বান্দরবানের রুমা উপজেলার গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের পান্তলা মৌজায় জোত পারমিটকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কাঠ কাটা ও পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নদীর দুই তীরে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়। এতে বন বিভাগের অসাধু চক্রের মদত রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কাঠ পাচারের চক্রের কার্যক্রম গোপন কোনো বিষয় নয়। সেপ্রু মুখ এলাকায় নদীর ধারে বিশাল কাঠের স্তূপ নৌপথে পাঠানোর অপেক্ষায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কার নামে কোন পারমিট অনুমোদন হয়েছে, কিংবা কোন জমিতে কাঠ তোলা হচ্ছে-এসব বিষয়ে অস্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। এটি কেবল বিভ্রান্তি সৃষ্টি নয়; এটি দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, স্থানীয় হেডম্যানের নামে কোনো জমির বন্দোবস্ত না থাকা সত্ত্বেও তার নাম ব্যবহার করে কাঠ তোলার অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেছেন, গাছ ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট এলাকার পারমিট দেখালেও তারা গাছ কাটে সম্পূর্ণ অন্য জায়গা থেকে-যেখানে কোনো অনুমোদন নেই। এর দায় শুধু কাঠ ব্যবসায়ীদের নয়; বরং দীর্ঘদিনের নীরবতা ও দায়িত্বহীনতার জন্য প্রশাসনও সমানভাবে দায়ী।
প্রশ্ন হলো, এলাকায় হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ নদীর ধারে পড়ে থাকলেও বন বিভাগের চোখে তা পড়ে না কেন? এই নীরবতা কি অদক্ষতা, নাকি ইচ্ছাকৃত উদাসীনতা?
পাহাড়ে গাছ না থাকলে সেখানকার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। পার্বত্য অঞ্চলকে বাঁচাতে হলে জোত পারমিটের নামে চলা এই অনিয়ম বন্ধ করা জরুরি। উল্লিখিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। কাঠ পাচার বন্ধে কঠোর তদারকি থাকতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
বান্দরবানের রুমা উপজেলার গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের পান্তলা মৌজায় জোত পারমিটকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কাঠ কাটা ও পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নদীর দুই তীরে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়। এতে বন বিভাগের অসাধু চক্রের মদত রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কাঠ পাচারের চক্রের কার্যক্রম গোপন কোনো বিষয় নয়। সেপ্রু মুখ এলাকায় নদীর ধারে বিশাল কাঠের স্তূপ নৌপথে পাঠানোর অপেক্ষায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কার নামে কোন পারমিট অনুমোদন হয়েছে, কিংবা কোন জমিতে কাঠ তোলা হচ্ছে-এসব বিষয়ে অস্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। এটি কেবল বিভ্রান্তি সৃষ্টি নয়; এটি দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, স্থানীয় হেডম্যানের নামে কোনো জমির বন্দোবস্ত না থাকা সত্ত্বেও তার নাম ব্যবহার করে কাঠ তোলার অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেছেন, গাছ ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট এলাকার পারমিট দেখালেও তারা গাছ কাটে সম্পূর্ণ অন্য জায়গা থেকে-যেখানে কোনো অনুমোদন নেই। এর দায় শুধু কাঠ ব্যবসায়ীদের নয়; বরং দীর্ঘদিনের নীরবতা ও দায়িত্বহীনতার জন্য প্রশাসনও সমানভাবে দায়ী।
প্রশ্ন হলো, এলাকায় হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ নদীর ধারে পড়ে থাকলেও বন বিভাগের চোখে তা পড়ে না কেন? এই নীরবতা কি অদক্ষতা, নাকি ইচ্ছাকৃত উদাসীনতা?
পাহাড়ে গাছ না থাকলে সেখানকার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। পার্বত্য অঞ্চলকে বাঁচাতে হলে জোত পারমিটের নামে চলা এই অনিয়ম বন্ধ করা জরুরি। উল্লিখিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। কাঠ পাচার বন্ধে কঠোর তদারকি থাকতে হবে।