পাবনার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিল দীর্ঘদিন ধরেই দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি ও মৎস্যভূমি। এটা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র।
যখন মাছের মৌসুম শেষ হয়, তখনই কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন পেঁয়াজসহ রবি ফসলের প্রস্তুতিতে। শরতের পর হেমন্তের মৃদু শীতে এখন বীজতলা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেকের চারা দু’পাতা বের করেছে, কারও সদ্য চারা উঠছে। অর্থাৎ কৃষি মৌসুম শুরু হওয়ার কথা। অথচ এ সময়ও জমিতে বর্ষার পানি আটকে আছে। অগ্রহায়ণ পার হলেও পানি এখনো নামেনি, বরং জলজ আগাছায় ভরে আছে গোটা বিল।
কৃষকদের অভিযোগ, স্লুইসগেট দিয়ে পানি বের হওয়ার স্বাভাবিক পথ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সুতি জাল পাতা থাকায় পানি নামতে পারছে না। স্থানীয় কৃষকেরা বহুবার অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। প্রশাসনিক তদারকির এই ঘাটতি এখন পুরো অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিতে পারে।
পেঁয়াজের চারা ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেলে সময়মতো রোপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। জমির জো না এলে লাগানো যায় না, আর লাগাতে দেরি হলে ফলন কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কৃষকেরা যে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার কথা বলছেন তা কেবল ব্যক্তিগত দুর্ভোগ নয়, বরং দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। সুজানগরের পেঁয়াজ দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই অঞ্চলে উৎপাদন ব্যাহত হলে তার প্রভাব সারা দেশেই পড়ে।
এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করা এবং স্লুইসগেট ব্যবস্থাপনা কঠোরভাবে তদারকি করা প্রয়োজন। অবৈধ সুতি জাল অপসারণ ও নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। সেখানে কৃষিকাজের মৌসুম দীর্ঘ নয়, মাত্র কয়েক দিনের বিলম্বেই ফলনে বড় ক্ষতি হতে পারে। কাজেই ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
পাবনার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিল দীর্ঘদিন ধরেই দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি ও মৎস্যভূমি। এটা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র।
যখন মাছের মৌসুম শেষ হয়, তখনই কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন পেঁয়াজসহ রবি ফসলের প্রস্তুতিতে। শরতের পর হেমন্তের মৃদু শীতে এখন বীজতলা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেকের চারা দু’পাতা বের করেছে, কারও সদ্য চারা উঠছে। অর্থাৎ কৃষি মৌসুম শুরু হওয়ার কথা। অথচ এ সময়ও জমিতে বর্ষার পানি আটকে আছে। অগ্রহায়ণ পার হলেও পানি এখনো নামেনি, বরং জলজ আগাছায় ভরে আছে গোটা বিল।
কৃষকদের অভিযোগ, স্লুইসগেট দিয়ে পানি বের হওয়ার স্বাভাবিক পথ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সুতি জাল পাতা থাকায় পানি নামতে পারছে না। স্থানীয় কৃষকেরা বহুবার অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। প্রশাসনিক তদারকির এই ঘাটতি এখন পুরো অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিতে পারে।
পেঁয়াজের চারা ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেলে সময়মতো রোপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। জমির জো না এলে লাগানো যায় না, আর লাগাতে দেরি হলে ফলন কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কৃষকেরা যে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার কথা বলছেন তা কেবল ব্যক্তিগত দুর্ভোগ নয়, বরং দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। সুজানগরের পেঁয়াজ দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই অঞ্চলে উৎপাদন ব্যাহত হলে তার প্রভাব সারা দেশেই পড়ে।
এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করা এবং স্লুইসগেট ব্যবস্থাপনা কঠোরভাবে তদারকি করা প্রয়োজন। অবৈধ সুতি জাল অপসারণ ও নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। সেখানে কৃষিকাজের মৌসুম দীর্ঘ নয়, মাত্র কয়েক দিনের বিলম্বেই ফলনে বড় ক্ষতি হতে পারে। কাজেই ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত।