কুমিল্লার চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের একটি ভবন হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানকার তিনটি ভবনের মধ্যে একটি ভবনে পরিবার পরিকল্পনা অফিস, অন্যটিতে নিয়মিত কার্যক্রম, আর আবাসিক ভবনটি তালাবদ্ধ। তার ওপর পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের দপ্তর পরিণত হয়েছে ব্যবসায়ীর গোডাউনে।
সরকারি ভবনকে ব্যক্তিগত ব্যবসার গোডাউন বানানোর অনুমতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারি অবকাঠামো রক্ষার দায়িত্ব যাদের তারাই যদি অনিয়ম করেন তাহলে সেটা রক্ষা পাবে কীকরে।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি জানতেনই না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেই ব্যবস্থা নিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, অধস্তন স্বাস্থ্যকর্মীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের নিয়মিত ব্যবস্থা কোথায়? একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন অবৈধভাবে ভাড়া দেওয়া হলো, মাসের পর মাস গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হলো, প্রশাসন এর কিছুই জানল না? এটি নজরদারির অভাব, দায়িত্ব অবহেলা এবং তদারকি ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে।
স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। অথচ আমাদের দেশে অনেক এলাকায় এখনো প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মানুষ নির্ভর করে ইউনিয়ন পর্যায়ের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর ওপর। সেখানে যদি সেবার জায়গা তালাবদ্ধ থাকে, আর প্রয়োজনীয় অফিস ব্যবসায়ীদের মালামালে ভরা থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কোথায় দাঁড়ায়?
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা প্রয়োজন। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। অব্যবহৃত বা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থাকলে সেগুলো সংস্কার ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কোনো স্বাস্থ্যকর্মী অজুহাত দেখিয়ে সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে না পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের একটি ভবন হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানকার তিনটি ভবনের মধ্যে একটি ভবনে পরিবার পরিকল্পনা অফিস, অন্যটিতে নিয়মিত কার্যক্রম, আর আবাসিক ভবনটি তালাবদ্ধ। তার ওপর পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের দপ্তর পরিণত হয়েছে ব্যবসায়ীর গোডাউনে।
সরকারি ভবনকে ব্যক্তিগত ব্যবসার গোডাউন বানানোর অনুমতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারি অবকাঠামো রক্ষার দায়িত্ব যাদের তারাই যদি অনিয়ম করেন তাহলে সেটা রক্ষা পাবে কীকরে।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি জানতেনই না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেই ব্যবস্থা নিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, অধস্তন স্বাস্থ্যকর্মীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের নিয়মিত ব্যবস্থা কোথায়? একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন অবৈধভাবে ভাড়া দেওয়া হলো, মাসের পর মাস গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হলো, প্রশাসন এর কিছুই জানল না? এটি নজরদারির অভাব, দায়িত্ব অবহেলা এবং তদারকি ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে।
স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। অথচ আমাদের দেশে অনেক এলাকায় এখনো প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মানুষ নির্ভর করে ইউনিয়ন পর্যায়ের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর ওপর। সেখানে যদি সেবার জায়গা তালাবদ্ধ থাকে, আর প্রয়োজনীয় অফিস ব্যবসায়ীদের মালামালে ভরা থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কোথায় দাঁড়ায়?
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা প্রয়োজন। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। অব্যবহৃত বা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থাকলে সেগুলো সংস্কার ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কোনো স্বাস্থ্যকর্মী অজুহাত দেখিয়ে সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে না পারে।