বরগুনার আমতলির তাফালবাড়িয়া নদীর তীরে উত্তর সোনাখালীর মানুষের দুর্ভোগ কোনো নতুন বিষয় নয়। তিন দশক ধরে নদীভাঙনে তাদের ঘরবাড়ি, জমি, জীবিকা-সবই বারবার বিপন্ন হয়েছে। অথচ এই দীর্ঘমেয়াদি বিপর্যয় ঠেকাতে যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধই তাদের একমাত্র ভরসা, সেই বাঁধ রক্ষার কাজেই বারবার অনিয়ম, অব্যবস্থা ও অবহেলার চিত্র ফুটে উঠছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো-এই অব্যবস্থার মূল কেন্দ্রে থাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং নজরদারির জায়গায় থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালে পাউবো জিও ব্যাগ ফেলায় ভাঙন কিছুটা কমলেও নিম্নমানের কাজের কারণে দুই বছরের মধ্যেই সেগুলো সরে যায়। এবার জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া ১২০ মিটার এলাকায় নতুন করে জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজেও একই অনিয়মের পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। প্রাক্কলনে যেখানে বালু ও সিমেন্টের নির্দিষ্ট অনুপাত ঠিক রাখার কথা, সেখানে ব্যাগগুলোর গুণগত মান আশঙ্কাজনকভাবে নিম্নমানের। ৪৯৫টি ব্যাগের মধ্যে ১৩৮টিতে কোনো সিমেন্ট নেই বলে অভিােগ উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধ করেছে। এটি স্বস্তির বিষয়। শুধু কাজ বন্ধ করাই যথেষ্ট নয়। প্রশ্ন হলো, এমন বড় প্রকল্পে নজরদারি কোথায় ছিল? স্থানীয়দের অভিযোগ আসা পর্যন্ত কি কোনো তদারকি হয়নি?
এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন নয়। দেশের বহু নদীভাঙন এলাকায় একই ধরনের অনিয়ম চলে আসছে বছরের পর বছর। নদীভাঙন একটি মানবিক বিপর্যয়। এটি শুধু ভৌগোলিক ক্ষতি নয়, মানুষের জীবন, সংস্কৃতি, ভবিষ্যৎ সবকিছুই এর সঙ্গে জড়িত। তাই এই প্রকল্পগুলোতে কোনো অনিয়ম চলতে দেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে অবিলম্বে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
বরগুনার আমতলির তাফালবাড়িয়া নদীর তীরে উত্তর সোনাখালীর মানুষের দুর্ভোগ কোনো নতুন বিষয় নয়। তিন দশক ধরে নদীভাঙনে তাদের ঘরবাড়ি, জমি, জীবিকা-সবই বারবার বিপন্ন হয়েছে। অথচ এই দীর্ঘমেয়াদি বিপর্যয় ঠেকাতে যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধই তাদের একমাত্র ভরসা, সেই বাঁধ রক্ষার কাজেই বারবার অনিয়ম, অব্যবস্থা ও অবহেলার চিত্র ফুটে উঠছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো-এই অব্যবস্থার মূল কেন্দ্রে থাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং নজরদারির জায়গায় থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালে পাউবো জিও ব্যাগ ফেলায় ভাঙন কিছুটা কমলেও নিম্নমানের কাজের কারণে দুই বছরের মধ্যেই সেগুলো সরে যায়। এবার জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া ১২০ মিটার এলাকায় নতুন করে জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজেও একই অনিয়মের পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। প্রাক্কলনে যেখানে বালু ও সিমেন্টের নির্দিষ্ট অনুপাত ঠিক রাখার কথা, সেখানে ব্যাগগুলোর গুণগত মান আশঙ্কাজনকভাবে নিম্নমানের। ৪৯৫টি ব্যাগের মধ্যে ১৩৮টিতে কোনো সিমেন্ট নেই বলে অভিােগ উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধ করেছে। এটি স্বস্তির বিষয়। শুধু কাজ বন্ধ করাই যথেষ্ট নয়। প্রশ্ন হলো, এমন বড় প্রকল্পে নজরদারি কোথায় ছিল? স্থানীয়দের অভিযোগ আসা পর্যন্ত কি কোনো তদারকি হয়নি?
এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন নয়। দেশের বহু নদীভাঙন এলাকায় একই ধরনের অনিয়ম চলে আসছে বছরের পর বছর। নদীভাঙন একটি মানবিক বিপর্যয়। এটি শুধু ভৌগোলিক ক্ষতি নয়, মানুষের জীবন, সংস্কৃতি, ভবিষ্যৎ সবকিছুই এর সঙ্গে জড়িত। তাই এই প্রকল্পগুলোতে কোনো অনিয়ম চলতে দেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে অবিলম্বে।