alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর আদালত পাড়ার মতো সংবেদনশীল এলাকায় দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে একজন মানুষকে হত্যা করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। সোমবার দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে গুলি করে হত্যা করা হয় এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু অপরাধপ্রবণতারই ইঙ্গিত দেয় না, বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি ও তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

মামুন ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। দীর্ঘ দুই দশকের কারাভোগ শেষে তিনি ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পান। এর পরপরই তেজগাঁওয়ে তার ওপর হামলার চেষ্টা হয়। এবার রাজধানীর আদালত পাড়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো।

বিষয়টি শুধু ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার নয়। যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, তা দেশের অন্যতম সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে বিবেচিত। এমন এলাকায় দুজন হামলাকারীর মাস্ক পরে পিস্তল হাতে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। এই ঘটনা আমাদের এমন ধারাণা দেয় যে, অপরাধীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত ও সাহসী হয়ে উঠেছে।

এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, রাজধানীর সবচেয়ে নিরাপদ ভাবা এলাকাতেও এখন নিরাপত্তা নেই। আদালত পাড়া, মেডিকেল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সব জায়গায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। অপরাধীরা যদি এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে পালাতে পারে, তবে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে? রাজধানীর বুকে দিনের আলোয় এই হত্যাকাণ্ড আমাদের সবাইকে ভাবতে বাধ্য করছে যে, আমরা কি নিরাপদ ঢাকা শহরে নাকি ভয় ও অনিশ্চয়তার এক নগরে বাস করছি?

এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা পরিকল্পনা করেছে, তাদের অর্থ ও প্রভাবের উৎস কোথায়Ñতা সুষ্ঠু তদন্তে বের করতে হবে। নইলে এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটবে। আর নাগরিকদের আস্থা হারাবে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর আদালত পাড়ার মতো সংবেদনশীল এলাকায় দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে একজন মানুষকে হত্যা করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। সোমবার দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে গুলি করে হত্যা করা হয় এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু অপরাধপ্রবণতারই ইঙ্গিত দেয় না, বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি ও তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

মামুন ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। দীর্ঘ দুই দশকের কারাভোগ শেষে তিনি ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পান। এর পরপরই তেজগাঁওয়ে তার ওপর হামলার চেষ্টা হয়। এবার রাজধানীর আদালত পাড়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো।

বিষয়টি শুধু ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার নয়। যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, তা দেশের অন্যতম সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে বিবেচিত। এমন এলাকায় দুজন হামলাকারীর মাস্ক পরে পিস্তল হাতে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। এই ঘটনা আমাদের এমন ধারাণা দেয় যে, অপরাধীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত ও সাহসী হয়ে উঠেছে।

এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, রাজধানীর সবচেয়ে নিরাপদ ভাবা এলাকাতেও এখন নিরাপত্তা নেই। আদালত পাড়া, মেডিকেল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সব জায়গায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। অপরাধীরা যদি এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে পালাতে পারে, তবে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে? রাজধানীর বুকে দিনের আলোয় এই হত্যাকাণ্ড আমাদের সবাইকে ভাবতে বাধ্য করছে যে, আমরা কি নিরাপদ ঢাকা শহরে নাকি ভয় ও অনিশ্চয়তার এক নগরে বাস করছি?

এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা পরিকল্পনা করেছে, তাদের অর্থ ও প্রভাবের উৎস কোথায়Ñতা সুষ্ঠু তদন্তে বের করতে হবে। নইলে এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটবে। আর নাগরিকদের আস্থা হারাবে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

back to top