alt

মতামত » সম্পাদকীয়

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

: সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

খুলনায় আদালতের সামনে দিনদুপুরে দুই আসামিকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা আমাদের আবারও কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড় করায়। বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেখানে রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব, সেখানে আদালতের সামনেই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার নজির।

রোববার দুপুরে জেলা জজ আদালতের সামনে প্রকাশ্যে এই হামলা চালানো হয়। পুলিশ বলছে, সোনাডাঙ্গা থানার অস্ত্র মামলায় জামিনে থাকা ফজলে রাব্বি রাজন ও হাসিব হাওলাদার হাজিরা শেষে চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই চার-পাঁচজন হামলাকারী হেঁটে এসে গুলি ছোড়ে এবং পরে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নিশ্চিত করে তাদের মৃত্যু। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান, আরেকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আসা মানুষ এভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আদালতপাড়ায় ঘুরবেন। এমন পরিস্থিতি কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। আদালতের মতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় পরিকল্পিত হামলা চালানোর সাহস দুবৃত্তরা পেল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

এ ঘটনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসে। আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা সক্রিয় ছিল? হামলাকারীরা কীভাবে সেখানে অস্ত্রসহ প্রবেশ করল? তাদের পালিয়ে যাওয়া এতটা সহজ হলো কেন? আদালত ঘিরে থাকা সিসিটিভি ব্যবস্থা, টহল ও নজরদারি সবকিছুরই কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ। একই সঙ্গে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা আশা করব তদন্ত দ্রুত ও সুষ্ঠু হবে। এবং সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ধরনের ঘটনা যদি বারবার ঘটে, তবে মানুষ আইনকে ভরসার জায়গা হিসেবে দেখার ভরসা হারাবে। বিচারপ্রার্থী, সাক্ষী, কিংবা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে ন্যায়বিচারের কাঠামোই ভেঙে পড়বে। খুলনার আদালত এলাকায় ঘটানো এই হত্যাকাণ্ড একটি সতর্কবার্তা। সংশ্লিষ্টরা এই সতর্কবার্তা আমলে নেবে সেটাই কাম্য।

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

খুলনায় আদালতের সামনে দিনদুপুরে দুই আসামিকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা আমাদের আবারও কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড় করায়। বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেখানে রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব, সেখানে আদালতের সামনেই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার নজির।

রোববার দুপুরে জেলা জজ আদালতের সামনে প্রকাশ্যে এই হামলা চালানো হয়। পুলিশ বলছে, সোনাডাঙ্গা থানার অস্ত্র মামলায় জামিনে থাকা ফজলে রাব্বি রাজন ও হাসিব হাওলাদার হাজিরা শেষে চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই চার-পাঁচজন হামলাকারী হেঁটে এসে গুলি ছোড়ে এবং পরে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নিশ্চিত করে তাদের মৃত্যু। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান, আরেকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আসা মানুষ এভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আদালতপাড়ায় ঘুরবেন। এমন পরিস্থিতি কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। আদালতের মতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় পরিকল্পিত হামলা চালানোর সাহস দুবৃত্তরা পেল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

এ ঘটনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসে। আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা সক্রিয় ছিল? হামলাকারীরা কীভাবে সেখানে অস্ত্রসহ প্রবেশ করল? তাদের পালিয়ে যাওয়া এতটা সহজ হলো কেন? আদালত ঘিরে থাকা সিসিটিভি ব্যবস্থা, টহল ও নজরদারি সবকিছুরই কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ। একই সঙ্গে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা আশা করব তদন্ত দ্রুত ও সুষ্ঠু হবে। এবং সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ধরনের ঘটনা যদি বারবার ঘটে, তবে মানুষ আইনকে ভরসার জায়গা হিসেবে দেখার ভরসা হারাবে। বিচারপ্রার্থী, সাক্ষী, কিংবা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে ন্যায়বিচারের কাঠামোই ভেঙে পড়বে। খুলনার আদালত এলাকায় ঘটানো এই হত্যাকাণ্ড একটি সতর্কবার্তা। সংশ্লিষ্টরা এই সতর্কবার্তা আমলে নেবে সেটাই কাম্য।

back to top