alt

মতামত » সম্পাদকীয়

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

: সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার যথাযথ পরিবেশ আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে সরকারি রেকর্ডে শিক্ষার্থী আছে শত শত, কিন্তু বাস্তবে ৫০ জনও নেই। ৩২ জন শিক্ষক দেখানো হলেও স্কুলের বারান্দায় দাঁড়ালে একজনকেও দেখা যায় না। অথচ মাসের পর মাস বেতন ঠিকই তোলা হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষে নেই শিশুর কোলাহল, বরং সেখানে থাকে বাইরে থেকে আসা কৃষিশ্রমিকরা। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

কিছু শিক্ষক নিজেরাই স্বীকার করছেন যে, স্কুলে শিক্ষার্থী নেই বলেই তারা পড়ান না। কেউ বলেন যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ, কেউ বলেন বর্ষায় আসা কষ্টকর, তাই দুপুরেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেন।

স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছেন। কেউ কেউ শিশুদের মাঠে কাজে নামিয়ে দিচ্ছেন। কারণ স্কুলে পড়াশোনা হয় না, অভিযোগ করেও লাভ নেই। চরাঞ্চলের শিশুরা যদি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে সামাজিক বৈষম্য বাড়বে, দারিদ্র্য আরও স্থায়ী হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত কমিটি করেছে। এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কিন্তু শুধু তদন্তে কিছু হবে না। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চরাঞ্চলের স্কুলগুলোকে অবিলম্বে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের প্রকৃত তালিকা অনুযায়ী পুনর্গঠন করতে হবে। নিয়মিত ক্লাস নিশ্চিত করতে হবে, নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে যা যা করণীয় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার যথাযথ পরিবেশ আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে সরকারি রেকর্ডে শিক্ষার্থী আছে শত শত, কিন্তু বাস্তবে ৫০ জনও নেই। ৩২ জন শিক্ষক দেখানো হলেও স্কুলের বারান্দায় দাঁড়ালে একজনকেও দেখা যায় না। অথচ মাসের পর মাস বেতন ঠিকই তোলা হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষে নেই শিশুর কোলাহল, বরং সেখানে থাকে বাইরে থেকে আসা কৃষিশ্রমিকরা। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

কিছু শিক্ষক নিজেরাই স্বীকার করছেন যে, স্কুলে শিক্ষার্থী নেই বলেই তারা পড়ান না। কেউ বলেন যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ, কেউ বলেন বর্ষায় আসা কষ্টকর, তাই দুপুরেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেন।

স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছেন। কেউ কেউ শিশুদের মাঠে কাজে নামিয়ে দিচ্ছেন। কারণ স্কুলে পড়াশোনা হয় না, অভিযোগ করেও লাভ নেই। চরাঞ্চলের শিশুরা যদি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে সামাজিক বৈষম্য বাড়বে, দারিদ্র্য আরও স্থায়ী হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত কমিটি করেছে। এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কিন্তু শুধু তদন্তে কিছু হবে না। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চরাঞ্চলের স্কুলগুলোকে অবিলম্বে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের প্রকৃত তালিকা অনুযায়ী পুনর্গঠন করতে হবে। নিয়মিত ক্লাস নিশ্চিত করতে হবে, নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে যা যা করণীয় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

back to top