alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

: শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি সড়কে বছরের পর বছর নোংরা পানি জমে থাকে। ঘোড়া ফার্মের সামনের ওই এক’শ ফুট জায়গায় বর্ষাকাল তো বটেই, শুকনো মৌসুমেও ড্রেন উপচে পঁচা পানি রাস্তায় পড়ে। এতে শিশু, বৃদ্ধ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কারখানার হাজারো শ্রমিক প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার বর্জ্যও সরাসরি ড্রেনে ফেলায় পানি স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না। ড্রেন সরু হয়ে গেছে, কোথাও ভরাট হয়ে আছে, কোথাও আবার ভেঙে গেছে। ফলে ড্রেন উপচে ময়লা পানি রাস্তায় উঠে আসে। বর্ষার সময় এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। দুর্গন্ধ, কাদামাটি আর নোংরা পানিতে এলাকাবাসীর জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

পৌরসভায় অভিযোগ করেও স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। যদিও পৌর প্রশাসন বলছে, কারখানার অনুমতিহীন ড্রেন, বাড়িঘরের সুয়ারেজ লাইন, ড্রেনে ফেলানো কাপড়চোপড় এবং খালের মুখে পলি জমে পানি আটকে যাচ্ছে। পাইপ পরিষ্কার ও ড্রেনের পিটগুলো পরিষ্কারের কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর দাবি, ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, প্রয়োজন হলে ড্রেন বড় করতে হবে এবং সড়ক উঁচু করে স্থায়ীভাবে সংস্কার করতে হবে। কারখানাগুলো যেন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে এবং ড্রেনে বর্জ্য না ফেলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

শ্রীপুরের মতো একটি ব্যস্ত এলাকায় দিনের পর দিন এমন জলাবদ্ধতায় মানুষকে কষ্ট পেতে হলে তা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, নাগরিক অধিকার অবহেলারও বড় উদাহরণ। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি সড়কে বছরের পর বছর নোংরা পানি জমে থাকে। ঘোড়া ফার্মের সামনের ওই এক’শ ফুট জায়গায় বর্ষাকাল তো বটেই, শুকনো মৌসুমেও ড্রেন উপচে পঁচা পানি রাস্তায় পড়ে। এতে শিশু, বৃদ্ধ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কারখানার হাজারো শ্রমিক প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার বর্জ্যও সরাসরি ড্রেনে ফেলায় পানি স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না। ড্রেন সরু হয়ে গেছে, কোথাও ভরাট হয়ে আছে, কোথাও আবার ভেঙে গেছে। ফলে ড্রেন উপচে ময়লা পানি রাস্তায় উঠে আসে। বর্ষার সময় এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। দুর্গন্ধ, কাদামাটি আর নোংরা পানিতে এলাকাবাসীর জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

পৌরসভায় অভিযোগ করেও স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। যদিও পৌর প্রশাসন বলছে, কারখানার অনুমতিহীন ড্রেন, বাড়িঘরের সুয়ারেজ লাইন, ড্রেনে ফেলানো কাপড়চোপড় এবং খালের মুখে পলি জমে পানি আটকে যাচ্ছে। পাইপ পরিষ্কার ও ড্রেনের পিটগুলো পরিষ্কারের কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর দাবি, ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, প্রয়োজন হলে ড্রেন বড় করতে হবে এবং সড়ক উঁচু করে স্থায়ীভাবে সংস্কার করতে হবে। কারখানাগুলো যেন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে এবং ড্রেনে বর্জ্য না ফেলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

শ্রীপুরের মতো একটি ব্যস্ত এলাকায় দিনের পর দিন এমন জলাবদ্ধতায় মানুষকে কষ্ট পেতে হলে তা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, নাগরিক অধিকার অবহেলারও বড় উদাহরণ। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।

back to top