ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে চালক জুলহাস মিয়া মারা গেছেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই এক মৃত্যুর কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে একটি পরিবার, ছিন্ন হয়েছে এক মায়ের বুক, নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এক স্ত্রী।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভোরবেলায় মাস্ক পরিহিত তিন যুবক বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। বাসে ঘুমিয়ে থাকা জুলহাস বেরোতে পারেননি। আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি। সে সময় এক নারী যাত্রী ও তার ছেলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
এমন নৃশংস ঘটনার কোনো মানবিক ব্যাখ্যা নেই। জুলহাস কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবু তাকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। একজন সাধারণ মানুষকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা ফৌজদারি অপরাধ।
তার মা সাজেদা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, “আমার ছেলে রাজনীতি করে না, তবু কেন তাকে পুড়িয়ে মারা হলো?” এই প্রশ্ন শুধু এক মায়ের নয়-এ প্রশ্ন আজ পুরো দেশের।
এর মধ্যেই গাজীপুরে আরও তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, ঢাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এভাবে সাধারণ মানুষ ও সম্পদে আগুন দেওয়া ভয়াবহ অপরাধ। যারা এসব করছে, তারা শুধু বাস পুড়াচ্ছে না, পুড়িয়ে দিচ্ছে জাতির শান্তি ও নিরাপত্তাবোধ।
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অপরাধীরা যে বা যারাই হোক না কেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
একজন চালকের মৃত্যু যেন আরেকটি পরিসংখ্যান হয়ে না যায়। রাষ্ট্রকে তার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে, আর সমাজকে প্রশ্ন তুলতে হবে যে, আমরা কবে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে শিখব?
জুলহাসের মা যে প্রশ্ন রেখেছেন, তার উত্তর কে দেব? কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো?
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে চালক জুলহাস মিয়া মারা গেছেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই এক মৃত্যুর কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে একটি পরিবার, ছিন্ন হয়েছে এক মায়ের বুক, নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এক স্ত্রী।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভোরবেলায় মাস্ক পরিহিত তিন যুবক বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। বাসে ঘুমিয়ে থাকা জুলহাস বেরোতে পারেননি। আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি। সে সময় এক নারী যাত্রী ও তার ছেলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
এমন নৃশংস ঘটনার কোনো মানবিক ব্যাখ্যা নেই। জুলহাস কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবু তাকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। একজন সাধারণ মানুষকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা ফৌজদারি অপরাধ।
তার মা সাজেদা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, “আমার ছেলে রাজনীতি করে না, তবু কেন তাকে পুড়িয়ে মারা হলো?” এই প্রশ্ন শুধু এক মায়ের নয়-এ প্রশ্ন আজ পুরো দেশের।
এর মধ্যেই গাজীপুরে আরও তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, ঢাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এভাবে সাধারণ মানুষ ও সম্পদে আগুন দেওয়া ভয়াবহ অপরাধ। যারা এসব করছে, তারা শুধু বাস পুড়াচ্ছে না, পুড়িয়ে দিচ্ছে জাতির শান্তি ও নিরাপত্তাবোধ।
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অপরাধীরা যে বা যারাই হোক না কেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
একজন চালকের মৃত্যু যেন আরেকটি পরিসংখ্যান হয়ে না যায়। রাষ্ট্রকে তার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে, আর সমাজকে প্রশ্ন তুলতে হবে যে, আমরা কবে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে শিখব?
জুলহাসের মা যে প্রশ্ন রেখেছেন, তার উত্তর কে দেব? কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো?