ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার যথাযথ পরিবেশ আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে সরকারি রেকর্ডে শিক্ষার্থী আছে শত শত, কিন্তু বাস্তবে ৫০ জনও নেই। ৩২ জন শিক্ষক দেখানো হলেও স্কুলের বারান্দায় দাঁড়ালে একজনকেও দেখা যায় না। অথচ মাসের পর মাস বেতন ঠিকই তোলা হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষে নেই শিশুর কোলাহল, বরং সেখানে থাকে বাইরে থেকে আসা কৃষিশ্রমিকরা। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
কিছু শিক্ষক নিজেরাই স্বীকার করছেন যে, স্কুলে শিক্ষার্থী নেই বলেই তারা পড়ান না। কেউ বলেন যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ, কেউ বলেন বর্ষায় আসা কষ্টকর, তাই দুপুরেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেন।
স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছেন। কেউ কেউ শিশুদের মাঠে কাজে নামিয়ে দিচ্ছেন। কারণ স্কুলে পড়াশোনা হয় না, অভিযোগ করেও লাভ নেই। চরাঞ্চলের শিশুরা যদি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে সামাজিক বৈষম্য বাড়বে, দারিদ্র্য আরও স্থায়ী হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত কমিটি করেছে। এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কিন্তু শুধু তদন্তে কিছু হবে না। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চরাঞ্চলের স্কুলগুলোকে অবিলম্বে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের প্রকৃত তালিকা অনুযায়ী পুনর্গঠন করতে হবে। নিয়মিত ক্লাস নিশ্চিত করতে হবে, নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে যা যা করণীয় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করবে বলে আমরা আশা করতে চাই।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার যথাযথ পরিবেশ আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে সরকারি রেকর্ডে শিক্ষার্থী আছে শত শত, কিন্তু বাস্তবে ৫০ জনও নেই। ৩২ জন শিক্ষক দেখানো হলেও স্কুলের বারান্দায় দাঁড়ালে একজনকেও দেখা যায় না। অথচ মাসের পর মাস বেতন ঠিকই তোলা হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষে নেই শিশুর কোলাহল, বরং সেখানে থাকে বাইরে থেকে আসা কৃষিশ্রমিকরা। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
কিছু শিক্ষক নিজেরাই স্বীকার করছেন যে, স্কুলে শিক্ষার্থী নেই বলেই তারা পড়ান না। কেউ বলেন যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ, কেউ বলেন বর্ষায় আসা কষ্টকর, তাই দুপুরেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেন।
স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছেন। কেউ কেউ শিশুদের মাঠে কাজে নামিয়ে দিচ্ছেন। কারণ স্কুলে পড়াশোনা হয় না, অভিযোগ করেও লাভ নেই। চরাঞ্চলের শিশুরা যদি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে সামাজিক বৈষম্য বাড়বে, দারিদ্র্য আরও স্থায়ী হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত কমিটি করেছে। এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কিন্তু শুধু তদন্তে কিছু হবে না। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চরাঞ্চলের স্কুলগুলোকে অবিলম্বে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের প্রকৃত তালিকা অনুযায়ী পুনর্গঠন করতে হবে। নিয়মিত ক্লাস নিশ্চিত করতে হবে, নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে যা যা করণীয় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করবে বলে আমরা আশা করতে চাই।