মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে জনবল, ওষুধ ও উপকরণের সংকট চলছে। ফলে হাজারো নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন যে, কোথাও কোথাও সেবাকেন্দ্রের দরজায় তালা ঝুলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের তথ্য বলছে, সেখানে ৮২টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৪০টি পদ শূন্য। অর্থাৎ অর্ধেক কর্মী ছাড়াই সেবা চালাতে হচ্ছে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার কল্যাণ সহকারী-সব ক্ষেত্রেই বড় ঘাটতি। ফলে কর্মীদের মাঠে গিয়ে সেবা দেওয়ার নিয়মিত কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জনবল কম, ওষুধ নেই। ১৭ মাস ধরে কোনো ওষুধ সরবরাহ না পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন গজারিয়ার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। জেলা বিভাগের উপ-পরিচালকও বলেছেন, জনবল নিয়োগ মামলা-সংক্রান্ত কারণে বন্ধ রয়েছে।
এই সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারী, শিশু ও কিশোরীরা। পরিবার পরিকল্পনা, কৈশোরবান্ধব পরামর্শ, পুষ্টি, মাসিকসহ সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা-এই কেন্দ্রগুলোই ছিল তাদের প্রথম ভরসাস্থল। কিন্তু এখন তারা এসে পাচ্ছেন তালাবদ্ধ দরজা বা ‘নামমাত্র’ সেবা। বহু রোগী বাধ্য হয়ে ফিরেও যাচ্ছেন।
এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সবচেয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে। পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজননস্বাস্থ্য সেবা ঠেকিয়ে রাখা মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া।
সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিতে হবে। ওষুধ ও উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। মাঠপর্যায়ের তদারকিও জোরদার করা দরকার।
স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। গজারিয়ার মানুষ সেই অধিকার পাচ্ছেন সেটাই আমরা দেখতে চাই।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে জনবল, ওষুধ ও উপকরণের সংকট চলছে। ফলে হাজারো নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন যে, কোথাও কোথাও সেবাকেন্দ্রের দরজায় তালা ঝুলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের তথ্য বলছে, সেখানে ৮২টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৪০টি পদ শূন্য। অর্থাৎ অর্ধেক কর্মী ছাড়াই সেবা চালাতে হচ্ছে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার কল্যাণ সহকারী-সব ক্ষেত্রেই বড় ঘাটতি। ফলে কর্মীদের মাঠে গিয়ে সেবা দেওয়ার নিয়মিত কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জনবল কম, ওষুধ নেই। ১৭ মাস ধরে কোনো ওষুধ সরবরাহ না পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন গজারিয়ার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। জেলা বিভাগের উপ-পরিচালকও বলেছেন, জনবল নিয়োগ মামলা-সংক্রান্ত কারণে বন্ধ রয়েছে।
এই সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারী, শিশু ও কিশোরীরা। পরিবার পরিকল্পনা, কৈশোরবান্ধব পরামর্শ, পুষ্টি, মাসিকসহ সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা-এই কেন্দ্রগুলোই ছিল তাদের প্রথম ভরসাস্থল। কিন্তু এখন তারা এসে পাচ্ছেন তালাবদ্ধ দরজা বা ‘নামমাত্র’ সেবা। বহু রোগী বাধ্য হয়ে ফিরেও যাচ্ছেন।
এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সবচেয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে। পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজননস্বাস্থ্য সেবা ঠেকিয়ে রাখা মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া।
সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিতে হবে। ওষুধ ও উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। মাঠপর্যায়ের তদারকিও জোরদার করা দরকার।
স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। গজারিয়ার মানুষ সেই অধিকার পাচ্ছেন সেটাই আমরা দেখতে চাই।