হাকালুকি হাওরের সবচেয়ে বড় জলমহাল হাওরখালে গত ১৭ দিনের ঘটনাগুলো শুধু স্থানীয় মানুষকে নয়, আমাদের সামগ্রিক প্রশাসনিক কাঠামোকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। ‘খাস কালেকশনের’ নামে যা চলছে, তা আসলে প্রকাশ্য লুটপাট। কোটি টাকার সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছে একদল প্রভাবশালী। আর স্থানীয় প্রশাসন কার্যত নীরব দর্শক।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাত্র ১৭ দিনে প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ লুট হলেও সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে নামমাত্র টাকা। উদ্বেগের বিষয় হলো, যাদের আইন রক্ষার দায়িত্ব তারা নিস্ক্রিয় হয়ে আছেন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। অভিযোগ করেও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা কোনো প্রতিকার পাননি।
হাওরখাল জলমহালকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, শত শত মানুষের জড়ো হওয়া, সংঘর্ষের আশঙ্কা-এসবই বলে দেয়, পরিস্থিতি কতটা উত্তপ্ত ও নিয়ন্ত্রণহীন। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভও তাই অস্বাভাবিক নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া, ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড়-এসবই একটি প্রশ্ন সামনে আনে: প্রশাসন কি প্রভাবশালীদের সামনে জিম্মি হয়ে গেছে?
উদ্বেগজনক বিষয় হলো লিজ নিয়ে জটিলতা ও আদালতের স্থগিতাদেশের সুযোগে প্রভাবশালী মহল জলমহাল দখল করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের প্রতিনিধি দিয়ে কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা উপেক্ষা করে অ-মৎস্যজীবীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাকালুকি হাওরের এই ঘটনা শুধু একটি জলমহাল লুট নয়; এটি প্রশাসনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার এবং সাধারণ মানুষের অধিকার-বঞ্চনার একটি উদাহরণ। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।
স্বচ্ছ তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি ও জলমহাল ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা এখন জরুরি। রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করা ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। প্রভাবশালী কারা, কীভাবে জলমহাল লুটপাট চলল সেটা জানতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
হাকালুকি হাওরের সবচেয়ে বড় জলমহাল হাওরখালে গত ১৭ দিনের ঘটনাগুলো শুধু স্থানীয় মানুষকে নয়, আমাদের সামগ্রিক প্রশাসনিক কাঠামোকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। ‘খাস কালেকশনের’ নামে যা চলছে, তা আসলে প্রকাশ্য লুটপাট। কোটি টাকার সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছে একদল প্রভাবশালী। আর স্থানীয় প্রশাসন কার্যত নীরব দর্শক।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাত্র ১৭ দিনে প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ লুট হলেও সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে নামমাত্র টাকা। উদ্বেগের বিষয় হলো, যাদের আইন রক্ষার দায়িত্ব তারা নিস্ক্রিয় হয়ে আছেন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। অভিযোগ করেও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা কোনো প্রতিকার পাননি।
হাওরখাল জলমহালকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, শত শত মানুষের জড়ো হওয়া, সংঘর্ষের আশঙ্কা-এসবই বলে দেয়, পরিস্থিতি কতটা উত্তপ্ত ও নিয়ন্ত্রণহীন। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভও তাই অস্বাভাবিক নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া, ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড়-এসবই একটি প্রশ্ন সামনে আনে: প্রশাসন কি প্রভাবশালীদের সামনে জিম্মি হয়ে গেছে?
উদ্বেগজনক বিষয় হলো লিজ নিয়ে জটিলতা ও আদালতের স্থগিতাদেশের সুযোগে প্রভাবশালী মহল জলমহাল দখল করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের প্রতিনিধি দিয়ে কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা উপেক্ষা করে অ-মৎস্যজীবীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাকালুকি হাওরের এই ঘটনা শুধু একটি জলমহাল লুট নয়; এটি প্রশাসনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার এবং সাধারণ মানুষের অধিকার-বঞ্চনার একটি উদাহরণ। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।
স্বচ্ছ তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি ও জলমহাল ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা এখন জরুরি। রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করা ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। প্রভাবশালী কারা, কীভাবে জলমহাল লুটপাট চলল সেটা জানতে হবে।