alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

বান্দরবানের রুমা উপজেলার গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের পান্তলা মৌজায় জোত পারমিটকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কাঠ কাটা ও পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নদীর দুই তীরে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়। এতে বন বিভাগের অসাধু চক্রের মদত রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কাঠ পাচারের চক্রের কার্যক্রম গোপন কোনো বিষয় নয়। সেপ্রু মুখ এলাকায় নদীর ধারে বিশাল কাঠের স্তূপ নৌপথে পাঠানোর অপেক্ষায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কার নামে কোন পারমিট অনুমোদন হয়েছে, কিংবা কোন জমিতে কাঠ তোলা হচ্ছে-এসব বিষয়ে অস্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। এটি কেবল বিভ্রান্তি সৃষ্টি নয়; এটি দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, স্থানীয় হেডম্যানের নামে কোনো জমির বন্দোবস্ত না থাকা সত্ত্বেও তার নাম ব্যবহার করে কাঠ তোলার অভিযোগ উঠেছে।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেছেন, গাছ ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট এলাকার পারমিট দেখালেও তারা গাছ কাটে সম্পূর্ণ অন্য জায়গা থেকে-যেখানে কোনো অনুমোদন নেই। এর দায় শুধু কাঠ ব্যবসায়ীদের নয়; বরং দীর্ঘদিনের নীরবতা ও দায়িত্বহীনতার জন্য প্রশাসনও সমানভাবে দায়ী।

প্রশ্ন হলো, এলাকায় হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ নদীর ধারে পড়ে থাকলেও বন বিভাগের চোখে তা পড়ে না কেন? এই নীরবতা কি অদক্ষতা, নাকি ইচ্ছাকৃত উদাসীনতা?

পাহাড়ে গাছ না থাকলে সেখানকার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। পার্বত্য অঞ্চলকে বাঁচাতে হলে জোত পারমিটের নামে চলা এই অনিয়ম বন্ধ করা জরুরি। উল্লিখিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। কাঠ পাচার বন্ধে কঠোর তদারকি থাকতে হবে।

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

বান্দরবানের রুমা উপজেলার গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের পান্তলা মৌজায় জোত পারমিটকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কাঠ কাটা ও পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নদীর দুই তীরে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়। এতে বন বিভাগের অসাধু চক্রের মদত রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কাঠ পাচারের চক্রের কার্যক্রম গোপন কোনো বিষয় নয়। সেপ্রু মুখ এলাকায় নদীর ধারে বিশাল কাঠের স্তূপ নৌপথে পাঠানোর অপেক্ষায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কার নামে কোন পারমিট অনুমোদন হয়েছে, কিংবা কোন জমিতে কাঠ তোলা হচ্ছে-এসব বিষয়ে অস্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। এটি কেবল বিভ্রান্তি সৃষ্টি নয়; এটি দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, স্থানীয় হেডম্যানের নামে কোনো জমির বন্দোবস্ত না থাকা সত্ত্বেও তার নাম ব্যবহার করে কাঠ তোলার অভিযোগ উঠেছে।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেছেন, গাছ ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট এলাকার পারমিট দেখালেও তারা গাছ কাটে সম্পূর্ণ অন্য জায়গা থেকে-যেখানে কোনো অনুমোদন নেই। এর দায় শুধু কাঠ ব্যবসায়ীদের নয়; বরং দীর্ঘদিনের নীরবতা ও দায়িত্বহীনতার জন্য প্রশাসনও সমানভাবে দায়ী।

প্রশ্ন হলো, এলাকায় হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ নদীর ধারে পড়ে থাকলেও বন বিভাগের চোখে তা পড়ে না কেন? এই নীরবতা কি অদক্ষতা, নাকি ইচ্ছাকৃত উদাসীনতা?

পাহাড়ে গাছ না থাকলে সেখানকার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। পার্বত্য অঞ্চলকে বাঁচাতে হলে জোত পারমিটের নামে চলা এই অনিয়ম বন্ধ করা জরুরি। উল্লিখিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। কাঠ পাচার বন্ধে কঠোর তদারকি থাকতে হবে।

back to top