গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে সৌর বাতি স্থাপন ছিল সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে যেমন পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে, তেমনি রাতের অন্ধকারে মানুষের চলাচলও সহজ হয়েছিল। কিন্তু চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সৌরবাতি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল সড়ক, হাটবাজার, হাসপাতাল এলাকা, ব্রিজের মুখসহ নানা স্থানে স্থাপিত অধিকাংশ সৌর ল্যাম্প এখন নষ্ট। কোথাও বাতি জ্বলে না, কোথাও সেন্সর বিকল হয়ে দিনের বেলাতেই আলো জ্বলে-নিভে, আবার কোথাও ব্যাটারি, লাইট ও সোলার প্যানেল চুরি হয়ে গেছে। ফলে খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু আলো নেই। অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক, বাড়ছে ঝুঁকি ও ভোগান্তি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সৌরবাতি স্থাপন শেষ হলেও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেখভালের দায়িত্ব কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর সুযোগে যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে, চুরি হচ্ছে, কিন্তু তা দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে জনগণের করের টাকায় করা উন্নয়ন দিন দিন মূল্যহীন হয়ে উঠছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনায় রক্ষণাবেক্ষণ কেন উপেক্ষিত থাকে? সৌর বাতি স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে যদি নিয়মিত তদারকি, বাজেট ও দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হতো, তাহলে আজ এই অচলাবস্থা তৈরি হতো না।
নষ্ট সৌর ল্যাম্পগুলোর তালিকা করে দ্রুত মেরামত করতে হবে। চুরি রোধে নজরদারি এবং ভবিষ্যতের জন্য সুস্পষ্ট রক্ষণাবেক্ষণ পরিকল্পনা জরুরি। নইলে আলোর জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তা শুধু খুঁটি আর অন্ধকারের সাক্ষী হয়েই থাকবে।
খেলা: টি-২০তে ৭ রানে ৮ উইকেট