alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

: রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানের ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো ফল না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধু পোকার রাজত্ব।

উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। অতিরিক্ত গরম ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে কারেন্ট পোকা ও গোড়া পচন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক ও মোবাইল ফোনে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।

তবে বাস্তব চিত্র ভয়াবহ। বেশির ভাগ মাঠেই দেখা যাচ্ছে পোকার আক্রমণ। বাজার থেকে নানা কোম্পানির কীটনাশক কিনে ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং বারবার স্প্রে করার কারণে কৃষকদের খরচ বাড়ছে। অনেকেই বলছেন, আগের বছরে তিনবার স্প্রে করলেই ফসল ভালো থাকত, এবার তিনবার করেও ধান বাঁচানো যাচ্ছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক কৃষক অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করছেন না। দোকানদারের পরামর্শে সিনথেটিক পাইরিথ্রয়েড জাতের ওষুধ ব্যবহার করায় পোকা দমন না হয়ে আরও বেড়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, “যেসব কৃষক আমাদের পরামর্শ মেনে কীটনাশক ব্যবহার করেছেন, তাদের জমিতে পোকার আক্রমণ তুলনামূলক কম। অন্যরা দোকানদারের কথায় ভুল ওষুধ ব্যবহার করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”

এদিকে, অতিমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারে নতুন বিপদও তৈরি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ঈশা খান বলেন, “অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে এসব বিষাক্ত রাসায়নিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করে হার্ট, কিডনি, লিভার ও স্নায়ুর ক্ষতি করছে। জমির উর্বরতাও নষ্ট হচ্ছে।”

সব মিলিয়ে কটিয়াদীর কৃষকেরা এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। সময়মতো পোকা দমন না হলে এবারের আমন মৌসুমে বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এখনই প্রয়োজন সঠিক পরামর্শ, নিরাপদ কীটনাশক ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান।

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানের ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো ফল না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধু পোকার রাজত্ব।

উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। অতিরিক্ত গরম ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে কারেন্ট পোকা ও গোড়া পচন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক ও মোবাইল ফোনে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।

তবে বাস্তব চিত্র ভয়াবহ। বেশির ভাগ মাঠেই দেখা যাচ্ছে পোকার আক্রমণ। বাজার থেকে নানা কোম্পানির কীটনাশক কিনে ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং বারবার স্প্রে করার কারণে কৃষকদের খরচ বাড়ছে। অনেকেই বলছেন, আগের বছরে তিনবার স্প্রে করলেই ফসল ভালো থাকত, এবার তিনবার করেও ধান বাঁচানো যাচ্ছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক কৃষক অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করছেন না। দোকানদারের পরামর্শে সিনথেটিক পাইরিথ্রয়েড জাতের ওষুধ ব্যবহার করায় পোকা দমন না হয়ে আরও বেড়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, “যেসব কৃষক আমাদের পরামর্শ মেনে কীটনাশক ব্যবহার করেছেন, তাদের জমিতে পোকার আক্রমণ তুলনামূলক কম। অন্যরা দোকানদারের কথায় ভুল ওষুধ ব্যবহার করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”

এদিকে, অতিমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারে নতুন বিপদও তৈরি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ঈশা খান বলেন, “অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে এসব বিষাক্ত রাসায়নিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করে হার্ট, কিডনি, লিভার ও স্নায়ুর ক্ষতি করছে। জমির উর্বরতাও নষ্ট হচ্ছে।”

সব মিলিয়ে কটিয়াদীর কৃষকেরা এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। সময়মতো পোকা দমন না হলে এবারের আমন মৌসুমে বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এখনই প্রয়োজন সঠিক পরামর্শ, নিরাপদ কীটনাশক ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান।

back to top