alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

: রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়া শহরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিসসংলগ্ন প্রায় এক একর বাগানের ৭০টি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নওগাঁর একটি প্রতিষ্ঠান নিলামে গাছগুলো কেনার পর সেই গাছ কাটতে গেলে গণপূর্তের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে কাজ থামিয়ে দেন। এরপর দুই দপ্তরের মধ্যে এ নিয়ে রশি টানাটানি শুরু হয়।

গণপূর্তের অভিযোগ, গাছ কাটার কোনো আদেশ বা নোটিশ তাদের দেওয়া হয়নি। জমির রেকর্ড সংশোধনের মামলা আদালতে চলমান থাকা অবস্থায় সওজ গোপনে নিলামের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। গণপূর্তের দাবি, গাছগুলো তারাই রোপণ করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যাও করেছে। তারা বলছে, আদালতের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গাছ কাটা চলতে পারে না।

সওজের দাবি, জমির রেকর্ড তাদের নামে এবং আদালতের রায়ও তাদের পক্ষেই। সওজের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, নিলাম বৈধভাবে হয়েছে এবং গাছ কাটায় কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। নির্বাহী প্রকৌশলী দাবি করছেন, গাছ বিক্রি হয়েছে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমেই।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, এত বড় বাগানের ৭০টি পরিপক্ক গাছ মাত্র ১ লাখ ৮১ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া অস্বাভাবিক কম মূল্য। কাঠ ব্যবসায়ীরাও বলছেন, বাজারদরের সঙ্গে এই মূল্য কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নিলাম সীমিত পরিসরে করা হয়েছে, স্বচ্ছতা নেই। সরকারি সম্পদের মূল্য কম দেখিয়ে বিক্রি হওয়া দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়।

এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, সরকারি দুই দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি, নথিপত্রের অস্পষ্টতা এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার অভাব কত বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে। জমির মালিকানা আদালতে নিষ্পত্তিহীন থাকা অবস্থায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আরও সাবধানতার সঙ্গে নেওয়া উচিত ছিল। নিলাম, জমির মালিকানা এবং গাছ কাটার কারণ-সবকিছু স্পষ্ট না হলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি বারবারই তৈরি হবে। জনস্বার্থ, পরিবেশ এবং সরকারি সম্পদের নিরাপত্তা-এই তিন দিক বিবেচনায় এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়া শহরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিসসংলগ্ন প্রায় এক একর বাগানের ৭০টি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নওগাঁর একটি প্রতিষ্ঠান নিলামে গাছগুলো কেনার পর সেই গাছ কাটতে গেলে গণপূর্তের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে কাজ থামিয়ে দেন। এরপর দুই দপ্তরের মধ্যে এ নিয়ে রশি টানাটানি শুরু হয়।

গণপূর্তের অভিযোগ, গাছ কাটার কোনো আদেশ বা নোটিশ তাদের দেওয়া হয়নি। জমির রেকর্ড সংশোধনের মামলা আদালতে চলমান থাকা অবস্থায় সওজ গোপনে নিলামের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। গণপূর্তের দাবি, গাছগুলো তারাই রোপণ করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যাও করেছে। তারা বলছে, আদালতের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গাছ কাটা চলতে পারে না।

সওজের দাবি, জমির রেকর্ড তাদের নামে এবং আদালতের রায়ও তাদের পক্ষেই। সওজের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, নিলাম বৈধভাবে হয়েছে এবং গাছ কাটায় কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। নির্বাহী প্রকৌশলী দাবি করছেন, গাছ বিক্রি হয়েছে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমেই।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, এত বড় বাগানের ৭০টি পরিপক্ক গাছ মাত্র ১ লাখ ৮১ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া অস্বাভাবিক কম মূল্য। কাঠ ব্যবসায়ীরাও বলছেন, বাজারদরের সঙ্গে এই মূল্য কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নিলাম সীমিত পরিসরে করা হয়েছে, স্বচ্ছতা নেই। সরকারি সম্পদের মূল্য কম দেখিয়ে বিক্রি হওয়া দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়।

এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, সরকারি দুই দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি, নথিপত্রের অস্পষ্টতা এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার অভাব কত বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে। জমির মালিকানা আদালতে নিষ্পত্তিহীন থাকা অবস্থায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আরও সাবধানতার সঙ্গে নেওয়া উচিত ছিল। নিলাম, জমির মালিকানা এবং গাছ কাটার কারণ-সবকিছু স্পষ্ট না হলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি বারবারই তৈরি হবে। জনস্বার্থ, পরিবেশ এবং সরকারি সম্পদের নিরাপত্তা-এই তিন দিক বিবেচনায় এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

back to top