alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

: শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেখানে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। ভবনের দেয়ালে ফাটল, ছাদ থেকে পানি পড়া, পলেস্তারা খসে পড়া-এসবের মধ্যেই চলছে পাঠদান। বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

জানা গেছে, কোনো কোনো বিদ্যালয় ভবনের কোথাও রড বেরিয়ে আছে, কোথাও আবার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বৃষ্টি হলে পানি গড়িয়ে পড়ে বইখাতা ভিজে যায়। শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়েই ক্লাস করে, আর অভিভাবকরা প্রতিদিনই সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। অনেক অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে পাঠাতেই চান না।

দিঘলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলটি ভাঙাচোরা। ঝড়-বৃষ্টি হলে তারা আরও ভয়ের মধ্যে থাকে। বিদ্যালয়টির অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই একই রকম। এখন এমন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে যে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে অনীহা প্রকাশ করছে। কোথাও কোনো দুর্যোগকেন্দ্র না থাকায় নতুন ভবন নির্মাণের দাবিও জানাচ্ছেন তারা।

শিক্ষকরা বলছেন, চাকরির দায়বদ্ধতার কারণে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় পাঠদানের যথাযথ পরিবেশ নেই। কিছু ভবনের অবস্থা এতই নাজুক যে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে, উক্ত এলাকার অন্তত ২০ থেকে ২৫টি বিদ্যালয় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠদান মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। যদিও এসব প্রতিশ্রুতি বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, কিন্তু বাস্তব পরিবর্তন তেমন দেখা যায়নি।

শিক্ষা শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার ভিত্তি। আর সেই ভিত্তিই যদি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়, তবে তাদের ভবিষ্যৎ কতটা নিরাপদ? ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ, পুরোনো ভবন সংস্কার এবং নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি।

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেখানে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। ভবনের দেয়ালে ফাটল, ছাদ থেকে পানি পড়া, পলেস্তারা খসে পড়া-এসবের মধ্যেই চলছে পাঠদান। বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

জানা গেছে, কোনো কোনো বিদ্যালয় ভবনের কোথাও রড বেরিয়ে আছে, কোথাও আবার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বৃষ্টি হলে পানি গড়িয়ে পড়ে বইখাতা ভিজে যায়। শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়েই ক্লাস করে, আর অভিভাবকরা প্রতিদিনই সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। অনেক অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে পাঠাতেই চান না।

দিঘলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলটি ভাঙাচোরা। ঝড়-বৃষ্টি হলে তারা আরও ভয়ের মধ্যে থাকে। বিদ্যালয়টির অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই একই রকম। এখন এমন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে যে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে অনীহা প্রকাশ করছে। কোথাও কোনো দুর্যোগকেন্দ্র না থাকায় নতুন ভবন নির্মাণের দাবিও জানাচ্ছেন তারা।

শিক্ষকরা বলছেন, চাকরির দায়বদ্ধতার কারণে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় পাঠদানের যথাযথ পরিবেশ নেই। কিছু ভবনের অবস্থা এতই নাজুক যে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে, উক্ত এলাকার অন্তত ২০ থেকে ২৫টি বিদ্যালয় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠদান মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। যদিও এসব প্রতিশ্রুতি বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, কিন্তু বাস্তব পরিবর্তন তেমন দেখা যায়নি।

শিক্ষা শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার ভিত্তি। আর সেই ভিত্তিই যদি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়, তবে তাদের ভবিষ্যৎ কতটা নিরাপদ? ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ, পুরোনো ভবন সংস্কার এবং নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি।

back to top