কুষ্টিয়া শহরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিসসংলগ্ন প্রায় এক একর বাগানের ৭০টি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নওগাঁর একটি প্রতিষ্ঠান নিলামে গাছগুলো কেনার পর সেই গাছ কাটতে গেলে গণপূর্তের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে কাজ থামিয়ে দেন। এরপর দুই দপ্তরের মধ্যে এ নিয়ে রশি টানাটানি শুরু হয়।
গণপূর্তের অভিযোগ, গাছ কাটার কোনো আদেশ বা নোটিশ তাদের দেওয়া হয়নি। জমির রেকর্ড সংশোধনের মামলা আদালতে চলমান থাকা অবস্থায় সওজ গোপনে নিলামের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। গণপূর্তের দাবি, গাছগুলো তারাই রোপণ করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যাও করেছে। তারা বলছে, আদালতের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গাছ কাটা চলতে পারে না।
সওজের দাবি, জমির রেকর্ড তাদের নামে এবং আদালতের রায়ও তাদের পক্ষেই। সওজের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, নিলাম বৈধভাবে হয়েছে এবং গাছ কাটায় কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। নির্বাহী প্রকৌশলী দাবি করছেন, গাছ বিক্রি হয়েছে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমেই।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, এত বড় বাগানের ৭০টি পরিপক্ক গাছ মাত্র ১ লাখ ৮১ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া অস্বাভাবিক কম মূল্য। কাঠ ব্যবসায়ীরাও বলছেন, বাজারদরের সঙ্গে এই মূল্য কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নিলাম সীমিত পরিসরে করা হয়েছে, স্বচ্ছতা নেই। সরকারি সম্পদের মূল্য কম দেখিয়ে বিক্রি হওয়া দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়।
এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, সরকারি দুই দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি, নথিপত্রের অস্পষ্টতা এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার অভাব কত বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে। জমির মালিকানা আদালতে নিষ্পত্তিহীন থাকা অবস্থায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আরও সাবধানতার সঙ্গে নেওয়া উচিত ছিল। নিলাম, জমির মালিকানা এবং গাছ কাটার কারণ-সবকিছু স্পষ্ট না হলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি বারবারই তৈরি হবে। জনস্বার্থ, পরিবেশ এবং সরকারি সম্পদের নিরাপত্তা-এই তিন দিক বিবেচনায় এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়া শহরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিসসংলগ্ন প্রায় এক একর বাগানের ৭০টি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নওগাঁর একটি প্রতিষ্ঠান নিলামে গাছগুলো কেনার পর সেই গাছ কাটতে গেলে গণপূর্তের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে কাজ থামিয়ে দেন। এরপর দুই দপ্তরের মধ্যে এ নিয়ে রশি টানাটানি শুরু হয়।
গণপূর্তের অভিযোগ, গাছ কাটার কোনো আদেশ বা নোটিশ তাদের দেওয়া হয়নি। জমির রেকর্ড সংশোধনের মামলা আদালতে চলমান থাকা অবস্থায় সওজ গোপনে নিলামের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। গণপূর্তের দাবি, গাছগুলো তারাই রোপণ করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যাও করেছে। তারা বলছে, আদালতের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গাছ কাটা চলতে পারে না।
সওজের দাবি, জমির রেকর্ড তাদের নামে এবং আদালতের রায়ও তাদের পক্ষেই। সওজের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, নিলাম বৈধভাবে হয়েছে এবং গাছ কাটায় কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। নির্বাহী প্রকৌশলী দাবি করছেন, গাছ বিক্রি হয়েছে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমেই।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, এত বড় বাগানের ৭০টি পরিপক্ক গাছ মাত্র ১ লাখ ৮১ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া অস্বাভাবিক কম মূল্য। কাঠ ব্যবসায়ীরাও বলছেন, বাজারদরের সঙ্গে এই মূল্য কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নিলাম সীমিত পরিসরে করা হয়েছে, স্বচ্ছতা নেই। সরকারি সম্পদের মূল্য কম দেখিয়ে বিক্রি হওয়া দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়।
এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, সরকারি দুই দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি, নথিপত্রের অস্পষ্টতা এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার অভাব কত বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে। জমির মালিকানা আদালতে নিষ্পত্তিহীন থাকা অবস্থায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আরও সাবধানতার সঙ্গে নেওয়া উচিত ছিল। নিলাম, জমির মালিকানা এবং গাছ কাটার কারণ-সবকিছু স্পষ্ট না হলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি বারবারই তৈরি হবে। জনস্বার্থ, পরিবেশ এবং সরকারি সম্পদের নিরাপত্তা-এই তিন দিক বিবেচনায় এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।