alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

: সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তারের পর তার ভক্ত-অনুরাগীদের ওপর হামলার ঘটনা আমাদের সমাজে সহনশীলতার সংকটকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কারও ওপর কোনো গোষ্ঠীর হামলা, উসকানি কিংবা আইন হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই।

মানিকগঞ্জে দুটি পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে চারজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, বাউল, ফকির, বয়াতি বা লোকসংস্কৃতির বাহকরা হামলা, হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন। অতীতেও তারা এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাজার ভাঙা, কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে ‘মব জাস্টিস’ এখনো কেন চলছে সেটা একটা প্রশ্ন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আইনের শাসন আছে এমন সমাজে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবুল সরকার যদি আইনি দৃষ্টিতে অপরাধ করে থাকেন, আদালত তার বিচার করবে। তবে তার বা তার অনুরাগীদের ওপর হামলার কোনো যুক্তি নেই। কোনো মানুষ বা সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, যাপিত সংস্কৃতি ও চর্চাকে আঘাত করা হলে সমাজে কেবল বিভাজনই বাড়ে। এটা কাম্য নয়।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা বলতে চাই, আইনের শাসন দৃশ্যমান হতে হবে। ব্যক্তিস্বাধীনতা সুরক্ষিত হবে, অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে সেটা- আমাদের আশা। একটি জাতি তখনই সভ্য হয় যখন মতভেদ থাকা সত্ত্বেও সবাই শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তারের পর তার ভক্ত-অনুরাগীদের ওপর হামলার ঘটনা আমাদের সমাজে সহনশীলতার সংকটকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কারও ওপর কোনো গোষ্ঠীর হামলা, উসকানি কিংবা আইন হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই।

মানিকগঞ্জে দুটি পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে চারজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, বাউল, ফকির, বয়াতি বা লোকসংস্কৃতির বাহকরা হামলা, হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন। অতীতেও তারা এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাজার ভাঙা, কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে ‘মব জাস্টিস’ এখনো কেন চলছে সেটা একটা প্রশ্ন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আইনের শাসন আছে এমন সমাজে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবুল সরকার যদি আইনি দৃষ্টিতে অপরাধ করে থাকেন, আদালত তার বিচার করবে। তবে তার বা তার অনুরাগীদের ওপর হামলার কোনো যুক্তি নেই। কোনো মানুষ বা সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, যাপিত সংস্কৃতি ও চর্চাকে আঘাত করা হলে সমাজে কেবল বিভাজনই বাড়ে। এটা কাম্য নয়।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা বলতে চাই, আইনের শাসন দৃশ্যমান হতে হবে। ব্যক্তিস্বাধীনতা সুরক্ষিত হবে, অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে সেটা- আমাদের আশা। একটি জাতি তখনই সভ্য হয় যখন মতভেদ থাকা সত্ত্বেও সবাই শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।

back to top