দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানিয়েছেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির’ কারণে সোহেলকে সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ‘ভুল বোঝাবুঝিটা’ কী, মধ্যরাতে পাঁচ-ছয়জন ‘ডিবি’ পরিচয়ধারী কর্মকর্তা কেন তাকে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন?
সোহেলের অভিযোগ, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতে একটি সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করতেই তাকে আটক করা হয়। আমরা মনে করি, এমন অভিযোগ অবশ্যই উচ্চপর্যায়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।
একজন উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত নন, এ বিষয়ে তদন্ত ছাড়া কিছু বলতে পারবেন না। এধরনের বক্তব্য বিষয়টিকে আরও ঘোলাটে করেছে। সব মিলিয়ে জনগণের মনে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ঘটনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সাংবাদিক সমাজ, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সংগঠন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গভীর রাতে কাউকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া আইন ও মানবাধিকারের স্বীকৃত নীতির পরিপন্থী। অতীতে এমন ঘটনাগুলো নিয়ে যে সমালোচনা ছিল, বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃসময়ের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা জাগায়। চব্বিশে গণঅভ্যূত্থান হয়েছিল কি অতীতের পুনরাবৃত্তির জন্য? তাহলে পরিবর্তনটা হল কোথায়?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সোহেলকে ‘সসম্মানে’ বাসায় দিয়ে আসার মধ্য দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।
সোহেলের ঘটনা একটি সতর্কবার্তা। রাষ্ট্রকে এখনই পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে যে, আইন সবাইকে মানতে হবে, দেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের স্থান কোনো নেই।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানিয়েছেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির’ কারণে সোহেলকে সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ‘ভুল বোঝাবুঝিটা’ কী, মধ্যরাতে পাঁচ-ছয়জন ‘ডিবি’ পরিচয়ধারী কর্মকর্তা কেন তাকে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন?
সোহেলের অভিযোগ, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতে একটি সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করতেই তাকে আটক করা হয়। আমরা মনে করি, এমন অভিযোগ অবশ্যই উচ্চপর্যায়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।
একজন উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত নন, এ বিষয়ে তদন্ত ছাড়া কিছু বলতে পারবেন না। এধরনের বক্তব্য বিষয়টিকে আরও ঘোলাটে করেছে। সব মিলিয়ে জনগণের মনে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ঘটনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সাংবাদিক সমাজ, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সংগঠন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গভীর রাতে কাউকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া আইন ও মানবাধিকারের স্বীকৃত নীতির পরিপন্থী। অতীতে এমন ঘটনাগুলো নিয়ে যে সমালোচনা ছিল, বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃসময়ের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা জাগায়। চব্বিশে গণঅভ্যূত্থান হয়েছিল কি অতীতের পুনরাবৃত্তির জন্য? তাহলে পরিবর্তনটা হল কোথায়?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সোহেলকে ‘সসম্মানে’ বাসায় দিয়ে আসার মধ্য দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।
সোহেলের ঘটনা একটি সতর্কবার্তা। রাষ্ট্রকে এখনই পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে যে, আইন সবাইকে মানতে হবে, দেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের স্থান কোনো নেই।