alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নলবিলা খাল খনন করুন

: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা খালটি বহু বছর ধরে পলিমাটিতে ভরাট হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা মাটি ও বালু জমে খালের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আশপাশের কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।

খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কাকারা, কৈয়ারবিল ও লক্ষ্যারচরÑএই তিন ইউনিয়নের প্রায় ১৭ শত একর কৃষিজমি আবাদ করা যাচ্ছে না। কোথাও পানি জমে থাকে, কোথাও আবার খাল শুকিয়ে গেছে। ফলে সেচের পানি পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এতে স্থানীয় কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

কৃষক ও এলাকাবাসী বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন যাতে দ্রুত নলবিলা খালটি খনন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বিষয়টি জেনে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো বাস্তব কাজ শুরু হয়নি। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি করছে বলে জানা গেছে।

একসময় এই খালই ছিল তিন ইউনিয়নের কৃষিজীবনের ভরসা। খালের পানি দিয়ে তারা শুষ্ক মৌসুমেও জমি চাষ করতে পারতেন। এখন খালটি ভরাট হয়ে পড়ায় সে সুবিধা নেই। খাল খনন না হলে চাষাবাদ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়বে, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় ক্ষতি ডেকে আনবে।

এই অবস্থায় নলবিলা খালটি খনন করা একেবারে জরুরি হয়ে উঠেছে। এতে একদিকে জলাবদ্ধতা দূর হবে, অন্যদিকে সেচের সুবিধা ফিরবে। কৃষকরা আবার তাদের জমিতে চাষ করতে পারবেন। প্রশাসন ও বিএডিসির উচিত দেরি না করে দ্রুত খননকাজ শুরু করা।

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নলবিলা খাল খনন করুন

মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা খালটি বহু বছর ধরে পলিমাটিতে ভরাট হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা মাটি ও বালু জমে খালের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আশপাশের কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।

খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কাকারা, কৈয়ারবিল ও লক্ষ্যারচরÑএই তিন ইউনিয়নের প্রায় ১৭ শত একর কৃষিজমি আবাদ করা যাচ্ছে না। কোথাও পানি জমে থাকে, কোথাও আবার খাল শুকিয়ে গেছে। ফলে সেচের পানি পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এতে স্থানীয় কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

কৃষক ও এলাকাবাসী বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন যাতে দ্রুত নলবিলা খালটি খনন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বিষয়টি জেনে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো বাস্তব কাজ শুরু হয়নি। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি করছে বলে জানা গেছে।

একসময় এই খালই ছিল তিন ইউনিয়নের কৃষিজীবনের ভরসা। খালের পানি দিয়ে তারা শুষ্ক মৌসুমেও জমি চাষ করতে পারতেন। এখন খালটি ভরাট হয়ে পড়ায় সে সুবিধা নেই। খাল খনন না হলে চাষাবাদ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়বে, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় ক্ষতি ডেকে আনবে।

এই অবস্থায় নলবিলা খালটি খনন করা একেবারে জরুরি হয়ে উঠেছে। এতে একদিকে জলাবদ্ধতা দূর হবে, অন্যদিকে সেচের সুবিধা ফিরবে। কৃষকরা আবার তাদের জমিতে চাষ করতে পারবেন। প্রশাসন ও বিএডিসির উচিত দেরি না করে দ্রুত খননকাজ শুরু করা।

back to top