alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

: বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ আরোপ করায় দেশের শিল্পকারখানার শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছেন। তারা এখন চাকরি হারানো ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত এক সংলাপে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা এসব কথা বলেন।

চলমান লকডাউনে শ্রমিক স্বার্থ দেখা হয়নি বলে অভিযোগ এসেছে। এ অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। একদিকে অর্থনীতি সচল রাখার জন্য শিল্পকারখানা খোলা রাখার বিষয়ে মালিকপক্ষের শক্ত অবস্থান। অন্যদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিকদের জন্য পরিবহনব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল বিধিনিষেধ আরোপের সময়। কিন্তু বাস্তবে মালিকপক্ষ তা করেনি। ফলে শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই হেঁটে হেঁটে কারখানায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। সংক্রমণ ঝুঁকিও বাড়ছে।

করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি কমাতে সব শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকির মূল্যায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিকদের আনা-নেয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা উচিত।

সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কর্মরত কোনো শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে কারখানা মালিককে তার চিকিৎসা এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কর্মস্থলে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি শ্রমিকদের বসবাসস্থলের পরিবেশ কতটা নিরাপদ আছে, তা-ও দেখতে হবে। এ মুহূর্তে এসব খুব জরুরি।

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ আরোপ করায় দেশের শিল্পকারখানার শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছেন। তারা এখন চাকরি হারানো ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত এক সংলাপে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা এসব কথা বলেন।

চলমান লকডাউনে শ্রমিক স্বার্থ দেখা হয়নি বলে অভিযোগ এসেছে। এ অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। একদিকে অর্থনীতি সচল রাখার জন্য শিল্পকারখানা খোলা রাখার বিষয়ে মালিকপক্ষের শক্ত অবস্থান। অন্যদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিকদের জন্য পরিবহনব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল বিধিনিষেধ আরোপের সময়। কিন্তু বাস্তবে মালিকপক্ষ তা করেনি। ফলে শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই হেঁটে হেঁটে কারখানায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। সংক্রমণ ঝুঁকিও বাড়ছে।

করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি কমাতে সব শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকির মূল্যায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিকদের আনা-নেয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা উচিত।

সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কর্মরত কোনো শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে কারখানা মালিককে তার চিকিৎসা এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কর্মস্থলে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি শ্রমিকদের বসবাসস্থলের পরিবেশ কতটা নিরাপদ আছে, তা-ও দেখতে হবে। এ মুহূর্তে এসব খুব জরুরি।

back to top