প্রান্তিক জেলেদের জীবিকা রক্ষায় প্রতিবছর নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরতে না পারা জেলেদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিতে বকনা বাছুর বিতরণ কর্মসূচি তারই একটি অংশ। কিন্তু ভোলার চরফ্যাশনে এই কর্মসূচির বকনা বাছুর যেন ভুল মানুষের হাতে গিয়ে পড়েছে।
জিন্নাগড় ইউনিয়নের নিরঞ্জন চন্দ্র দাস পেশায় জেলে নন, তিনি একজন কাকড়া বিক্রেতা। অথচ তিনি জেলে কার্ডধারী হিসেবে বকনা বাছুর পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, বাছুর হাতে পাওয়ার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি সেটি ১৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এমন ঘটনা এই একাটাই নয়। বাছুর বিতরণের তালিকায় জেলে ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষকে রয়েছেন। রাজনৈতিক প্রভাবেই এসব নাম যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক মুদি দোকানদারও জেলে কার্ডে নাম লিখিয়ে বকনা বাছুর পেয়েছেন।
অন্যদিকে প্রকৃত জেলেরা, যারা সত্যিই সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা মেনে চললেও সরকারি সাহায্য তারা পান না। অথচ যারা জেলে নন, তারা চাল ও বকনা বাছুর দুটোই পাচ্ছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নে ১৭৪ জনকে বকনা বাছুর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, তালিকার অনেক নামের সঙ্গেই প্রকৃত জেলেদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দিয়েছেন।”
অভিযোগ রয়েছে, একশ্রেণির জনপ্রতিনিধি স্বজনপ্রীতি বা রাজনৈতিক সুবিধা দিতে তালিকা তৈরি করেন। যে কারণে প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হন। আর রাষ্ট্রের সহায়তা চলে যায় অযোগ্য হাতে।
এই দুর্নীতির দায় কেবল স্থানীয় পর্যায়ের নয়, বরং সার্বিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা। সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত জেলেদের চিহ্নিত করা জরুরি। পাশাপাশি অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রান্তিক জেলেদের জীবিকা রক্ষায় প্রতিবছর নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরতে না পারা জেলেদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিতে বকনা বাছুর বিতরণ কর্মসূচি তারই একটি অংশ। কিন্তু ভোলার চরফ্যাশনে এই কর্মসূচির বকনা বাছুর যেন ভুল মানুষের হাতে গিয়ে পড়েছে।
জিন্নাগড় ইউনিয়নের নিরঞ্জন চন্দ্র দাস পেশায় জেলে নন, তিনি একজন কাকড়া বিক্রেতা। অথচ তিনি জেলে কার্ডধারী হিসেবে বকনা বাছুর পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, বাছুর হাতে পাওয়ার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি সেটি ১৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এমন ঘটনা এই একাটাই নয়। বাছুর বিতরণের তালিকায় জেলে ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষকে রয়েছেন। রাজনৈতিক প্রভাবেই এসব নাম যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক মুদি দোকানদারও জেলে কার্ডে নাম লিখিয়ে বকনা বাছুর পেয়েছেন।
অন্যদিকে প্রকৃত জেলেরা, যারা সত্যিই সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা মেনে চললেও সরকারি সাহায্য তারা পান না। অথচ যারা জেলে নন, তারা চাল ও বকনা বাছুর দুটোই পাচ্ছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নে ১৭৪ জনকে বকনা বাছুর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, তালিকার অনেক নামের সঙ্গেই প্রকৃত জেলেদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দিয়েছেন।”
অভিযোগ রয়েছে, একশ্রেণির জনপ্রতিনিধি স্বজনপ্রীতি বা রাজনৈতিক সুবিধা দিতে তালিকা তৈরি করেন। যে কারণে প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হন। আর রাষ্ট্রের সহায়তা চলে যায় অযোগ্য হাতে।
এই দুর্নীতির দায় কেবল স্থানীয় পর্যায়ের নয়, বরং সার্বিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা। সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত জেলেদের চিহ্নিত করা জরুরি। পাশাপাশি অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।