alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

: বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম খাউলিয়া গ্রামের মানুষের জীবন আজও লবণাক্ত পানির ওপর নির্ভরশীল। মাত্র ৫১টি পরিবারের চার শতাধিক মানুষ বছরের পর বছর ধরে লবণাক্ত খালের পানি ব্যবহার করছে। এই পানি দিয়েই তারা রান্না, গোসল ও অন্যান্য কাজ চালাচ্ছে। ফলে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া তাদের নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গ্রামটিতে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার কিংবা পঞ্চায়েত বাড়ির মিষ্টি পুকুর থেকে চার কিলোমিটার দূরে হাঁটতে হয় পানি আনার জন্য। বয়স্ক মানুষ, নারী ও শিশুরা এই কষ্ট নিয়মিতই পোহাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে খালের পানি ফুটিয়ে খাচ্ছেন, যা একেবারেই নিরাপদ নয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পানি সংকটের পাশাপাশি গ্রামের সাড়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। বর্ষা এলেই রাস্তা কাদা-পানিতে ডুবে যায়। তখন স্কুলগামী শিশুরা যেমন কষ্ট পায়, তেমনি অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিতে হয় বাঁশে করে কাঁধে নিয়ে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রতিটি নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা সুপেয় পানি ও পাকা রাস্তার প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ খোঁজ নেন না। এনজিও সংস্থা ডর্প কিছু ট্যাংক দিয়েছে, কিন্তু তা দিয়ে খুব অল্পসংখ্যক পরিবারের প্রয়োজন মেটানো যায়।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এলাকায় আর্সেনিক ও অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে চার হাজারেরও বেশি টিউবওয়েল অচল হয়ে গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১১ হাজার পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হলেও, তা দিয়ে মাত্র ১৫ শতাংশ পরিবার উপকৃত হয়েছে।

এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে পারে না। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের এই মানুষগুলো দেশের নাগরিক। তাদেরও বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থা না হলে, তাদের দুর্ভোগ শুধু বাড়তেই থাকবে।

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম খাউলিয়া গ্রামের মানুষের জীবন আজও লবণাক্ত পানির ওপর নির্ভরশীল। মাত্র ৫১টি পরিবারের চার শতাধিক মানুষ বছরের পর বছর ধরে লবণাক্ত খালের পানি ব্যবহার করছে। এই পানি দিয়েই তারা রান্না, গোসল ও অন্যান্য কাজ চালাচ্ছে। ফলে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া তাদের নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গ্রামটিতে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার কিংবা পঞ্চায়েত বাড়ির মিষ্টি পুকুর থেকে চার কিলোমিটার দূরে হাঁটতে হয় পানি আনার জন্য। বয়স্ক মানুষ, নারী ও শিশুরা এই কষ্ট নিয়মিতই পোহাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে খালের পানি ফুটিয়ে খাচ্ছেন, যা একেবারেই নিরাপদ নয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পানি সংকটের পাশাপাশি গ্রামের সাড়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। বর্ষা এলেই রাস্তা কাদা-পানিতে ডুবে যায়। তখন স্কুলগামী শিশুরা যেমন কষ্ট পায়, তেমনি অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিতে হয় বাঁশে করে কাঁধে নিয়ে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রতিটি নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা সুপেয় পানি ও পাকা রাস্তার প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ খোঁজ নেন না। এনজিও সংস্থা ডর্প কিছু ট্যাংক দিয়েছে, কিন্তু তা দিয়ে খুব অল্পসংখ্যক পরিবারের প্রয়োজন মেটানো যায়।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এলাকায় আর্সেনিক ও অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে চার হাজারেরও বেশি টিউবওয়েল অচল হয়ে গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১১ হাজার পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হলেও, তা দিয়ে মাত্র ১৫ শতাংশ পরিবার উপকৃত হয়েছে।

এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে পারে না। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের এই মানুষগুলো দেশের নাগরিক। তাদেরও বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থা না হলে, তাদের দুর্ভোগ শুধু বাড়তেই থাকবে।

back to top