মানিকগঞ্জ জেলার সাতটি উপজেলায় ২৮৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের সনদ নবায়ন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবছর নতুন নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে, বাড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু অগ্নি-নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে মালিকদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান সনদ না নিয়েই কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশতি হয়েছে।
শহরের কেন্দ্রের অনেক বড় প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ফায়ার সার্ভিসের নিয়ম ভঙ্গ করেও শাস্তি পায় না। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ কেবল নোটিস দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন। ফলে জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপরিবেশ অগ্নি-ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে মানিকগঞ্জে ২৩২টি এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আরও ১৪৬টি অগ্নিকা- ঘটেছে। অনেক ভবনে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, পানির উৎস বা নির্গমন পথ নেই। তাই ৩০টি বড় বাণিজ্যিক ভবনকে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
লাইসেন্স নবায়ন না করা কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াটি জটিল ও ব্যয়বহুল। কেউ কেউ আবার নবায়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেই অবগত নন। ফলে অনেকেই লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই অবস্থা কেবল মানিকগঞ্জ জেলার নয়। দেশের অনেক স্থানেই এমনটা ঘটছে। প্রতিদিন নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে, নানান স্থাপনা হচ্ছে, কিন্তু কেউ ফায়ার সেফটি নিয়ে ভাবছে না। আগুন না লাগা পর্যন্ত যেন কারো ঘুম ভাঙবে না। অনেক প্রতিষ্ঠানই যেন এক সুপ্ত আগ্নেয়গিরির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
অগ্নিঝুঁকি রোধে প্রশাসনের কার্যকর নজরদারি, জরিমানার বাস্তব প্রয়োগ, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা আইনবিরুদ্ধ। ফায়ার সার্ভিস চাইলে মামলা করতে পারে। তাহলে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।
মানিকগঞ্জের এই অবস্থা সংশ্লিষ্টদেরকে সতর্ক করবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা আমাদের আশা। ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন নিশ্চিত করা, নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং জনসচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জ জেলার সাতটি উপজেলায় ২৮৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের সনদ নবায়ন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবছর নতুন নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে, বাড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু অগ্নি-নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে মালিকদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান সনদ না নিয়েই কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশতি হয়েছে।
শহরের কেন্দ্রের অনেক বড় প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ফায়ার সার্ভিসের নিয়ম ভঙ্গ করেও শাস্তি পায় না। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ কেবল নোটিস দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন। ফলে জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপরিবেশ অগ্নি-ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে মানিকগঞ্জে ২৩২টি এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আরও ১৪৬টি অগ্নিকা- ঘটেছে। অনেক ভবনে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, পানির উৎস বা নির্গমন পথ নেই। তাই ৩০টি বড় বাণিজ্যিক ভবনকে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
লাইসেন্স নবায়ন না করা কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াটি জটিল ও ব্যয়বহুল। কেউ কেউ আবার নবায়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেই অবগত নন। ফলে অনেকেই লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই অবস্থা কেবল মানিকগঞ্জ জেলার নয়। দেশের অনেক স্থানেই এমনটা ঘটছে। প্রতিদিন নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে, নানান স্থাপনা হচ্ছে, কিন্তু কেউ ফায়ার সেফটি নিয়ে ভাবছে না। আগুন না লাগা পর্যন্ত যেন কারো ঘুম ভাঙবে না। অনেক প্রতিষ্ঠানই যেন এক সুপ্ত আগ্নেয়গিরির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
অগ্নিঝুঁকি রোধে প্রশাসনের কার্যকর নজরদারি, জরিমানার বাস্তব প্রয়োগ, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা আইনবিরুদ্ধ। ফায়ার সার্ভিস চাইলে মামলা করতে পারে। তাহলে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।
মানিকগঞ্জের এই অবস্থা সংশ্লিষ্টদেরকে সতর্ক করবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা আমাদের আশা। ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন নিশ্চিত করা, নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং জনসচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।