গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি সড়কে বছরের পর বছর নোংরা পানি জমে থাকে। ঘোড়া ফার্মের সামনের ওই এক’শ ফুট জায়গায় বর্ষাকাল তো বটেই, শুকনো মৌসুমেও ড্রেন উপচে পঁচা পানি রাস্তায় পড়ে। এতে শিশু, বৃদ্ধ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কারখানার হাজারো শ্রমিক প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার বর্জ্যও সরাসরি ড্রেনে ফেলায় পানি স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না। ড্রেন সরু হয়ে গেছে, কোথাও ভরাট হয়ে আছে, কোথাও আবার ভেঙে গেছে। ফলে ড্রেন উপচে ময়লা পানি রাস্তায় উঠে আসে। বর্ষার সময় এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। দুর্গন্ধ, কাদামাটি আর নোংরা পানিতে এলাকাবাসীর জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
পৌরসভায় অভিযোগ করেও স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। যদিও পৌর প্রশাসন বলছে, কারখানার অনুমতিহীন ড্রেন, বাড়িঘরের সুয়ারেজ লাইন, ড্রেনে ফেলানো কাপড়চোপড় এবং খালের মুখে পলি জমে পানি আটকে যাচ্ছে। পাইপ পরিষ্কার ও ড্রেনের পিটগুলো পরিষ্কারের কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, প্রয়োজন হলে ড্রেন বড় করতে হবে এবং সড়ক উঁচু করে স্থায়ীভাবে সংস্কার করতে হবে। কারখানাগুলো যেন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে এবং ড্রেনে বর্জ্য না ফেলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
শ্রীপুরের মতো একটি ব্যস্ত এলাকায় দিনের পর দিন এমন জলাবদ্ধতায় মানুষকে কষ্ট পেতে হলে তা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, নাগরিক অধিকার অবহেলারও বড় উদাহরণ। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি সড়কে বছরের পর বছর নোংরা পানি জমে থাকে। ঘোড়া ফার্মের সামনের ওই এক’শ ফুট জায়গায় বর্ষাকাল তো বটেই, শুকনো মৌসুমেও ড্রেন উপচে পঁচা পানি রাস্তায় পড়ে। এতে শিশু, বৃদ্ধ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কারখানার হাজারো শ্রমিক প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার বর্জ্যও সরাসরি ড্রেনে ফেলায় পানি স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না। ড্রেন সরু হয়ে গেছে, কোথাও ভরাট হয়ে আছে, কোথাও আবার ভেঙে গেছে। ফলে ড্রেন উপচে ময়লা পানি রাস্তায় উঠে আসে। বর্ষার সময় এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। দুর্গন্ধ, কাদামাটি আর নোংরা পানিতে এলাকাবাসীর জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
পৌরসভায় অভিযোগ করেও স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। যদিও পৌর প্রশাসন বলছে, কারখানার অনুমতিহীন ড্রেন, বাড়িঘরের সুয়ারেজ লাইন, ড্রেনে ফেলানো কাপড়চোপড় এবং খালের মুখে পলি জমে পানি আটকে যাচ্ছে। পাইপ পরিষ্কার ও ড্রেনের পিটগুলো পরিষ্কারের কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, প্রয়োজন হলে ড্রেন বড় করতে হবে এবং সড়ক উঁচু করে স্থায়ীভাবে সংস্কার করতে হবে। কারখানাগুলো যেন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে এবং ড্রেনে বর্জ্য না ফেলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
শ্রীপুরের মতো একটি ব্যস্ত এলাকায় দিনের পর দিন এমন জলাবদ্ধতায় মানুষকে কষ্ট পেতে হলে তা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, নাগরিক অধিকার অবহেলারও বড় উদাহরণ। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।