করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ আরোপ করায় দেশের শিল্পকারখানার শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছেন। তারা এখন চাকরি হারানো ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত এক সংলাপে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা এসব কথা বলেন।
চলমান লকডাউনে শ্রমিক স্বার্থ দেখা হয়নি বলে অভিযোগ এসেছে। এ অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। একদিকে অর্থনীতি সচল রাখার জন্য শিল্পকারখানা খোলা রাখার বিষয়ে মালিকপক্ষের শক্ত অবস্থান। অন্যদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিকদের জন্য পরিবহনব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল বিধিনিষেধ আরোপের সময়। কিন্তু বাস্তবে মালিকপক্ষ তা করেনি। ফলে শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই হেঁটে হেঁটে কারখানায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। সংক্রমণ ঝুঁকিও বাড়ছে।
করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি কমাতে সব শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকির মূল্যায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিকদের আনা-নেয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা উচিত।
সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কর্মরত কোনো শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে কারখানা মালিককে তার চিকিৎসা এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কর্মস্থলে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি শ্রমিকদের বসবাসস্থলের পরিবেশ কতটা নিরাপদ আছে, তা-ও দেখতে হবে। এ মুহূর্তে এসব খুব জরুরি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ আরোপ করায় দেশের শিল্পকারখানার শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছেন। তারা এখন চাকরি হারানো ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত এক সংলাপে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা এসব কথা বলেন।
চলমান লকডাউনে শ্রমিক স্বার্থ দেখা হয়নি বলে অভিযোগ এসেছে। এ অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। একদিকে অর্থনীতি সচল রাখার জন্য শিল্পকারখানা খোলা রাখার বিষয়ে মালিকপক্ষের শক্ত অবস্থান। অন্যদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিকদের জন্য পরিবহনব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল বিধিনিষেধ আরোপের সময়। কিন্তু বাস্তবে মালিকপক্ষ তা করেনি। ফলে শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই হেঁটে হেঁটে কারখানায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। সংক্রমণ ঝুঁকিও বাড়ছে।
করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি কমাতে সব শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকির মূল্যায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিকদের আনা-নেয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা উচিত।
সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কর্মরত কোনো শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে কারখানা মালিককে তার চিকিৎসা এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কর্মস্থলে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি শ্রমিকদের বসবাসস্থলের পরিবেশ কতটা নিরাপদ আছে, তা-ও দেখতে হবে। এ মুহূর্তে এসব খুব জরুরি।