খুলনায় আদালতের সামনে দিনদুপুরে দুই আসামিকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা আমাদের আবারও কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড় করায়। বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেখানে রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব, সেখানে আদালতের সামনেই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার নজির।
রোববার দুপুরে জেলা জজ আদালতের সামনে প্রকাশ্যে এই হামলা চালানো হয়। পুলিশ বলছে, সোনাডাঙ্গা থানার অস্ত্র মামলায় জামিনে থাকা ফজলে রাব্বি রাজন ও হাসিব হাওলাদার হাজিরা শেষে চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই চার-পাঁচজন হামলাকারী হেঁটে এসে গুলি ছোড়ে এবং পরে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নিশ্চিত করে তাদের মৃত্যু। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান, আরেকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আসা মানুষ এভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আদালতপাড়ায় ঘুরবেন। এমন পরিস্থিতি কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। আদালতের মতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় পরিকল্পিত হামলা চালানোর সাহস দুবৃত্তরা পেল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।
এ ঘটনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসে। আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা সক্রিয় ছিল? হামলাকারীরা কীভাবে সেখানে অস্ত্রসহ প্রবেশ করল? তাদের পালিয়ে যাওয়া এতটা সহজ হলো কেন? আদালত ঘিরে থাকা সিসিটিভি ব্যবস্থা, টহল ও নজরদারি সবকিছুরই কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ। একই সঙ্গে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা আশা করব তদন্ত দ্রুত ও সুষ্ঠু হবে। এবং সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ধরনের ঘটনা যদি বারবার ঘটে, তবে মানুষ আইনকে ভরসার জায়গা হিসেবে দেখার ভরসা হারাবে। বিচারপ্রার্থী, সাক্ষী, কিংবা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে ন্যায়বিচারের কাঠামোই ভেঙে পড়বে। খুলনার আদালত এলাকায় ঘটানো এই হত্যাকাণ্ড একটি সতর্কবার্তা। সংশ্লিষ্টরা এই সতর্কবার্তা আমলে নেবে সেটাই কাম্য।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
খুলনায় আদালতের সামনে দিনদুপুরে দুই আসামিকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা আমাদের আবারও কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড় করায়। বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেখানে রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব, সেখানে আদালতের সামনেই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার নজির।
রোববার দুপুরে জেলা জজ আদালতের সামনে প্রকাশ্যে এই হামলা চালানো হয়। পুলিশ বলছে, সোনাডাঙ্গা থানার অস্ত্র মামলায় জামিনে থাকা ফজলে রাব্বি রাজন ও হাসিব হাওলাদার হাজিরা শেষে চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই চার-পাঁচজন হামলাকারী হেঁটে এসে গুলি ছোড়ে এবং পরে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নিশ্চিত করে তাদের মৃত্যু। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান, আরেকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আসা মানুষ এভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আদালতপাড়ায় ঘুরবেন। এমন পরিস্থিতি কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। আদালতের মতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় পরিকল্পিত হামলা চালানোর সাহস দুবৃত্তরা পেল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।
এ ঘটনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসে। আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা সক্রিয় ছিল? হামলাকারীরা কীভাবে সেখানে অস্ত্রসহ প্রবেশ করল? তাদের পালিয়ে যাওয়া এতটা সহজ হলো কেন? আদালত ঘিরে থাকা সিসিটিভি ব্যবস্থা, টহল ও নজরদারি সবকিছুরই কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ। একই সঙ্গে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা আশা করব তদন্ত দ্রুত ও সুষ্ঠু হবে। এবং সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ধরনের ঘটনা যদি বারবার ঘটে, তবে মানুষ আইনকে ভরসার জায়গা হিসেবে দেখার ভরসা হারাবে। বিচারপ্রার্থী, সাক্ষী, কিংবা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে ন্যায়বিচারের কাঠামোই ভেঙে পড়বে। খুলনার আদালত এলাকায় ঘটানো এই হত্যাকাণ্ড একটি সতর্কবার্তা। সংশ্লিষ্টরা এই সতর্কবার্তা আমলে নেবে সেটাই কাম্য।