alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পাবনার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিল দীর্ঘদিন ধরেই দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি ও মৎস্যভূমি। এটা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র।

যখন মাছের মৌসুম শেষ হয়, তখনই কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন পেঁয়াজসহ রবি ফসলের প্রস্তুতিতে। শরতের পর হেমন্তের মৃদু শীতে এখন বীজতলা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেকের চারা দু’পাতা বের করেছে, কারও সদ্য চারা উঠছে। অর্থাৎ কৃষি মৌসুম শুরু হওয়ার কথা। অথচ এ সময়ও জমিতে বর্ষার পানি আটকে আছে। অগ্রহায়ণ পার হলেও পানি এখনো নামেনি, বরং জলজ আগাছায় ভরে আছে গোটা বিল।

কৃষকদের অভিযোগ, স্লুইসগেট দিয়ে পানি বের হওয়ার স্বাভাবিক পথ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সুতি জাল পাতা থাকায় পানি নামতে পারছে না। স্থানীয় কৃষকেরা বহুবার অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। প্রশাসনিক তদারকির এই ঘাটতি এখন পুরো অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিতে পারে।

পেঁয়াজের চারা ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেলে সময়মতো রোপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। জমির জো না এলে লাগানো যায় না, আর লাগাতে দেরি হলে ফলন কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কৃষকেরা যে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার কথা বলছেন তা কেবল ব্যক্তিগত দুর্ভোগ নয়, বরং দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। সুজানগরের পেঁয়াজ দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই অঞ্চলে উৎপাদন ব্যাহত হলে তার প্রভাব সারা দেশেই পড়ে।

এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করা এবং স্লুইসগেট ব্যবস্থাপনা কঠোরভাবে তদারকি করা প্রয়োজন। অবৈধ সুতি জাল অপসারণ ও নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। সেখানে কৃষিকাজের মৌসুম দীর্ঘ নয়, মাত্র কয়েক দিনের বিলম্বেই ফলনে বড় ক্ষতি হতে পারে। কাজেই ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত।

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পাবনার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিল দীর্ঘদিন ধরেই দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি ও মৎস্যভূমি। এটা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র।

যখন মাছের মৌসুম শেষ হয়, তখনই কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন পেঁয়াজসহ রবি ফসলের প্রস্তুতিতে। শরতের পর হেমন্তের মৃদু শীতে এখন বীজতলা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেকের চারা দু’পাতা বের করেছে, কারও সদ্য চারা উঠছে। অর্থাৎ কৃষি মৌসুম শুরু হওয়ার কথা। অথচ এ সময়ও জমিতে বর্ষার পানি আটকে আছে। অগ্রহায়ণ পার হলেও পানি এখনো নামেনি, বরং জলজ আগাছায় ভরে আছে গোটা বিল।

কৃষকদের অভিযোগ, স্লুইসগেট দিয়ে পানি বের হওয়ার স্বাভাবিক পথ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সুতি জাল পাতা থাকায় পানি নামতে পারছে না। স্থানীয় কৃষকেরা বহুবার অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। প্রশাসনিক তদারকির এই ঘাটতি এখন পুরো অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিতে পারে।

পেঁয়াজের চারা ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেলে সময়মতো রোপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। জমির জো না এলে লাগানো যায় না, আর লাগাতে দেরি হলে ফলন কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কৃষকেরা যে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার কথা বলছেন তা কেবল ব্যক্তিগত দুর্ভোগ নয়, বরং দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। সুজানগরের পেঁয়াজ দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই অঞ্চলে উৎপাদন ব্যাহত হলে তার প্রভাব সারা দেশেই পড়ে।

এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করা এবং স্লুইসগেট ব্যবস্থাপনা কঠোরভাবে তদারকি করা প্রয়োজন। অবৈধ সুতি জাল অপসারণ ও নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। সেখানে কৃষিকাজের মৌসুম দীর্ঘ নয়, মাত্র কয়েক দিনের বিলম্বেই ফলনে বড় ক্ষতি হতে পারে। কাজেই ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত।

back to top