কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা খালটি বহু বছর ধরে পলিমাটিতে ভরাট হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা মাটি ও বালু জমে খালের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আশপাশের কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কাকারা, কৈয়ারবিল ও লক্ষ্যারচরÑএই তিন ইউনিয়নের প্রায় ১৭ শত একর কৃষিজমি আবাদ করা যাচ্ছে না। কোথাও পানি জমে থাকে, কোথাও আবার খাল শুকিয়ে গেছে। ফলে সেচের পানি পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এতে স্থানীয় কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
কৃষক ও এলাকাবাসী বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন যাতে দ্রুত নলবিলা খালটি খনন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বিষয়টি জেনে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো বাস্তব কাজ শুরু হয়নি। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি করছে বলে জানা গেছে।
একসময় এই খালই ছিল তিন ইউনিয়নের কৃষিজীবনের ভরসা। খালের পানি দিয়ে তারা শুষ্ক মৌসুমেও জমি চাষ করতে পারতেন। এখন খালটি ভরাট হয়ে পড়ায় সে সুবিধা নেই। খাল খনন না হলে চাষাবাদ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়বে, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় ক্ষতি ডেকে আনবে।
এই অবস্থায় নলবিলা খালটি খনন করা একেবারে জরুরি হয়ে উঠেছে। এতে একদিকে জলাবদ্ধতা দূর হবে, অন্যদিকে সেচের সুবিধা ফিরবে। কৃষকরা আবার তাদের জমিতে চাষ করতে পারবেন। প্রশাসন ও বিএডিসির উচিত দেরি না করে দ্রুত খননকাজ শুরু করা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা খালটি বহু বছর ধরে পলিমাটিতে ভরাট হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা মাটি ও বালু জমে খালের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আশপাশের কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কাকারা, কৈয়ারবিল ও লক্ষ্যারচরÑএই তিন ইউনিয়নের প্রায় ১৭ শত একর কৃষিজমি আবাদ করা যাচ্ছে না। কোথাও পানি জমে থাকে, কোথাও আবার খাল শুকিয়ে গেছে। ফলে সেচের পানি পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এতে স্থানীয় কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
কৃষক ও এলাকাবাসী বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন যাতে দ্রুত নলবিলা খালটি খনন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বিষয়টি জেনে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো বাস্তব কাজ শুরু হয়নি। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি করছে বলে জানা গেছে।
একসময় এই খালই ছিল তিন ইউনিয়নের কৃষিজীবনের ভরসা। খালের পানি দিয়ে তারা শুষ্ক মৌসুমেও জমি চাষ করতে পারতেন। এখন খালটি ভরাট হয়ে পড়ায় সে সুবিধা নেই। খাল খনন না হলে চাষাবাদ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়বে, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় ক্ষতি ডেকে আনবে।
এই অবস্থায় নলবিলা খালটি খনন করা একেবারে জরুরি হয়ে উঠেছে। এতে একদিকে জলাবদ্ধতা দূর হবে, অন্যদিকে সেচের সুবিধা ফিরবে। কৃষকরা আবার তাদের জমিতে চাষ করতে পারবেন। প্রশাসন ও বিএডিসির উচিত দেরি না করে দ্রুত খননকাজ শুরু করা।