রাজধানীর আদালত পাড়ার মতো সংবেদনশীল এলাকায় দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে একজন মানুষকে হত্যা করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। সোমবার দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে গুলি করে হত্যা করা হয় এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু অপরাধপ্রবণতারই ইঙ্গিত দেয় না, বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি ও তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
মামুন ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। দীর্ঘ দুই দশকের কারাভোগ শেষে তিনি ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পান। এর পরপরই তেজগাঁওয়ে তার ওপর হামলার চেষ্টা হয়। এবার রাজধানীর আদালত পাড়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো।
বিষয়টি শুধু ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার নয়। যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, তা দেশের অন্যতম সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে বিবেচিত। এমন এলাকায় দুজন হামলাকারীর মাস্ক পরে পিস্তল হাতে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। এই ঘটনা আমাদের এমন ধারাণা দেয় যে, অপরাধীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত ও সাহসী হয়ে উঠেছে।
এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, রাজধানীর সবচেয়ে নিরাপদ ভাবা এলাকাতেও এখন নিরাপত্তা নেই। আদালত পাড়া, মেডিকেল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সব জায়গায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। অপরাধীরা যদি এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে পালাতে পারে, তবে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে? রাজধানীর বুকে দিনের আলোয় এই হত্যাকাণ্ড আমাদের সবাইকে ভাবতে বাধ্য করছে যে, আমরা কি নিরাপদ ঢাকা শহরে নাকি ভয় ও অনিশ্চয়তার এক নগরে বাস করছি?
এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা পরিকল্পনা করেছে, তাদের অর্থ ও প্রভাবের উৎস কোথায়Ñতা সুষ্ঠু তদন্তে বের করতে হবে। নইলে এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটবে। আর নাগরিকদের আস্থা হারাবে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর আদালত পাড়ার মতো সংবেদনশীল এলাকায় দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে একজন মানুষকে হত্যা করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। সোমবার দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে গুলি করে হত্যা করা হয় এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু অপরাধপ্রবণতারই ইঙ্গিত দেয় না, বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি ও তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
মামুন ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। দীর্ঘ দুই দশকের কারাভোগ শেষে তিনি ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পান। এর পরপরই তেজগাঁওয়ে তার ওপর হামলার চেষ্টা হয়। এবার রাজধানীর আদালত পাড়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো।
বিষয়টি শুধু ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার নয়। যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, তা দেশের অন্যতম সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে বিবেচিত। এমন এলাকায় দুজন হামলাকারীর মাস্ক পরে পিস্তল হাতে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। এই ঘটনা আমাদের এমন ধারাণা দেয় যে, অপরাধীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত ও সাহসী হয়ে উঠেছে।
এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, রাজধানীর সবচেয়ে নিরাপদ ভাবা এলাকাতেও এখন নিরাপত্তা নেই। আদালত পাড়া, মেডিকেল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সব জায়গায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। অপরাধীরা যদি এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে পালাতে পারে, তবে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে? রাজধানীর বুকে দিনের আলোয় এই হত্যাকাণ্ড আমাদের সবাইকে ভাবতে বাধ্য করছে যে, আমরা কি নিরাপদ ঢাকা শহরে নাকি ভয় ও অনিশ্চয়তার এক নগরে বাস করছি?
এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা পরিকল্পনা করেছে, তাদের অর্থ ও প্রভাবের উৎস কোথায়Ñতা সুষ্ঠু তদন্তে বের করতে হবে। নইলে এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটবে। আর নাগরিকদের আস্থা হারাবে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।