বরগুনার আমতলী উপজেলায় বোরো ধান কেনায় সরকারি কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার কথা। এর উদ্দেশ্য কৃষকদের সুরক্ষা, ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখা। কিন্তু একটি সিন্ডিকেট এর বিপরীত কাজ করছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্য বিভাগ, ধান ক্রয় কমিটি ও খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ভুয়া কৃষক তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সাধারণ কৃষকরা যখন সরকারি গুদামে ধান নিয়ে গিয়েছেন, তখন ‘আর্দ্রতা বেশি’ দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সিন্ডিকেট সদস্যরা বাজার থেকে মণপ্রতি প্রায় ৩০০ টাকা কম দামে ধান কিনে সেই ধানই সরকারি গুদামে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছেন।
কাগজেকলমে ৭৩ জন কৃষকের নামে ধান ক্রয়ের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে তাদের অধিকাংশই ধান বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন। কোনো কোনো রাইস মিলের মালিক নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে সরকারি গুদামে বিক্রি করেছেন এবং পরে সেই ধান আবার মিলেও চাল করেছেন। অর্থাৎ একই ব্যক্তি ক্রেতা, বিক্রেতা ও মিলার- যা সরকারি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে, প্রান্তিক কৃষকদের কেউ ৭০ মণ, কেউ ৪৫ মণ ধান মিলের কাছে বিক্রি করেছেন, ন্যায্যমূল্য পাওয়ার সুযোগ না পেয়েই। আবার কেউ গুদামে ধান নিয়ে গিয়ে ফিরেছেন খালি হাতে। কৃষকদের শ্রম, কষ্ট ও উৎপাদনের প্রতি এমন অবহেলা অগ্রহণযোগ্য।
এই অবস্থায় আমতলীর কৃষকরা ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সরকারি খাদ্য ক্রয় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে হলে এই ধরনের অপরাধমূলক কারসাজির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আমতলীর এই ঘটনা শুধু স্থানীয় নয়, এটি দেশের সামগ্রিক খাদ্য ক্রয় ব্যবস্থার একটি সতর্ক সংকেত। এখনই ব্যবস্থা না নিলে প্রান্তিক কৃষক আরও বঞ্চিত হবে, বাজার আরও অস্থিতিশীল হবে এবং দুর্নীতির চক্র আরও শক্তিশালী হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
বরগুনার আমতলী উপজেলায় বোরো ধান কেনায় সরকারি কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার কথা। এর উদ্দেশ্য কৃষকদের সুরক্ষা, ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখা। কিন্তু একটি সিন্ডিকেট এর বিপরীত কাজ করছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্য বিভাগ, ধান ক্রয় কমিটি ও খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ভুয়া কৃষক তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সাধারণ কৃষকরা যখন সরকারি গুদামে ধান নিয়ে গিয়েছেন, তখন ‘আর্দ্রতা বেশি’ দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সিন্ডিকেট সদস্যরা বাজার থেকে মণপ্রতি প্রায় ৩০০ টাকা কম দামে ধান কিনে সেই ধানই সরকারি গুদামে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছেন।
কাগজেকলমে ৭৩ জন কৃষকের নামে ধান ক্রয়ের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে তাদের অধিকাংশই ধান বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন। কোনো কোনো রাইস মিলের মালিক নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে সরকারি গুদামে বিক্রি করেছেন এবং পরে সেই ধান আবার মিলেও চাল করেছেন। অর্থাৎ একই ব্যক্তি ক্রেতা, বিক্রেতা ও মিলার- যা সরকারি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে, প্রান্তিক কৃষকদের কেউ ৭০ মণ, কেউ ৪৫ মণ ধান মিলের কাছে বিক্রি করেছেন, ন্যায্যমূল্য পাওয়ার সুযোগ না পেয়েই। আবার কেউ গুদামে ধান নিয়ে গিয়ে ফিরেছেন খালি হাতে। কৃষকদের শ্রম, কষ্ট ও উৎপাদনের প্রতি এমন অবহেলা অগ্রহণযোগ্য।
এই অবস্থায় আমতলীর কৃষকরা ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সরকারি খাদ্য ক্রয় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে হলে এই ধরনের অপরাধমূলক কারসাজির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আমতলীর এই ঘটনা শুধু স্থানীয় নয়, এটি দেশের সামগ্রিক খাদ্য ক্রয় ব্যবস্থার একটি সতর্ক সংকেত। এখনই ব্যবস্থা না নিলে প্রান্তিক কৃষক আরও বঞ্চিত হবে, বাজার আরও অস্থিতিশীল হবে এবং দুর্নীতির চক্র আরও শক্তিশালী হবে।