alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ঋতুবৈচিত্র্যের হঠাৎ পরিবর্তন যেন নতুন সংকট ডেকে এনেছে। দিনে গরম, রাতে হঠাৎ ঠান্ডা-এই অস্থির আবহাওয়ার ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লেগেছে শিশুদের ওপর। জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত ১৬ দিনে ৫৪৮ জন রোগী ভর্তি হওয়া পরিস্থিতির অবনতির দিকটি স্পষ্ট করে। শিশু ওয়ার্ডে ৩৬৩ জন রোগী। তাদের বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও ১৮৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যেখানে নারী, শিশু ও বয়স্ক সবাই রয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

রোটা ভাইরাসে ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং ঠাণ্ডাজনিত নিউমোনিয়ার দ্রুত মারাত্মক হয়ে ওঠা চিকিৎসকদের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার। ইতিমধ্যে দুই নবজাতকের মৃত্যু এ সংকটকে আরও গভীর করেছে।

এ অবস্থায় অভিভাবকদের আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসা স্বাভাবিক। কেউ সন্তানকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করছেন, কেউ ডায়রিয়ার চিকিৎসা খুঁজছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। অভিভাবকদের দায়িত্বও এখানে কম নয়। শিশুদের উষ্ণ কাপড় পরানো, নিয়মিত মায়ের দুধ খাওয়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, বিছানা ও জনবল নিশ্চিত করা না গেলে মৌসুমি রোগের চাপ ঠেকানো কঠিন হবে। তবে প্রস্তুতি থাকলে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। চুয়াডাঙ্গার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থাও সময়মতো বদলাতে হয়। জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এই সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব।

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ঋতুবৈচিত্র্যের হঠাৎ পরিবর্তন যেন নতুন সংকট ডেকে এনেছে। দিনে গরম, রাতে হঠাৎ ঠান্ডা-এই অস্থির আবহাওয়ার ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লেগেছে শিশুদের ওপর। জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত ১৬ দিনে ৫৪৮ জন রোগী ভর্তি হওয়া পরিস্থিতির অবনতির দিকটি স্পষ্ট করে। শিশু ওয়ার্ডে ৩৬৩ জন রোগী। তাদের বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও ১৮৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যেখানে নারী, শিশু ও বয়স্ক সবাই রয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

রোটা ভাইরাসে ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং ঠাণ্ডাজনিত নিউমোনিয়ার দ্রুত মারাত্মক হয়ে ওঠা চিকিৎসকদের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার। ইতিমধ্যে দুই নবজাতকের মৃত্যু এ সংকটকে আরও গভীর করেছে।

এ অবস্থায় অভিভাবকদের আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসা স্বাভাবিক। কেউ সন্তানকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করছেন, কেউ ডায়রিয়ার চিকিৎসা খুঁজছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। অভিভাবকদের দায়িত্বও এখানে কম নয়। শিশুদের উষ্ণ কাপড় পরানো, নিয়মিত মায়ের দুধ খাওয়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, বিছানা ও জনবল নিশ্চিত করা না গেলে মৌসুমি রোগের চাপ ঠেকানো কঠিন হবে। তবে প্রস্তুতি থাকলে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। চুয়াডাঙ্গার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থাও সময়মতো বদলাতে হয়। জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এই সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব।

back to top