alt

মতামত » সম্পাদকীয়

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে জনবল, ওষুধ ও উপকরণের সংকট চলছে। ফলে হাজারো নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন যে, কোথাও কোথাও সেবাকেন্দ্রের দরজায় তালা ঝুলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের তথ্য বলছে, সেখানে ৮২টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৪০টি পদ শূন্য। অর্থাৎ অর্ধেক কর্মী ছাড়াই সেবা চালাতে হচ্ছে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার কল্যাণ সহকারী-সব ক্ষেত্রেই বড় ঘাটতি। ফলে কর্মীদের মাঠে গিয়ে সেবা দেওয়ার নিয়মিত কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জনবল কম, ওষুধ নেই। ১৭ মাস ধরে কোনো ওষুধ সরবরাহ না পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন গজারিয়ার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। জেলা বিভাগের উপ-পরিচালকও বলেছেন, জনবল নিয়োগ মামলা-সংক্রান্ত কারণে বন্ধ রয়েছে।

এই সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারী, শিশু ও কিশোরীরা। পরিবার পরিকল্পনা, কৈশোরবান্ধব পরামর্শ, পুষ্টি, মাসিকসহ সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা-এই কেন্দ্রগুলোই ছিল তাদের প্রথম ভরসাস্থল। কিন্তু এখন তারা এসে পাচ্ছেন তালাবদ্ধ দরজা বা ‘নামমাত্র’ সেবা। বহু রোগী বাধ্য হয়ে ফিরেও যাচ্ছেন।

এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সবচেয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে। পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজননস্বাস্থ্য সেবা ঠেকিয়ে রাখা মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া।

সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিতে হবে। ওষুধ ও উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। মাঠপর্যায়ের তদারকিও জোরদার করা দরকার।

স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। গজারিয়ার মানুষ সেই অধিকার পাচ্ছেন সেটাই আমরা দেখতে চাই।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে জনবল, ওষুধ ও উপকরণের সংকট চলছে। ফলে হাজারো নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন যে, কোথাও কোথাও সেবাকেন্দ্রের দরজায় তালা ঝুলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের তথ্য বলছে, সেখানে ৮২টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৪০টি পদ শূন্য। অর্থাৎ অর্ধেক কর্মী ছাড়াই সেবা চালাতে হচ্ছে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার কল্যাণ সহকারী-সব ক্ষেত্রেই বড় ঘাটতি। ফলে কর্মীদের মাঠে গিয়ে সেবা দেওয়ার নিয়মিত কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জনবল কম, ওষুধ নেই। ১৭ মাস ধরে কোনো ওষুধ সরবরাহ না পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন গজারিয়ার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। জেলা বিভাগের উপ-পরিচালকও বলেছেন, জনবল নিয়োগ মামলা-সংক্রান্ত কারণে বন্ধ রয়েছে।

এই সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারী, শিশু ও কিশোরীরা। পরিবার পরিকল্পনা, কৈশোরবান্ধব পরামর্শ, পুষ্টি, মাসিকসহ সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা-এই কেন্দ্রগুলোই ছিল তাদের প্রথম ভরসাস্থল। কিন্তু এখন তারা এসে পাচ্ছেন তালাবদ্ধ দরজা বা ‘নামমাত্র’ সেবা। বহু রোগী বাধ্য হয়ে ফিরেও যাচ্ছেন।

এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সবচেয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে। পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজননস্বাস্থ্য সেবা ঠেকিয়ে রাখা মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া।

সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিতে হবে। ওষুধ ও উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। মাঠপর্যায়ের তদারকিও জোরদার করা দরকার।

স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। গজারিয়ার মানুষ সেই অধিকার পাচ্ছেন সেটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top