alt

মতামত » সম্পাদকীয়

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

হাকালুকি হাওরের সবচেয়ে বড় জলমহাল হাওরখালে গত ১৭ দিনের ঘটনাগুলো শুধু স্থানীয় মানুষকে নয়, আমাদের সামগ্রিক প্রশাসনিক কাঠামোকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। ‘খাস কালেকশনের’ নামে যা চলছে, তা আসলে প্রকাশ্য লুটপাট। কোটি টাকার সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছে একদল প্রভাবশালী। আর স্থানীয় প্রশাসন কার্যত নীরব দর্শক।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাত্র ১৭ দিনে প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ লুট হলেও সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে নামমাত্র টাকা। উদ্বেগের বিষয় হলো, যাদের আইন রক্ষার দায়িত্ব তারা নিস্ক্রিয় হয়ে আছেন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। অভিযোগ করেও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা কোনো প্রতিকার পাননি।

হাওরখাল জলমহালকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, শত শত মানুষের জড়ো হওয়া, সংঘর্ষের আশঙ্কা-এসবই বলে দেয়, পরিস্থিতি কতটা উত্তপ্ত ও নিয়ন্ত্রণহীন। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভও তাই অস্বাভাবিক নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া, ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড়-এসবই একটি প্রশ্ন সামনে আনে: প্রশাসন কি প্রভাবশালীদের সামনে জিম্মি হয়ে গেছে?

উদ্বেগজনক বিষয় হলো লিজ নিয়ে জটিলতা ও আদালতের স্থগিতাদেশের সুযোগে প্রভাবশালী মহল জলমহাল দখল করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের প্রতিনিধি দিয়ে কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা উপেক্ষা করে অ-মৎস্যজীবীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

হাকালুকি হাওরের এই ঘটনা শুধু একটি জলমহাল লুট নয়; এটি প্রশাসনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার এবং সাধারণ মানুষের অধিকার-বঞ্চনার একটি উদাহরণ। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।

স্বচ্ছ তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি ও জলমহাল ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা এখন জরুরি। রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করা ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। প্রভাবশালী কারা, কীভাবে জলমহাল লুটপাট চলল সেটা জানতে হবে।

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

হাকালুকি হাওরের সবচেয়ে বড় জলমহাল হাওরখালে গত ১৭ দিনের ঘটনাগুলো শুধু স্থানীয় মানুষকে নয়, আমাদের সামগ্রিক প্রশাসনিক কাঠামোকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। ‘খাস কালেকশনের’ নামে যা চলছে, তা আসলে প্রকাশ্য লুটপাট। কোটি টাকার সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছে একদল প্রভাবশালী। আর স্থানীয় প্রশাসন কার্যত নীরব দর্শক।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাত্র ১৭ দিনে প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ লুট হলেও সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে নামমাত্র টাকা। উদ্বেগের বিষয় হলো, যাদের আইন রক্ষার দায়িত্ব তারা নিস্ক্রিয় হয়ে আছেন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। অভিযোগ করেও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা কোনো প্রতিকার পাননি।

হাওরখাল জলমহালকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, শত শত মানুষের জড়ো হওয়া, সংঘর্ষের আশঙ্কা-এসবই বলে দেয়, পরিস্থিতি কতটা উত্তপ্ত ও নিয়ন্ত্রণহীন। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভও তাই অস্বাভাবিক নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া, ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড়-এসবই একটি প্রশ্ন সামনে আনে: প্রশাসন কি প্রভাবশালীদের সামনে জিম্মি হয়ে গেছে?

উদ্বেগজনক বিষয় হলো লিজ নিয়ে জটিলতা ও আদালতের স্থগিতাদেশের সুযোগে প্রভাবশালী মহল জলমহাল দখল করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের প্রতিনিধি দিয়ে কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা উপেক্ষা করে অ-মৎস্যজীবীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

হাকালুকি হাওরের এই ঘটনা শুধু একটি জলমহাল লুট নয়; এটি প্রশাসনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার এবং সাধারণ মানুষের অধিকার-বঞ্চনার একটি উদাহরণ। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।

স্বচ্ছ তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি ও জলমহাল ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা এখন জরুরি। রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করা ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। প্রভাবশালী কারা, কীভাবে জলমহাল লুটপাট চলল সেটা জানতে হবে।

back to top