কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানের ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো ফল না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধু পোকার রাজত্ব।
উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। অতিরিক্ত গরম ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে কারেন্ট পোকা ও গোড়া পচন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক ও মোবাইল ফোনে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।
তবে বাস্তব চিত্র ভয়াবহ। বেশির ভাগ মাঠেই দেখা যাচ্ছে পোকার আক্রমণ। বাজার থেকে নানা কোম্পানির কীটনাশক কিনে ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং বারবার স্প্রে করার কারণে কৃষকদের খরচ বাড়ছে। অনেকেই বলছেন, আগের বছরে তিনবার স্প্রে করলেই ফসল ভালো থাকত, এবার তিনবার করেও ধান বাঁচানো যাচ্ছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক কৃষক অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করছেন না। দোকানদারের পরামর্শে সিনথেটিক পাইরিথ্রয়েড জাতের ওষুধ ব্যবহার করায় পোকা দমন না হয়ে আরও বেড়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, “যেসব কৃষক আমাদের পরামর্শ মেনে কীটনাশক ব্যবহার করেছেন, তাদের জমিতে পোকার আক্রমণ তুলনামূলক কম। অন্যরা দোকানদারের কথায় ভুল ওষুধ ব্যবহার করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”
এদিকে, অতিমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারে নতুন বিপদও তৈরি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ঈশা খান বলেন, “অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে এসব বিষাক্ত রাসায়নিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করে হার্ট, কিডনি, লিভার ও স্নায়ুর ক্ষতি করছে। জমির উর্বরতাও নষ্ট হচ্ছে।”
সব মিলিয়ে কটিয়াদীর কৃষকেরা এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। সময়মতো পোকা দমন না হলে এবারের আমন মৌসুমে বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এখনই প্রয়োজন সঠিক পরামর্শ, নিরাপদ কীটনাশক ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানের ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো ফল না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধু পোকার রাজত্ব।
উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। অতিরিক্ত গরম ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে কারেন্ট পোকা ও গোড়া পচন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক ও মোবাইল ফোনে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।
তবে বাস্তব চিত্র ভয়াবহ। বেশির ভাগ মাঠেই দেখা যাচ্ছে পোকার আক্রমণ। বাজার থেকে নানা কোম্পানির কীটনাশক কিনে ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং বারবার স্প্রে করার কারণে কৃষকদের খরচ বাড়ছে। অনেকেই বলছেন, আগের বছরে তিনবার স্প্রে করলেই ফসল ভালো থাকত, এবার তিনবার করেও ধান বাঁচানো যাচ্ছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক কৃষক অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করছেন না। দোকানদারের পরামর্শে সিনথেটিক পাইরিথ্রয়েড জাতের ওষুধ ব্যবহার করায় পোকা দমন না হয়ে আরও বেড়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, “যেসব কৃষক আমাদের পরামর্শ মেনে কীটনাশক ব্যবহার করেছেন, তাদের জমিতে পোকার আক্রমণ তুলনামূলক কম। অন্যরা দোকানদারের কথায় ভুল ওষুধ ব্যবহার করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”
এদিকে, অতিমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারে নতুন বিপদও তৈরি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ঈশা খান বলেন, “অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে এসব বিষাক্ত রাসায়নিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করে হার্ট, কিডনি, লিভার ও স্নায়ুর ক্ষতি করছে। জমির উর্বরতাও নষ্ট হচ্ছে।”
সব মিলিয়ে কটিয়াদীর কৃষকেরা এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। সময়মতো পোকা দমন না হলে এবারের আমন মৌসুমে বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এখনই প্রয়োজন সঠিক পরামর্শ, নিরাপদ কীটনাশক ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান।