দেশে বাল্যবিযের হার কিছুটা কমেছে। ২০১৯ সালের ৬০ শতাংশ থেকে এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশে। এটি ইতিবাচক খবর। সমস্যা হচ্ছে, এখনও প্রতি দুটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। এমআইসিএস জরিপ থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
আরও উদ্বেগজনক হলো শিশুশ্রম, স্কুলের বাইরে থাকা শিশু, এবং কিশোরী মায়েদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। মাধ্যমিকের বয়সী প্রায় ৩৪ শতাংশ শিশু স্কুলে নেই। শিশুশ্রম বেড়ে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ, শিশুদের শিক্ষার পথ সংকুচিত হচ্ছে, আর দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য তাদের ভবিষ্যতের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।
জরিপে এবার প্রথমবারের মতো সিসা ও ভারী ধাতুদূষণের তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ঢাকায় শিশুদের ৬৫ শতাংশের রক্তে নিরাপদ সীমার বেশি সিসা পাওয়া গেছে। এটি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সরাসরি হুমকি। পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতিও এখনো অত্যন্ত দুর্বল। পানির অর্ধেক উৎস ই. কোলাই দূষিত। এটি যে কত বড় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি, তা বলাই বাহুল্য।
জাতীয় জরিপ আমাদের যে সতর্কতা দিয়েছে, তা খুব স্পষ্ট, অগ্রগতি হচ্ছে, কিন্তু সংকটও বিস্তৃত হচ্ছে। নীতিনির্ধারকদের কাজ এখন শুধু সংখ্যার উন্নতি নয়, সমস্যার মূল জায়গায় আঘাত করা। বাল্যবিয়ে কমাতে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সচেতনতা, কিশোরীদের শিক্ষায় বিনিয়োগ-সবকিছুকেই আরও শক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে শিশুশ্রম, স্কুল ত্যাগ ও সিসাদূষণের মতো সমস্যায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই প্রতিবেদন আমাদের দেশের শিশুদের বর্তমান চিত্র, আবার ভবিষ্যতেরও চিত্র। প্রতিটি শিশুর স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও বিকাশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এখনই। নইলে ভবিষ্যতে এর মূল্য আরও অনেক বেশি দিতে হবে সমাজকে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
দেশে বাল্যবিযের হার কিছুটা কমেছে। ২০১৯ সালের ৬০ শতাংশ থেকে এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশে। এটি ইতিবাচক খবর। সমস্যা হচ্ছে, এখনও প্রতি দুটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। এমআইসিএস জরিপ থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
আরও উদ্বেগজনক হলো শিশুশ্রম, স্কুলের বাইরে থাকা শিশু, এবং কিশোরী মায়েদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। মাধ্যমিকের বয়সী প্রায় ৩৪ শতাংশ শিশু স্কুলে নেই। শিশুশ্রম বেড়ে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ, শিশুদের শিক্ষার পথ সংকুচিত হচ্ছে, আর দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য তাদের ভবিষ্যতের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।
জরিপে এবার প্রথমবারের মতো সিসা ও ভারী ধাতুদূষণের তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ঢাকায় শিশুদের ৬৫ শতাংশের রক্তে নিরাপদ সীমার বেশি সিসা পাওয়া গেছে। এটি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সরাসরি হুমকি। পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতিও এখনো অত্যন্ত দুর্বল। পানির অর্ধেক উৎস ই. কোলাই দূষিত। এটি যে কত বড় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি, তা বলাই বাহুল্য।
জাতীয় জরিপ আমাদের যে সতর্কতা দিয়েছে, তা খুব স্পষ্ট, অগ্রগতি হচ্ছে, কিন্তু সংকটও বিস্তৃত হচ্ছে। নীতিনির্ধারকদের কাজ এখন শুধু সংখ্যার উন্নতি নয়, সমস্যার মূল জায়গায় আঘাত করা। বাল্যবিয়ে কমাতে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সচেতনতা, কিশোরীদের শিক্ষায় বিনিয়োগ-সবকিছুকেই আরও শক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে শিশুশ্রম, স্কুল ত্যাগ ও সিসাদূষণের মতো সমস্যায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই প্রতিবেদন আমাদের দেশের শিশুদের বর্তমান চিত্র, আবার ভবিষ্যতেরও চিত্র। প্রতিটি শিশুর স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও বিকাশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এখনই। নইলে ভবিষ্যতে এর মূল্য আরও অনেক বেশি দিতে হবে সমাজকে।