alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

: শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

বরগুনার আমতলির তাফালবাড়িয়া নদীর তীরে উত্তর সোনাখালীর মানুষের দুর্ভোগ কোনো নতুন বিষয় নয়। তিন দশক ধরে নদীভাঙনে তাদের ঘরবাড়ি, জমি, জীবিকা-সবই বারবার বিপন্ন হয়েছে। অথচ এই দীর্ঘমেয়াদি বিপর্যয় ঠেকাতে যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধই তাদের একমাত্র ভরসা, সেই বাঁধ রক্ষার কাজেই বারবার অনিয়ম, অব্যবস্থা ও অবহেলার চিত্র ফুটে উঠছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো-এই অব্যবস্থার মূল কেন্দ্রে থাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং নজরদারির জায়গায় থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

২০২২ সালে পাউবো জিও ব্যাগ ফেলায় ভাঙন কিছুটা কমলেও নিম্নমানের কাজের কারণে দুই বছরের মধ্যেই সেগুলো সরে যায়। এবার জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া ১২০ মিটার এলাকায় নতুন করে জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজেও একই অনিয়মের পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। প্রাক্কলনে যেখানে বালু ও সিমেন্টের নির্দিষ্ট অনুপাত ঠিক রাখার কথা, সেখানে ব্যাগগুলোর গুণগত মান আশঙ্কাজনকভাবে নিম্নমানের। ৪৯৫টি ব্যাগের মধ্যে ১৩৮টিতে কোনো সিমেন্ট নেই বলে অভিােগ উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধ করেছে। এটি স্বস্তির বিষয়। শুধু কাজ বন্ধ করাই যথেষ্ট নয়। প্রশ্ন হলো, এমন বড় প্রকল্পে নজরদারি কোথায় ছিল? স্থানীয়দের অভিযোগ আসা পর্যন্ত কি কোনো তদারকি হয়নি?

এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন নয়। দেশের বহু নদীভাঙন এলাকায় একই ধরনের অনিয়ম চলে আসছে বছরের পর বছর। নদীভাঙন একটি মানবিক বিপর্যয়। এটি শুধু ভৌগোলিক ক্ষতি নয়, মানুষের জীবন, সংস্কৃতি, ভবিষ্যৎ সবকিছুই এর সঙ্গে জড়িত। তাই এই প্রকল্পগুলোতে কোনো অনিয়ম চলতে দেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে অবিলম্বে।

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

বরগুনার আমতলির তাফালবাড়িয়া নদীর তীরে উত্তর সোনাখালীর মানুষের দুর্ভোগ কোনো নতুন বিষয় নয়। তিন দশক ধরে নদীভাঙনে তাদের ঘরবাড়ি, জমি, জীবিকা-সবই বারবার বিপন্ন হয়েছে। অথচ এই দীর্ঘমেয়াদি বিপর্যয় ঠেকাতে যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধই তাদের একমাত্র ভরসা, সেই বাঁধ রক্ষার কাজেই বারবার অনিয়ম, অব্যবস্থা ও অবহেলার চিত্র ফুটে উঠছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো-এই অব্যবস্থার মূল কেন্দ্রে থাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং নজরদারির জায়গায় থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

২০২২ সালে পাউবো জিও ব্যাগ ফেলায় ভাঙন কিছুটা কমলেও নিম্নমানের কাজের কারণে দুই বছরের মধ্যেই সেগুলো সরে যায়। এবার জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া ১২০ মিটার এলাকায় নতুন করে জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজেও একই অনিয়মের পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। প্রাক্কলনে যেখানে বালু ও সিমেন্টের নির্দিষ্ট অনুপাত ঠিক রাখার কথা, সেখানে ব্যাগগুলোর গুণগত মান আশঙ্কাজনকভাবে নিম্নমানের। ৪৯৫টি ব্যাগের মধ্যে ১৩৮টিতে কোনো সিমেন্ট নেই বলে অভিােগ উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধ করেছে। এটি স্বস্তির বিষয়। শুধু কাজ বন্ধ করাই যথেষ্ট নয়। প্রশ্ন হলো, এমন বড় প্রকল্পে নজরদারি কোথায় ছিল? স্থানীয়দের অভিযোগ আসা পর্যন্ত কি কোনো তদারকি হয়নি?

এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন নয়। দেশের বহু নদীভাঙন এলাকায় একই ধরনের অনিয়ম চলে আসছে বছরের পর বছর। নদীভাঙন একটি মানবিক বিপর্যয়। এটি শুধু ভৌগোলিক ক্ষতি নয়, মানুষের জীবন, সংস্কৃতি, ভবিষ্যৎ সবকিছুই এর সঙ্গে জড়িত। তাই এই প্রকল্পগুলোতে কোনো অনিয়ম চলতে দেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে অবিলম্বে।

back to top