alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

: সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

দেশে বাল্যবিযের হার কিছুটা কমেছে। ২০১৯ সালের ৬০ শতাংশ থেকে এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশে। এটি ইতিবাচক খবর। সমস্যা হচ্ছে, এখনও প্রতি দুটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। এমআইসিএস জরিপ থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

আরও উদ্বেগজনক হলো শিশুশ্রম, স্কুলের বাইরে থাকা শিশু, এবং কিশোরী মায়েদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। মাধ্যমিকের বয়সী প্রায় ৩৪ শতাংশ শিশু স্কুলে নেই। শিশুশ্রম বেড়ে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ, শিশুদের শিক্ষার পথ সংকুচিত হচ্ছে, আর দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য তাদের ভবিষ্যতের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।

জরিপে এবার প্রথমবারের মতো সিসা ও ভারী ধাতুদূষণের তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ঢাকায় শিশুদের ৬৫ শতাংশের রক্তে নিরাপদ সীমার বেশি সিসা পাওয়া গেছে। এটি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সরাসরি হুমকি। পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতিও এখনো অত্যন্ত দুর্বল। পানির অর্ধেক উৎস ই. কোলাই দূষিত। এটি যে কত বড় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি, তা বলাই বাহুল্য।

জাতীয় জরিপ আমাদের যে সতর্কতা দিয়েছে, তা খুব স্পষ্ট, অগ্রগতি হচ্ছে, কিন্তু সংকটও বিস্তৃত হচ্ছে। নীতিনির্ধারকদের কাজ এখন শুধু সংখ্যার উন্নতি নয়, সমস্যার মূল জায়গায় আঘাত করা। বাল্যবিয়ে কমাতে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সচেতনতা, কিশোরীদের শিক্ষায় বিনিয়োগ-সবকিছুকেই আরও শক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে শিশুশ্রম, স্কুল ত্যাগ ও সিসাদূষণের মতো সমস্যায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই প্রতিবেদন আমাদের দেশের শিশুদের বর্তমান চিত্র, আবার ভবিষ্যতেরও চিত্র। প্রতিটি শিশুর স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও বিকাশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এখনই। নইলে ভবিষ্যতে এর মূল্য আরও অনেক বেশি দিতে হবে সমাজকে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

দেশে বাল্যবিযের হার কিছুটা কমেছে। ২০১৯ সালের ৬০ শতাংশ থেকে এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশে। এটি ইতিবাচক খবর। সমস্যা হচ্ছে, এখনও প্রতি দুটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। এমআইসিএস জরিপ থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

আরও উদ্বেগজনক হলো শিশুশ্রম, স্কুলের বাইরে থাকা শিশু, এবং কিশোরী মায়েদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। মাধ্যমিকের বয়সী প্রায় ৩৪ শতাংশ শিশু স্কুলে নেই। শিশুশ্রম বেড়ে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ, শিশুদের শিক্ষার পথ সংকুচিত হচ্ছে, আর দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য তাদের ভবিষ্যতের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।

জরিপে এবার প্রথমবারের মতো সিসা ও ভারী ধাতুদূষণের তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ঢাকায় শিশুদের ৬৫ শতাংশের রক্তে নিরাপদ সীমার বেশি সিসা পাওয়া গেছে। এটি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সরাসরি হুমকি। পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতিও এখনো অত্যন্ত দুর্বল। পানির অর্ধেক উৎস ই. কোলাই দূষিত। এটি যে কত বড় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি, তা বলাই বাহুল্য।

জাতীয় জরিপ আমাদের যে সতর্কতা দিয়েছে, তা খুব স্পষ্ট, অগ্রগতি হচ্ছে, কিন্তু সংকটও বিস্তৃত হচ্ছে। নীতিনির্ধারকদের কাজ এখন শুধু সংখ্যার উন্নতি নয়, সমস্যার মূল জায়গায় আঘাত করা। বাল্যবিয়ে কমাতে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সচেতনতা, কিশোরীদের শিক্ষায় বিনিয়োগ-সবকিছুকেই আরও শক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে শিশুশ্রম, স্কুল ত্যাগ ও সিসাদূষণের মতো সমস্যায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই প্রতিবেদন আমাদের দেশের শিশুদের বর্তমান চিত্র, আবার ভবিষ্যতেরও চিত্র। প্রতিটি শিশুর স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও বিকাশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এখনই। নইলে ভবিষ্যতে এর মূল্য আরও অনেক বেশি দিতে হবে সমাজকে।

back to top