চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেখানে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। ভবনের দেয়ালে ফাটল, ছাদ থেকে পানি পড়া, পলেস্তারা খসে পড়া-এসবের মধ্যেই চলছে পাঠদান। বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
জানা গেছে, কোনো কোনো বিদ্যালয় ভবনের কোথাও রড বেরিয়ে আছে, কোথাও আবার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বৃষ্টি হলে পানি গড়িয়ে পড়ে বইখাতা ভিজে যায়। শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়েই ক্লাস করে, আর অভিভাবকরা প্রতিদিনই সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। অনেক অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে পাঠাতেই চান না।
দিঘলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলটি ভাঙাচোরা। ঝড়-বৃষ্টি হলে তারা আরও ভয়ের মধ্যে থাকে। বিদ্যালয়টির অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই একই রকম। এখন এমন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে যে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে অনীহা প্রকাশ করছে। কোথাও কোনো দুর্যোগকেন্দ্র না থাকায় নতুন ভবন নির্মাণের দাবিও জানাচ্ছেন তারা।
শিক্ষকরা বলছেন, চাকরির দায়বদ্ধতার কারণে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় পাঠদানের যথাযথ পরিবেশ নেই। কিছু ভবনের অবস্থা এতই নাজুক যে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে, উক্ত এলাকার অন্তত ২০ থেকে ২৫টি বিদ্যালয় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠদান মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। যদিও এসব প্রতিশ্রুতি বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, কিন্তু বাস্তব পরিবর্তন তেমন দেখা যায়নি।
শিক্ষা শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার ভিত্তি। আর সেই ভিত্তিই যদি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়, তবে তাদের ভবিষ্যৎ কতটা নিরাপদ? ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ, পুরোনো ভবন সংস্কার এবং নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেখানে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। ভবনের দেয়ালে ফাটল, ছাদ থেকে পানি পড়া, পলেস্তারা খসে পড়া-এসবের মধ্যেই চলছে পাঠদান। বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
জানা গেছে, কোনো কোনো বিদ্যালয় ভবনের কোথাও রড বেরিয়ে আছে, কোথাও আবার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বৃষ্টি হলে পানি গড়িয়ে পড়ে বইখাতা ভিজে যায়। শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়েই ক্লাস করে, আর অভিভাবকরা প্রতিদিনই সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। অনেক অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে পাঠাতেই চান না।
দিঘলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলটি ভাঙাচোরা। ঝড়-বৃষ্টি হলে তারা আরও ভয়ের মধ্যে থাকে। বিদ্যালয়টির অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই একই রকম। এখন এমন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে যে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে অনীহা প্রকাশ করছে। কোথাও কোনো দুর্যোগকেন্দ্র না থাকায় নতুন ভবন নির্মাণের দাবিও জানাচ্ছেন তারা।
শিক্ষকরা বলছেন, চাকরির দায়বদ্ধতার কারণে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় পাঠদানের যথাযথ পরিবেশ নেই। কিছু ভবনের অবস্থা এতই নাজুক যে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে, উক্ত এলাকার অন্তত ২০ থেকে ২৫টি বিদ্যালয় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠদান মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। যদিও এসব প্রতিশ্রুতি বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, কিন্তু বাস্তব পরিবর্তন তেমন দেখা যায়নি।
শিক্ষা শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার ভিত্তি। আর সেই ভিত্তিই যদি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়, তবে তাদের ভবিষ্যৎ কতটা নিরাপদ? ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ, পুরোনো ভবন সংস্কার এবং নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি।