বরগুনায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয় ‘রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম’ নামে একটি প্রকল্প। উদ্দেশ্য ছিল উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবারগুলোকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। এখন অভিযোগ উঠেছে যে, এই প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কাজ অসমাপ্ত রেখে বিল তুলে নেওয়া এবং উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতির মতো নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জেলার তিনটি উপজেলায় পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবারকে তিন হাজার লিটার ধারণক্ষম ট্যাংক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, কোথাও শুধু ট্যাংক দেওয়া হয়েছে, কোথাও শুধু প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে কাজ শেষ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনেক বাড়িতে ট্যাংক বসানো হলেও পাইপ, ফিল্টার বা সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে মানুষ এখনো আগের মতো পুকুরের পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।
এমনকি অনেক পরিবার জানায়, প্রকল্পের তালিকায় নাম তুলতে তাদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আবার ট্যাংক বাড়িতে আনতে হয়েছে নিজ খরচে। দুই বছর পার হলেও তারা ট্যাংক থেকে একফোঁটা পানি পান করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট ব্যীক্তদের দায়সারা মনোভাব ও জবাবদিহির অভাব এই প্রকল্পকে এক অর্থে ব্যর্থ করে তুলেছে।
একদিকে দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার নামে, অন্যদিকে মানুষ আজও নিরাপদ পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। এমন প্রকল্প কেবল অপচয় নয়, এটি দুর্নীতির এক উদাহরণ।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই প্রকল্পে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করা এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা। জনগণের টাকায় নেওয়া প্রকল্প জনগণের কল্যাণে না এলে তাকে কোনো উন্নয়ন বলা চলে না। জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পে দুর্নীতি করে কেউ যেন পার না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
বরগুনায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয় ‘রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম’ নামে একটি প্রকল্প। উদ্দেশ্য ছিল উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবারগুলোকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। এখন অভিযোগ উঠেছে যে, এই প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কাজ অসমাপ্ত রেখে বিল তুলে নেওয়া এবং উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতির মতো নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জেলার তিনটি উপজেলায় পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবারকে তিন হাজার লিটার ধারণক্ষম ট্যাংক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, কোথাও শুধু ট্যাংক দেওয়া হয়েছে, কোথাও শুধু প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে কাজ শেষ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনেক বাড়িতে ট্যাংক বসানো হলেও পাইপ, ফিল্টার বা সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে মানুষ এখনো আগের মতো পুকুরের পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।
এমনকি অনেক পরিবার জানায়, প্রকল্পের তালিকায় নাম তুলতে তাদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আবার ট্যাংক বাড়িতে আনতে হয়েছে নিজ খরচে। দুই বছর পার হলেও তারা ট্যাংক থেকে একফোঁটা পানি পান করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট ব্যীক্তদের দায়সারা মনোভাব ও জবাবদিহির অভাব এই প্রকল্পকে এক অর্থে ব্যর্থ করে তুলেছে।
একদিকে দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার নামে, অন্যদিকে মানুষ আজও নিরাপদ পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। এমন প্রকল্প কেবল অপচয় নয়, এটি দুর্নীতির এক উদাহরণ।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই প্রকল্পে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করা এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা। জনগণের টাকায় নেওয়া প্রকল্প জনগণের কল্যাণে না এলে তাকে কোনো উন্নয়ন বলা চলে না। জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পে দুর্নীতি করে কেউ যেন পার না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।