alt

মতামত » সম্পাদকীয়

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

প্রান্তিক জেলেদের জীবিকা রক্ষায় প্রতিবছর নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরতে না পারা জেলেদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিতে বকনা বাছুর বিতরণ কর্মসূচি তারই একটি অংশ। কিন্তু ভোলার চরফ্যাশনে এই কর্মসূচির বকনা বাছুর যেন ভুল মানুষের হাতে গিয়ে পড়েছে।

জিন্নাগড় ইউনিয়নের নিরঞ্জন চন্দ্র দাস পেশায় জেলে নন, তিনি একজন কাকড়া বিক্রেতা। অথচ তিনি জেলে কার্ডধারী হিসেবে বকনা বাছুর পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, বাছুর হাতে পাওয়ার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি সেটি ১৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এমন ঘটনা এই একাটাই নয়। বাছুর বিতরণের তালিকায় জেলে ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষকে রয়েছেন। রাজনৈতিক প্রভাবেই এসব নাম যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক মুদি দোকানদারও জেলে কার্ডে নাম লিখিয়ে বকনা বাছুর পেয়েছেন।

অন্যদিকে প্রকৃত জেলেরা, যারা সত্যিই সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা মেনে চললেও সরকারি সাহায্য তারা পান না। অথচ যারা জেলে নন, তারা চাল ও বকনা বাছুর দুটোই পাচ্ছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নে ১৭৪ জনকে বকনা বাছুর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, তালিকার অনেক নামের সঙ্গেই প্রকৃত জেলেদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দিয়েছেন।”

অভিযোগ রয়েছে, একশ্রেণির জনপ্রতিনিধি স্বজনপ্রীতি বা রাজনৈতিক সুবিধা দিতে তালিকা তৈরি করেন। যে কারণে প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হন। আর রাষ্ট্রের সহায়তা চলে যায় অযোগ্য হাতে।

এই দুর্নীতির দায় কেবল স্থানীয় পর্যায়ের নয়, বরং সার্বিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা। সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত জেলেদের চিহ্নিত করা জরুরি। পাশাপাশি অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

প্রান্তিক জেলেদের জীবিকা রক্ষায় প্রতিবছর নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরতে না পারা জেলেদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিতে বকনা বাছুর বিতরণ কর্মসূচি তারই একটি অংশ। কিন্তু ভোলার চরফ্যাশনে এই কর্মসূচির বকনা বাছুর যেন ভুল মানুষের হাতে গিয়ে পড়েছে।

জিন্নাগড় ইউনিয়নের নিরঞ্জন চন্দ্র দাস পেশায় জেলে নন, তিনি একজন কাকড়া বিক্রেতা। অথচ তিনি জেলে কার্ডধারী হিসেবে বকনা বাছুর পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, বাছুর হাতে পাওয়ার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি সেটি ১৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এমন ঘটনা এই একাটাই নয়। বাছুর বিতরণের তালিকায় জেলে ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষকে রয়েছেন। রাজনৈতিক প্রভাবেই এসব নাম যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক মুদি দোকানদারও জেলে কার্ডে নাম লিখিয়ে বকনা বাছুর পেয়েছেন।

অন্যদিকে প্রকৃত জেলেরা, যারা সত্যিই সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা মেনে চললেও সরকারি সাহায্য তারা পান না। অথচ যারা জেলে নন, তারা চাল ও বকনা বাছুর দুটোই পাচ্ছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নে ১৭৪ জনকে বকনা বাছুর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, তালিকার অনেক নামের সঙ্গেই প্রকৃত জেলেদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দিয়েছেন।”

অভিযোগ রয়েছে, একশ্রেণির জনপ্রতিনিধি স্বজনপ্রীতি বা রাজনৈতিক সুবিধা দিতে তালিকা তৈরি করেন। যে কারণে প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হন। আর রাষ্ট্রের সহায়তা চলে যায় অযোগ্য হাতে।

এই দুর্নীতির দায় কেবল স্থানীয় পর্যায়ের নয়, বরং সার্বিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা। সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত জেলেদের চিহ্নিত করা জরুরি। পাশাপাশি অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top