নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার নাম একসময় পরিচিত ছিল খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য। সেই উর্বর জমিই এখন অবৈধ ইটভাটার দখলে। প্রশাসনের চোখের সামনে কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। যে এলাকায় কৃষকের ঘাম ঝরিয়ে খাদ্য উৎপাদন হওয়ার কথা, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাম চিমনি-নির্ভর ভাটার সারি।
অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের অসাধু চক্রের কারণে এসব ইটভাটা টিকে আছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, অন্তত ২৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি চাষাবাদ-অযোগ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি কেবল স্থানীয় সমস্যা নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি।
প্রশাসন এর আগে কিছু অভিযান পরিচালনা করে ভাটা ভেঙে দিয়েছে, জরিমানাও করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভেঙে দেওয়ার পর এসব ভাটা আবার কীভাবে চালু হয়?
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নতুন করে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরও বলেছে প্রস্তুতি আছে। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলে, শুধু ঘোষণায় কাজ হয় না। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজন ধারাবাহিকতা, কঠোরতা ও জবাবদিহি। শুধু ভাটা ভেঙে দিলেই হবে না, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহযোগী চক্র এবং ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
কৃষিজমি ধ্বংস হলে ক্ষতি হয় দেশের। পরিবেশ বিপর্যস্ত হলে ক্ষতি হয় প্রজন্মের। তাই অবৈধ ইটভাটাগুলোকে বন্ধ করতে হবে। সুবর্ণচরের কৃষিজমি ও পরিবেশ রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃষকের জমি ইটভাটার জন্য নয়, খাদ্য উৎপাদনের জন্যই প্রয়োজন। দেশের স্বার্থেই পরিবেশ ও কৃষি ধ্বংসযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার নাম একসময় পরিচিত ছিল খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য। সেই উর্বর জমিই এখন অবৈধ ইটভাটার দখলে। প্রশাসনের চোখের সামনে কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। যে এলাকায় কৃষকের ঘাম ঝরিয়ে খাদ্য উৎপাদন হওয়ার কথা, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাম চিমনি-নির্ভর ভাটার সারি।
অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের অসাধু চক্রের কারণে এসব ইটভাটা টিকে আছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, অন্তত ২৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি চাষাবাদ-অযোগ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি কেবল স্থানীয় সমস্যা নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি।
প্রশাসন এর আগে কিছু অভিযান পরিচালনা করে ভাটা ভেঙে দিয়েছে, জরিমানাও করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভেঙে দেওয়ার পর এসব ভাটা আবার কীভাবে চালু হয়?
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নতুন করে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরও বলেছে প্রস্তুতি আছে। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলে, শুধু ঘোষণায় কাজ হয় না। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজন ধারাবাহিকতা, কঠোরতা ও জবাবদিহি। শুধু ভাটা ভেঙে দিলেই হবে না, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহযোগী চক্র এবং ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
কৃষিজমি ধ্বংস হলে ক্ষতি হয় দেশের। পরিবেশ বিপর্যস্ত হলে ক্ষতি হয় প্রজন্মের। তাই অবৈধ ইটভাটাগুলোকে বন্ধ করতে হবে। সুবর্ণচরের কৃষিজমি ও পরিবেশ রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃষকের জমি ইটভাটার জন্য নয়, খাদ্য উৎপাদনের জন্যই প্রয়োজন। দেশের স্বার্থেই পরিবেশ ও কৃষি ধ্বংসযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।