alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

: বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার নাম একসময় পরিচিত ছিল খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য। সেই উর্বর জমিই এখন অবৈধ ইটভাটার দখলে। প্রশাসনের চোখের সামনে কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। যে এলাকায় কৃষকের ঘাম ঝরিয়ে খাদ্য উৎপাদন হওয়ার কথা, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাম চিমনি-নির্ভর ভাটার সারি।

অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের অসাধু চক্রের কারণে এসব ইটভাটা টিকে আছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, অন্তত ২৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি চাষাবাদ-অযোগ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি কেবল স্থানীয় সমস্যা নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি।

প্রশাসন এর আগে কিছু অভিযান পরিচালনা করে ভাটা ভেঙে দিয়েছে, জরিমানাও করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভেঙে দেওয়ার পর এসব ভাটা আবার কীভাবে চালু হয়?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নতুন করে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরও বলেছে প্রস্তুতি আছে। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলে, শুধু ঘোষণায় কাজ হয় না। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজন ধারাবাহিকতা, কঠোরতা ও জবাবদিহি। শুধু ভাটা ভেঙে দিলেই হবে না, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহযোগী চক্র এবং ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

কৃষিজমি ধ্বংস হলে ক্ষতি হয় দেশের। পরিবেশ বিপর্যস্ত হলে ক্ষতি হয় প্রজন্মের। তাই অবৈধ ইটভাটাগুলোকে বন্ধ করতে হবে। সুবর্ণচরের কৃষিজমি ও পরিবেশ রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃষকের জমি ইটভাটার জন্য নয়, খাদ্য উৎপাদনের জন্যই প্রয়োজন। দেশের স্বার্থেই পরিবেশ ও কৃষি ধ্বংসযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার নাম একসময় পরিচিত ছিল খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য। সেই উর্বর জমিই এখন অবৈধ ইটভাটার দখলে। প্রশাসনের চোখের সামনে কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। যে এলাকায় কৃষকের ঘাম ঝরিয়ে খাদ্য উৎপাদন হওয়ার কথা, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাম চিমনি-নির্ভর ভাটার সারি।

অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের অসাধু চক্রের কারণে এসব ইটভাটা টিকে আছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, অন্তত ২৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি চাষাবাদ-অযোগ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি কেবল স্থানীয় সমস্যা নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি।

প্রশাসন এর আগে কিছু অভিযান পরিচালনা করে ভাটা ভেঙে দিয়েছে, জরিমানাও করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভেঙে দেওয়ার পর এসব ভাটা আবার কীভাবে চালু হয়?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নতুন করে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরও বলেছে প্রস্তুতি আছে। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলে, শুধু ঘোষণায় কাজ হয় না। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজন ধারাবাহিকতা, কঠোরতা ও জবাবদিহি। শুধু ভাটা ভেঙে দিলেই হবে না, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহযোগী চক্র এবং ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

কৃষিজমি ধ্বংস হলে ক্ষতি হয় দেশের। পরিবেশ বিপর্যস্ত হলে ক্ষতি হয় প্রজন্মের। তাই অবৈধ ইটভাটাগুলোকে বন্ধ করতে হবে। সুবর্ণচরের কৃষিজমি ও পরিবেশ রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃষকের জমি ইটভাটার জন্য নয়, খাদ্য উৎপাদনের জন্যই প্রয়োজন। দেশের স্বার্থেই পরিবেশ ও কৃষি ধ্বংসযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

back to top