alt

opinion » editorial

তৃষার হত্যাকারী তাহলে কে

: মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

যশোরের শিশু আফরিন তৃষা (৮) নিখোঁজ হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩ মার্চ। পরের দিন তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ ওঠে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। সেই ঘটনায় মামলা করা হয়। ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটক সাইফুল অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপর ধর্ষণ ও হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন শামীম কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। তদন্তে জানা যায়, শামীমকে মাদক সেবনে বাধা এবং ইজিবাইকে ওঠা নিয়ে তৃষার বাবার সঙ্গে বিরোধের জেরে উক্ত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে।

তদন্ত শেষে দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। মামলার আইনজীবী ব্লাস্টের সমন্বয়কারী মোস্তফা হুমায়ুন কবীর বলেছেন, এ মামলায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্টও ছিল। সাক্ষীদের বক্তব্যেও ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি উঠে এসেছিল। কিন্তু মামলার চূড়ান্ত রায়ে আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছে। অতীতে এমন অনেক ধর্ষণ মামলায় আসামিদের বেকসুর খালাস পেতে দেখা গেছে।

সরকারপক্ষের আইনজীবী যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (বিশেষ পিপি) সেতারা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেছেন, আটক দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় বিচারক তাদের মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন। মামলার বাদী নিহত তৃষার বাবা তরিকুল ইসলাম রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেছেন।

তৃষা যে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে সেটা বিভিন্নভাবে জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মামলার আসামিরা এ ঘটনায় জড়িত না থাকলে কার কারণে শিশুটিকে এমন করুণ পরিণতি বরণ করতে হলো। কাদের হুমকিতে বাদীকে সপরিবারে যশোর শহরের ভাড়া বাড়িটি ছেড়ে যেতে হলো। এসব প্রশ্নের মীমাংসা জরুরি।

মামলার কোন স্তরে কোন ঘাটতি ছিল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। বাদী বলেছেন, তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। আমরা আশা করব, সেখানে এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা জরুরি।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

তৃষার হত্যাকারী তাহলে কে

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

যশোরের শিশু আফরিন তৃষা (৮) নিখোঁজ হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩ মার্চ। পরের দিন তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ ওঠে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। সেই ঘটনায় মামলা করা হয়। ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটক সাইফুল অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপর ধর্ষণ ও হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন শামীম কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। তদন্তে জানা যায়, শামীমকে মাদক সেবনে বাধা এবং ইজিবাইকে ওঠা নিয়ে তৃষার বাবার সঙ্গে বিরোধের জেরে উক্ত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে।

তদন্ত শেষে দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। মামলার আইনজীবী ব্লাস্টের সমন্বয়কারী মোস্তফা হুমায়ুন কবীর বলেছেন, এ মামলায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্টও ছিল। সাক্ষীদের বক্তব্যেও ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি উঠে এসেছিল। কিন্তু মামলার চূড়ান্ত রায়ে আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছে। অতীতে এমন অনেক ধর্ষণ মামলায় আসামিদের বেকসুর খালাস পেতে দেখা গেছে।

সরকারপক্ষের আইনজীবী যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (বিশেষ পিপি) সেতারা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেছেন, আটক দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় বিচারক তাদের মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন। মামলার বাদী নিহত তৃষার বাবা তরিকুল ইসলাম রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেছেন।

তৃষা যে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে সেটা বিভিন্নভাবে জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মামলার আসামিরা এ ঘটনায় জড়িত না থাকলে কার কারণে শিশুটিকে এমন করুণ পরিণতি বরণ করতে হলো। কাদের হুমকিতে বাদীকে সপরিবারে যশোর শহরের ভাড়া বাড়িটি ছেড়ে যেতে হলো। এসব প্রশ্নের মীমাংসা জরুরি।

মামলার কোন স্তরে কোন ঘাটতি ছিল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। বাদী বলেছেন, তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। আমরা আশা করব, সেখানে এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা জরুরি।

back to top