হিমাগারে এখনো হাজার হাজার বস্তা আলু পড়ে আছে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বারবার আলু তুলতে বললেও কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

অন্তর্বর্তী সরকার এ অবস্থায় হিমাগারের গেটে ২২ টাকা কেজি দরে আলু কেনার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে হতাশা বাড়ছে। অনেক কৃষক বলছেন, সরকার কিনবে ভেবে আলু বিক্রি করিনি। এখন সব আলু হিমাগারে পড়ে আছে, আর লোকসান বাড়ছে।

দেশজুড়ে একই চিত্র। মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী-সব জায়গায় আলুর দাম পড়েছে। গত বছর যেখানে আলুর দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। ফলে কৃষকেরা উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেক কৃষক আলু চাষ কমিয়ে অন্য ফসলে ঝুঁকতে চাইছেন। এতে আগামী মৌসুমে আলুর উৎপাদন কমে যেতে পারে।

আলু দেশের প্রধান খাদ্যশস্যগুলোর একটি। কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিত না হলে এ খাত বড় সংকটে পড়বে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত আলু কেনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা এবং রপ্তানির পথ খুলে দেওয়া। তা না হলে কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয়েরই ক্ষতি বাড়বে, আর দেশের কৃষি অর্থনীতিতে দেখা দেবে নতুন এক ধস।

back to top