alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

: বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে চালক জুলহাস মিয়া মারা গেছেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই এক মৃত্যুর কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে একটি পরিবার, ছিন্ন হয়েছে এক মায়ের বুক, নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এক স্ত্রী।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভোরবেলায় মাস্ক পরিহিত তিন যুবক বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। বাসে ঘুমিয়ে থাকা জুলহাস বেরোতে পারেননি। আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি। সে সময় এক নারী যাত্রী ও তার ছেলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

এমন নৃশংস ঘটনার কোনো মানবিক ব্যাখ্যা নেই। জুলহাস কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবু তাকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। একজন সাধারণ মানুষকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা ফৌজদারি অপরাধ।

তার মা সাজেদা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, “আমার ছেলে রাজনীতি করে না, তবু কেন তাকে পুড়িয়ে মারা হলো?” এই প্রশ্ন শুধু এক মায়ের নয়-এ প্রশ্ন আজ পুরো দেশের।

এর মধ্যেই গাজীপুরে আরও তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, ঢাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এভাবে সাধারণ মানুষ ও সম্পদে আগুন দেওয়া ভয়াবহ অপরাধ। যারা এসব করছে, তারা শুধু বাস পুড়াচ্ছে না, পুড়িয়ে দিচ্ছে জাতির শান্তি ও নিরাপত্তাবোধ।

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অপরাধীরা যে বা যারাই হোক না কেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

একজন চালকের মৃত্যু যেন আরেকটি পরিসংখ্যান হয়ে না যায়। রাষ্ট্রকে তার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে, আর সমাজকে প্রশ্ন তুলতে হবে যে, আমরা কবে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে শিখব?

জুলহাসের মা যে প্রশ্ন রেখেছেন, তার উত্তর কে দেব? কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো?

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে চালক জুলহাস মিয়া মারা গেছেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই এক মৃত্যুর কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে একটি পরিবার, ছিন্ন হয়েছে এক মায়ের বুক, নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এক স্ত্রী।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভোরবেলায় মাস্ক পরিহিত তিন যুবক বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। বাসে ঘুমিয়ে থাকা জুলহাস বেরোতে পারেননি। আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি। সে সময় এক নারী যাত্রী ও তার ছেলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

এমন নৃশংস ঘটনার কোনো মানবিক ব্যাখ্যা নেই। জুলহাস কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবু তাকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। একজন সাধারণ মানুষকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা ফৌজদারি অপরাধ।

তার মা সাজেদা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, “আমার ছেলে রাজনীতি করে না, তবু কেন তাকে পুড়িয়ে মারা হলো?” এই প্রশ্ন শুধু এক মায়ের নয়-এ প্রশ্ন আজ পুরো দেশের।

এর মধ্যেই গাজীপুরে আরও তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, ঢাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এভাবে সাধারণ মানুষ ও সম্পদে আগুন দেওয়া ভয়াবহ অপরাধ। যারা এসব করছে, তারা শুধু বাস পুড়াচ্ছে না, পুড়িয়ে দিচ্ছে জাতির শান্তি ও নিরাপত্তাবোধ।

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অপরাধীরা যে বা যারাই হোক না কেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

একজন চালকের মৃত্যু যেন আরেকটি পরিসংখ্যান হয়ে না যায়। রাষ্ট্রকে তার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে, আর সমাজকে প্রশ্ন তুলতে হবে যে, আমরা কবে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে শিখব?

জুলহাসের মা যে প্রশ্ন রেখেছেন, তার উত্তর কে দেব? কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো?

back to top