মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তারের পর তার ভক্ত-অনুরাগীদের ওপর হামলার ঘটনা আমাদের সমাজে সহনশীলতার সংকটকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কারও ওপর কোনো গোষ্ঠীর হামলা, উসকানি কিংবা আইন হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই।
মানিকগঞ্জে দুটি পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে চারজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, বাউল, ফকির, বয়াতি বা লোকসংস্কৃতির বাহকরা হামলা, হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন। অতীতেও তারা এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাজার ভাঙা, কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে ‘মব জাস্টিস’ এখনো কেন চলছে সেটা একটা প্রশ্ন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আইনের শাসন আছে এমন সমাজে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবুল সরকার যদি আইনি দৃষ্টিতে অপরাধ করে থাকেন, আদালত তার বিচার করবে। তবে তার বা তার অনুরাগীদের ওপর হামলার কোনো যুক্তি নেই। কোনো মানুষ বা সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, যাপিত সংস্কৃতি ও চর্চাকে আঘাত করা হলে সমাজে কেবল বিভাজনই বাড়ে। এটা কাম্য নয়।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা বলতে চাই, আইনের শাসন দৃশ্যমান হতে হবে। ব্যক্তিস্বাধীনতা সুরক্ষিত হবে, অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে সেটা- আমাদের আশা। একটি জাতি তখনই সভ্য হয় যখন মতভেদ থাকা সত্ত্বেও সবাই শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তারের পর তার ভক্ত-অনুরাগীদের ওপর হামলার ঘটনা আমাদের সমাজে সহনশীলতার সংকটকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কারও ওপর কোনো গোষ্ঠীর হামলা, উসকানি কিংবা আইন হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই।
মানিকগঞ্জে দুটি পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে চারজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, বাউল, ফকির, বয়াতি বা লোকসংস্কৃতির বাহকরা হামলা, হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন। অতীতেও তারা এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাজার ভাঙা, কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে ‘মব জাস্টিস’ এখনো কেন চলছে সেটা একটা প্রশ্ন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আইনের শাসন আছে এমন সমাজে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবুল সরকার যদি আইনি দৃষ্টিতে অপরাধ করে থাকেন, আদালত তার বিচার করবে। তবে তার বা তার অনুরাগীদের ওপর হামলার কোনো যুক্তি নেই। কোনো মানুষ বা সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, যাপিত সংস্কৃতি ও চর্চাকে আঘাত করা হলে সমাজে কেবল বিভাজনই বাড়ে। এটা কাম্য নয়।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা বলতে চাই, আইনের শাসন দৃশ্যমান হতে হবে। ব্যক্তিস্বাধীনতা সুরক্ষিত হবে, অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে সেটা- আমাদের আশা। একটি জাতি তখনই সভ্য হয় যখন মতভেদ থাকা সত্ত্বেও সবাই শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।