alt

মতামত » সম্পাদকীয়

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

: শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর বয়স ৩৮ বছর। কিন্তু এত দিনেও এই শিল্পনগরী ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শুরুতে সম্ভাবনার বড় স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আজ এটি পরিণত হয়েছে এক পরিত্যক্ত এলাকা ও ব্যর্থ উন্নয়ন প্রকল্পের উদাহরণে।

১৯৮৭ সালে ১৫ দশমিক ৬ একর জায়গায় শিল্পনগরীটি গড়ে তোলা হয়। ১০৭টি প্লটের মধ্যে ২৯ উদ্যোক্তাকে বরাদ্দও দেওয়া হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে প্লটগুলোর ব্যবহার কমতে থাকে। বর্তমানে কার্যকর আছে মাত্র ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠান। তার বেশিরভাগই গুদামঘর বা ছোট ব্যবসা। প্রকৃত শিল্পকারখানা খুবই কম।

শিল্পনগরীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অবকাঠামোর দুর্বলতা। নেই নিরাপত্তা বেষ্টনী, নেই পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা। এ ছাড়া আরও অনেক বাধা আছে। সড়ক বেহাল। রয়েছে জ্বালানি সংকট। ব্যাংক ঋণ পাওয়ার জটিলতা তো আছেই।

এসব কারণে নতুন উদ্যোক্তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে চান না। যারা টিকে আছেন, তারাও নানা সংকট মোকাবিলা করে কোনোমতে ব্যবসা চালাচ্ছেন। এক উদ্যোক্তা পরিষ্কার বলেছেন, নিরাপত্তা, রাস্তা, বিদ্যুৎ না থাকলে কেউই বিনিয়োগ করবে না।

বিসিক কর্তৃপক্ষ কিছু প্লট পুনঃবরাদ্দের উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বড় পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও বাজেট। শুধু উদ্যোক্তাদের ওপর নিরাপত্তা ও আলোর দায়িত্ব দিয়ে এই অচল নগরী সচল করা যাবে না।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা ঘোচাতে অবকাঠামো সংস্কার করা প্রয়োজন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা-বান্ধব নীতি, ঋণসহায়তার সহজ প্রক্রিয়া থাকাও জরুরি।

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর বয়স ৩৮ বছর। কিন্তু এত দিনেও এই শিল্পনগরী ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শুরুতে সম্ভাবনার বড় স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আজ এটি পরিণত হয়েছে এক পরিত্যক্ত এলাকা ও ব্যর্থ উন্নয়ন প্রকল্পের উদাহরণে।

১৯৮৭ সালে ১৫ দশমিক ৬ একর জায়গায় শিল্পনগরীটি গড়ে তোলা হয়। ১০৭টি প্লটের মধ্যে ২৯ উদ্যোক্তাকে বরাদ্দও দেওয়া হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে প্লটগুলোর ব্যবহার কমতে থাকে। বর্তমানে কার্যকর আছে মাত্র ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠান। তার বেশিরভাগই গুদামঘর বা ছোট ব্যবসা। প্রকৃত শিল্পকারখানা খুবই কম।

শিল্পনগরীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অবকাঠামোর দুর্বলতা। নেই নিরাপত্তা বেষ্টনী, নেই পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা। এ ছাড়া আরও অনেক বাধা আছে। সড়ক বেহাল। রয়েছে জ্বালানি সংকট। ব্যাংক ঋণ পাওয়ার জটিলতা তো আছেই।

এসব কারণে নতুন উদ্যোক্তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে চান না। যারা টিকে আছেন, তারাও নানা সংকট মোকাবিলা করে কোনোমতে ব্যবসা চালাচ্ছেন। এক উদ্যোক্তা পরিষ্কার বলেছেন, নিরাপত্তা, রাস্তা, বিদ্যুৎ না থাকলে কেউই বিনিয়োগ করবে না।

বিসিক কর্তৃপক্ষ কিছু প্লট পুনঃবরাদ্দের উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বড় পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও বাজেট। শুধু উদ্যোক্তাদের ওপর নিরাপত্তা ও আলোর দায়িত্ব দিয়ে এই অচল নগরী সচল করা যাবে না।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা ঘোচাতে অবকাঠামো সংস্কার করা প্রয়োজন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা-বান্ধব নীতি, ঋণসহায়তার সহজ প্রক্রিয়া থাকাও জরুরি।

back to top