নরসিংদীর শিবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির প্রথম দিনেই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ বিদ্যালয় কোনো খাবারই পায়নি, কিছু বিদ্যালয় পেয়েছে দেরীতে, আর কিছু বিদ্যালয় ঘোষিত দুইটি খাবার ঠিকমতো পায়নি। কোথাও দুধ নেই, কোথাও রুটিই একমাত্র ভরসা। এমনকি যা দেওয়া হয়েছে, তাতেও ১০ শতাংশ ঘাটতি। উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, রুটির উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লেখা নেই। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানেন না খাবার কোন ঠিকাদার দিচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারও জানেন না। এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত জানান, তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি না-ই জানে যে খাবার কারা বিতরণ করছে, তাহলে এই প্রকল্প পরিচালনা করছে কে?
শিবপুর উপজেলায় প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে। এত বড় কর্মসূচি হাতে নিয়েও যদি শুরুতেই এভাবে ভেঙে পড়ে, তাহলে সামনের দিনগুলোতে কী হবে? শিক্ষকরা বিব্রত, অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ, আর সবচেয়ে বেশি হতাশ শিশু শিক্ষার্থীরা। যারা খাবারের প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে এসেছিল, তারা পেল তিক্ত অভিজ্ঞতা।
স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করা, ঝরে পড়া রোধ করা ও বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ বাড়ানো। কিন্তু এমন অনিয়ম চলতে থাকলে এই কর্মসূচিই উল্টো শিক্ষার্থীদের হতাশ করবে।
আমরা বলতে চাই, স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে যে অনিয়ম ঘটেছে তার দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। খাবার সরবরাহ ও বিতরণকারীদের পরিচয়, যোগ্যতা, চুক্তির ধরন ও কার্যক্রম প্রকাশ্যে আনতে হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে খাবার পৌঁছানোর সময়, পরিমাণ ও মান নিশ্চিত করার জন্য একটি স্বচ্ছ তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে এ ধরনের উদাসীনতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। স্কুল ফিডিং শুধু খাবার বিতরণের ব্যবস্থা নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা মানে জাতি হিসেবে আমাদেরই ব্যর্থতা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
নরসিংদীর শিবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির প্রথম দিনেই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ বিদ্যালয় কোনো খাবারই পায়নি, কিছু বিদ্যালয় পেয়েছে দেরীতে, আর কিছু বিদ্যালয় ঘোষিত দুইটি খাবার ঠিকমতো পায়নি। কোথাও দুধ নেই, কোথাও রুটিই একমাত্র ভরসা। এমনকি যা দেওয়া হয়েছে, তাতেও ১০ শতাংশ ঘাটতি। উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, রুটির উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লেখা নেই। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানেন না খাবার কোন ঠিকাদার দিচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারও জানেন না। এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত জানান, তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি না-ই জানে যে খাবার কারা বিতরণ করছে, তাহলে এই প্রকল্প পরিচালনা করছে কে?
শিবপুর উপজেলায় প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে। এত বড় কর্মসূচি হাতে নিয়েও যদি শুরুতেই এভাবে ভেঙে পড়ে, তাহলে সামনের দিনগুলোতে কী হবে? শিক্ষকরা বিব্রত, অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ, আর সবচেয়ে বেশি হতাশ শিশু শিক্ষার্থীরা। যারা খাবারের প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে এসেছিল, তারা পেল তিক্ত অভিজ্ঞতা।
স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করা, ঝরে পড়া রোধ করা ও বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ বাড়ানো। কিন্তু এমন অনিয়ম চলতে থাকলে এই কর্মসূচিই উল্টো শিক্ষার্থীদের হতাশ করবে।
আমরা বলতে চাই, স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে যে অনিয়ম ঘটেছে তার দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। খাবার সরবরাহ ও বিতরণকারীদের পরিচয়, যোগ্যতা, চুক্তির ধরন ও কার্যক্রম প্রকাশ্যে আনতে হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে খাবার পৌঁছানোর সময়, পরিমাণ ও মান নিশ্চিত করার জন্য একটি স্বচ্ছ তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে এ ধরনের উদাসীনতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। স্কুল ফিডিং শুধু খাবার বিতরণের ব্যবস্থা নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা মানে জাতি হিসেবে আমাদেরই ব্যর্থতা।