alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানিয়েছেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির’ কারণে সোহেলকে সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ‘ভুল বোঝাবুঝিটা’ কী, মধ্যরাতে পাঁচ-ছয়জন ‘ডিবি’ পরিচয়ধারী কর্মকর্তা কেন তাকে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন?

সোহেলের অভিযোগ, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতে একটি সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করতেই তাকে আটক করা হয়। আমরা মনে করি, এমন অভিযোগ অবশ্যই উচ্চপর্যায়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।

একজন উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত নন, এ বিষয়ে তদন্ত ছাড়া কিছু বলতে পারবেন না। এধরনের বক্তব্য বিষয়টিকে আরও ঘোলাটে করেছে। সব মিলিয়ে জনগণের মনে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ঘটনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সাংবাদিক সমাজ, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সংগঠন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গভীর রাতে কাউকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া আইন ও মানবাধিকারের স্বীকৃত নীতির পরিপন্থী। অতীতে এমন ঘটনাগুলো নিয়ে যে সমালোচনা ছিল, বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃসময়ের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা জাগায়। চব্বিশে গণঅভ্যূত্থান হয়েছিল কি অতীতের পুনরাবৃত্তির জন্য? তাহলে পরিবর্তনটা হল কোথায়?

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সোহেলকে ‘সসম্মানে’ বাসায় দিয়ে আসার মধ্য দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।

সোহেলের ঘটনা একটি সতর্কবার্তা। রাষ্ট্রকে এখনই পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে যে, আইন সবাইকে মানতে হবে, দেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের স্থান কোনো নেই।

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানিয়েছেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির’ কারণে সোহেলকে সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ‘ভুল বোঝাবুঝিটা’ কী, মধ্যরাতে পাঁচ-ছয়জন ‘ডিবি’ পরিচয়ধারী কর্মকর্তা কেন তাকে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন?

সোহেলের অভিযোগ, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতে একটি সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করতেই তাকে আটক করা হয়। আমরা মনে করি, এমন অভিযোগ অবশ্যই উচ্চপর্যায়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।

একজন উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত নন, এ বিষয়ে তদন্ত ছাড়া কিছু বলতে পারবেন না। এধরনের বক্তব্য বিষয়টিকে আরও ঘোলাটে করেছে। সব মিলিয়ে জনগণের মনে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ঘটনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সাংবাদিক সমাজ, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সংগঠন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গভীর রাতে কাউকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া আইন ও মানবাধিকারের স্বীকৃত নীতির পরিপন্থী। অতীতে এমন ঘটনাগুলো নিয়ে যে সমালোচনা ছিল, বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃসময়ের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা জাগায়। চব্বিশে গণঅভ্যূত্থান হয়েছিল কি অতীতের পুনরাবৃত্তির জন্য? তাহলে পরিবর্তনটা হল কোথায়?

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সোহেলকে ‘সসম্মানে’ বাসায় দিয়ে আসার মধ্য দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।

সোহেলের ঘটনা একটি সতর্কবার্তা। রাষ্ট্রকে এখনই পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে যে, আইন সবাইকে মানতে হবে, দেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের স্থান কোনো নেই।

back to top