চুয়াডাঙ্গায় ঋতুবৈচিত্র্যের হঠাৎ পরিবর্তন যেন নতুন সংকট ডেকে এনেছে। দিনে গরম, রাতে হঠাৎ ঠান্ডা-এই অস্থির আবহাওয়ার ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লেগেছে শিশুদের ওপর। জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত ১৬ দিনে ৫৪৮ জন রোগী ভর্তি হওয়া পরিস্থিতির অবনতির দিকটি স্পষ্ট করে। শিশু ওয়ার্ডে ৩৬৩ জন রোগী। তাদের বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও ১৮৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যেখানে নারী, শিশু ও বয়স্ক সবাই রয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
রোটা ভাইরাসে ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং ঠাণ্ডাজনিত নিউমোনিয়ার দ্রুত মারাত্মক হয়ে ওঠা চিকিৎসকদের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার। ইতিমধ্যে দুই নবজাতকের মৃত্যু এ সংকটকে আরও গভীর করেছে।
এ অবস্থায় অভিভাবকদের আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসা স্বাভাবিক। কেউ সন্তানকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করছেন, কেউ ডায়রিয়ার চিকিৎসা খুঁজছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। অভিভাবকদের দায়িত্বও এখানে কম নয়। শিশুদের উষ্ণ কাপড় পরানো, নিয়মিত মায়ের দুধ খাওয়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, বিছানা ও জনবল নিশ্চিত করা না গেলে মৌসুমি রোগের চাপ ঠেকানো কঠিন হবে। তবে প্রস্তুতি থাকলে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। চুয়াডাঙ্গার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থাও সময়মতো বদলাতে হয়। জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এই সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
চুয়াডাঙ্গায় ঋতুবৈচিত্র্যের হঠাৎ পরিবর্তন যেন নতুন সংকট ডেকে এনেছে। দিনে গরম, রাতে হঠাৎ ঠান্ডা-এই অস্থির আবহাওয়ার ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লেগেছে শিশুদের ওপর। জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত ১৬ দিনে ৫৪৮ জন রোগী ভর্তি হওয়া পরিস্থিতির অবনতির দিকটি স্পষ্ট করে। শিশু ওয়ার্ডে ৩৬৩ জন রোগী। তাদের বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও ১৮৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যেখানে নারী, শিশু ও বয়স্ক সবাই রয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
রোটা ভাইরাসে ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং ঠাণ্ডাজনিত নিউমোনিয়ার দ্রুত মারাত্মক হয়ে ওঠা চিকিৎসকদের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার। ইতিমধ্যে দুই নবজাতকের মৃত্যু এ সংকটকে আরও গভীর করেছে।
এ অবস্থায় অভিভাবকদের আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসা স্বাভাবিক। কেউ সন্তানকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করছেন, কেউ ডায়রিয়ার চিকিৎসা খুঁজছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। অভিভাবকদের দায়িত্বও এখানে কম নয়। শিশুদের উষ্ণ কাপড় পরানো, নিয়মিত মায়ের দুধ খাওয়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, বিছানা ও জনবল নিশ্চিত করা না গেলে মৌসুমি রোগের চাপ ঠেকানো কঠিন হবে। তবে প্রস্তুতি থাকলে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। চুয়াডাঙ্গার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থাও সময়মতো বদলাতে হয়। জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এই সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব।