alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলায় বোরো ধান কেনায় সরকারি কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার কথা। এর উদ্দেশ্য কৃষকদের সুরক্ষা, ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখা। কিন্তু একটি সিন্ডিকেট এর বিপরীত কাজ করছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্য বিভাগ, ধান ক্রয় কমিটি ও খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ভুয়া কৃষক তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সাধারণ কৃষকরা যখন সরকারি গুদামে ধান নিয়ে গিয়েছেন, তখন ‘আর্দ্রতা বেশি’ দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সিন্ডিকেট সদস্যরা বাজার থেকে মণপ্রতি প্রায় ৩০০ টাকা কম দামে ধান কিনে সেই ধানই সরকারি গুদামে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছেন।

কাগজেকলমে ৭৩ জন কৃষকের নামে ধান ক্রয়ের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে তাদের অধিকাংশই ধান বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন। কোনো কোনো রাইস মিলের মালিক নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে সরকারি গুদামে বিক্রি করেছেন এবং পরে সেই ধান আবার মিলেও চাল করেছেন। অর্থাৎ একই ব্যক্তি ক্রেতা, বিক্রেতা ও মিলার- যা সরকারি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

অন্যদিকে, প্রান্তিক কৃষকদের কেউ ৭০ মণ, কেউ ৪৫ মণ ধান মিলের কাছে বিক্রি করেছেন, ন্যায্যমূল্য পাওয়ার সুযোগ না পেয়েই। আবার কেউ গুদামে ধান নিয়ে গিয়ে ফিরেছেন খালি হাতে। কৃষকদের শ্রম, কষ্ট ও উৎপাদনের প্রতি এমন অবহেলা অগ্রহণযোগ্য।

এই অবস্থায় আমতলীর কৃষকরা ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সরকারি খাদ্য ক্রয় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে হলে এই ধরনের অপরাধমূলক কারসাজির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আমতলীর এই ঘটনা শুধু স্থানীয় নয়, এটি দেশের সামগ্রিক খাদ্য ক্রয় ব্যবস্থার একটি সতর্ক সংকেত। এখনই ব্যবস্থা না নিলে প্রান্তিক কৃষক আরও বঞ্চিত হবে, বাজার আরও অস্থিতিশীল হবে এবং দুর্নীতির চক্র আরও শক্তিশালী হবে।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলায় বোরো ধান কেনায় সরকারি কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার কথা। এর উদ্দেশ্য কৃষকদের সুরক্ষা, ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখা। কিন্তু একটি সিন্ডিকেট এর বিপরীত কাজ করছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্য বিভাগ, ধান ক্রয় কমিটি ও খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ভুয়া কৃষক তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সাধারণ কৃষকরা যখন সরকারি গুদামে ধান নিয়ে গিয়েছেন, তখন ‘আর্দ্রতা বেশি’ দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সিন্ডিকেট সদস্যরা বাজার থেকে মণপ্রতি প্রায় ৩০০ টাকা কম দামে ধান কিনে সেই ধানই সরকারি গুদামে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছেন।

কাগজেকলমে ৭৩ জন কৃষকের নামে ধান ক্রয়ের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে তাদের অধিকাংশই ধান বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন। কোনো কোনো রাইস মিলের মালিক নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে সরকারি গুদামে বিক্রি করেছেন এবং পরে সেই ধান আবার মিলেও চাল করেছেন। অর্থাৎ একই ব্যক্তি ক্রেতা, বিক্রেতা ও মিলার- যা সরকারি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

অন্যদিকে, প্রান্তিক কৃষকদের কেউ ৭০ মণ, কেউ ৪৫ মণ ধান মিলের কাছে বিক্রি করেছেন, ন্যায্যমূল্য পাওয়ার সুযোগ না পেয়েই। আবার কেউ গুদামে ধান নিয়ে গিয়ে ফিরেছেন খালি হাতে। কৃষকদের শ্রম, কষ্ট ও উৎপাদনের প্রতি এমন অবহেলা অগ্রহণযোগ্য।

এই অবস্থায় আমতলীর কৃষকরা ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সরকারি খাদ্য ক্রয় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে হলে এই ধরনের অপরাধমূলক কারসাজির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আমতলীর এই ঘটনা শুধু স্থানীয় নয়, এটি দেশের সামগ্রিক খাদ্য ক্রয় ব্যবস্থার একটি সতর্ক সংকেত। এখনই ব্যবস্থা না নিলে প্রান্তিক কৃষক আরও বঞ্চিত হবে, বাজার আরও অস্থিতিশীল হবে এবং দুর্নীতির চক্র আরও শক্তিশালী হবে।

back to top