alt

opinion » editorial

এলপিজি বিক্রি করতে হবে নির্ধারিত দরে

: মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড় থেকে দুই গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)। যে সিলিন্ডারের সরকারি মূল্য ৬০০ টাকা সেটার দাম বেসরকারি পর্যায়ে ৯৫০ থেকে ১২০০ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর যথেচ্ছাচারের শিকার হচ্ছেন ভোক্তা সাধারণ।

আবাসিক খাতেই এলপিজির ব্যবহার বেশি। আগামীতে এর ব্যবহার আরো বাড়বে। কারণ আবাসিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে এখন এলপিজির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে বছরে আমদানি ও বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদা ও জোগানে ভারসাম্য না থাকায় এর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আগামীতে চাহিদা বাড়লে এবং সে অনুপাতে আমদানি না বাড়লে এর দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা একটা প্রশ্ন।

বিইআরসি থেকে লাইসেন্স নেয়া এলপিজি কোম্পানি ২৭টি। এর মধ্যে গ্যাস সরবরাহ করছে ১৮টি কোম্পানি। বাকিগুলো সরবরাহ কাজ শুরু করেনি কেন, সেটা জানা দরকার। সব কোম্পানিকে সক্রিয় করা গেলে চাহিদা-সরবরাহের ফারাক কমানো যেত। সরকারিভাবে আমদানি-বিক্রি বাড়িয়েও দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যায়। বর্তমানে মাত্র ২০ হাজার মেট্রিক টন এলপিজি সরকারিভাবে বিক্রি হয়, যা মোট চাহিদার মাত্র ২ শতাংশ।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এলপিজির মূল্যহার পুনঃনির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গেছে, বেসরকারি কোম্পানিগুলো সরকারি কোম্পানির চেয়ে ৫৬ ভাগ বেশি দাম নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। অযৌক্তিক দর যেন নির্ধারিত না হয় সেটা বিইআরসির গণশুনানিতে নিশ্চিত করতে হবে। সিলিন্ডারের ওপর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লিখতে বাধ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে কারো কোন ওজর-আপত্তি থাকতে পারে না।

সব ভোক্তা যেন নির্ধারিত মূল্যে এলপিজি গ্যাস পান সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। ভোক্তা যদি নির্ধারিত দরে গ্যাস না পান তাহলে দর নির্ধারণের প্রয়োজন কী? ব্যবসায়ীরাই কি খেয়াল-খুশিমতো এর দাম নিয়ন্ত্রণ করবেন?

এলপিজি আমদানি বা বিক্রির ক্ষেত্রে পরিবহন ও বিপণন ব্যয় কীভাবে কমানো যায় সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কবে এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ হবে, তারপর এর দাম কমবে- সেই আশায় বসে থাকলে চলবে না।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

এলপিজি বিক্রি করতে হবে নির্ধারিত দরে

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড় থেকে দুই গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)। যে সিলিন্ডারের সরকারি মূল্য ৬০০ টাকা সেটার দাম বেসরকারি পর্যায়ে ৯৫০ থেকে ১২০০ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর যথেচ্ছাচারের শিকার হচ্ছেন ভোক্তা সাধারণ।

আবাসিক খাতেই এলপিজির ব্যবহার বেশি। আগামীতে এর ব্যবহার আরো বাড়বে। কারণ আবাসিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে এখন এলপিজির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে বছরে আমদানি ও বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদা ও জোগানে ভারসাম্য না থাকায় এর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আগামীতে চাহিদা বাড়লে এবং সে অনুপাতে আমদানি না বাড়লে এর দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা একটা প্রশ্ন।

বিইআরসি থেকে লাইসেন্স নেয়া এলপিজি কোম্পানি ২৭টি। এর মধ্যে গ্যাস সরবরাহ করছে ১৮টি কোম্পানি। বাকিগুলো সরবরাহ কাজ শুরু করেনি কেন, সেটা জানা দরকার। সব কোম্পানিকে সক্রিয় করা গেলে চাহিদা-সরবরাহের ফারাক কমানো যেত। সরকারিভাবে আমদানি-বিক্রি বাড়িয়েও দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যায়। বর্তমানে মাত্র ২০ হাজার মেট্রিক টন এলপিজি সরকারিভাবে বিক্রি হয়, যা মোট চাহিদার মাত্র ২ শতাংশ।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এলপিজির মূল্যহার পুনঃনির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গেছে, বেসরকারি কোম্পানিগুলো সরকারি কোম্পানির চেয়ে ৫৬ ভাগ বেশি দাম নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। অযৌক্তিক দর যেন নির্ধারিত না হয় সেটা বিইআরসির গণশুনানিতে নিশ্চিত করতে হবে। সিলিন্ডারের ওপর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লিখতে বাধ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে কারো কোন ওজর-আপত্তি থাকতে পারে না।

সব ভোক্তা যেন নির্ধারিত মূল্যে এলপিজি গ্যাস পান সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। ভোক্তা যদি নির্ধারিত দরে গ্যাস না পান তাহলে দর নির্ধারণের প্রয়োজন কী? ব্যবসায়ীরাই কি খেয়াল-খুশিমতো এর দাম নিয়ন্ত্রণ করবেন?

এলপিজি আমদানি বা বিক্রির ক্ষেত্রে পরিবহন ও বিপণন ব্যয় কীভাবে কমানো যায় সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কবে এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ হবে, তারপর এর দাম কমবে- সেই আশায় বসে থাকলে চলবে না।

back to top