alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

বরগুনায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয় ‘রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম’ নামে একটি প্রকল্প। উদ্দেশ্য ছিল উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবারগুলোকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। এখন অভিযোগ উঠেছে যে, এই প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কাজ অসমাপ্ত রেখে বিল তুলে নেওয়া এবং উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতির মতো নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জেলার তিনটি উপজেলায় পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবারকে তিন হাজার লিটার ধারণক্ষম ট্যাংক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, কোথাও শুধু ট্যাংক দেওয়া হয়েছে, কোথাও শুধু প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে কাজ শেষ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনেক বাড়িতে ট্যাংক বসানো হলেও পাইপ, ফিল্টার বা সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে মানুষ এখনো আগের মতো পুকুরের পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।

এমনকি অনেক পরিবার জানায়, প্রকল্পের তালিকায় নাম তুলতে তাদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আবার ট্যাংক বাড়িতে আনতে হয়েছে নিজ খরচে। দুই বছর পার হলেও তারা ট্যাংক থেকে একফোঁটা পানি পান করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট ব্যীক্তদের দায়সারা মনোভাব ও জবাবদিহির অভাব এই প্রকল্পকে এক অর্থে ব্যর্থ করে তুলেছে।

একদিকে দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার নামে, অন্যদিকে মানুষ আজও নিরাপদ পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। এমন প্রকল্প কেবল অপচয় নয়, এটি দুর্নীতির এক উদাহরণ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই প্রকল্পে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করা এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা। জনগণের টাকায় নেওয়া প্রকল্প জনগণের কল্যাণে না এলে তাকে কোনো উন্নয়ন বলা চলে না। জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পে দুর্নীতি করে কেউ যেন পার না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

বরগুনায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয় ‘রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম’ নামে একটি প্রকল্প। উদ্দেশ্য ছিল উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবারগুলোকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। এখন অভিযোগ উঠেছে যে, এই প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কাজ অসমাপ্ত রেখে বিল তুলে নেওয়া এবং উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতির মতো নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জেলার তিনটি উপজেলায় পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবারকে তিন হাজার লিটার ধারণক্ষম ট্যাংক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, কোথাও শুধু ট্যাংক দেওয়া হয়েছে, কোথাও শুধু প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে কাজ শেষ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনেক বাড়িতে ট্যাংক বসানো হলেও পাইপ, ফিল্টার বা সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে মানুষ এখনো আগের মতো পুকুরের পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।

এমনকি অনেক পরিবার জানায়, প্রকল্পের তালিকায় নাম তুলতে তাদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আবার ট্যাংক বাড়িতে আনতে হয়েছে নিজ খরচে। দুই বছর পার হলেও তারা ট্যাংক থেকে একফোঁটা পানি পান করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট ব্যীক্তদের দায়সারা মনোভাব ও জবাবদিহির অভাব এই প্রকল্পকে এক অর্থে ব্যর্থ করে তুলেছে।

একদিকে দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার নামে, অন্যদিকে মানুষ আজও নিরাপদ পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। এমন প্রকল্প কেবল অপচয় নয়, এটি দুর্নীতির এক উদাহরণ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই প্রকল্পে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করা এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা। জনগণের টাকায় নেওয়া প্রকল্প জনগণের কল্যাণে না এলে তাকে কোনো উন্নয়ন বলা চলে না। জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পে দুর্নীতি করে কেউ যেন পার না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top