alt

opinion » editorial

দারিদ্র্য বিমোচনের প্রক্রিয়াগত দুর্বলতাগুলো দূর করতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

করোনায় প্রতিনিয়ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে এই নতুন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণার তৃতীয় ধাপে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে গেল। এত দিন বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা সমস্যার কারণে মানুষের গরিব হওয়ার শঙ্কা ছিল। করোনা পরিস্থিতি এখন দেশের সব খাতেই প্রভাব ফেলছে। কাজ হারিয়ে হঠাৎ করেই দারিদ্র্যের কবলে পড়েছেন অনেকে। এই দারিদ্র্য যাতে দীর্ঘমেয়াদি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।

করোনাকালে দারিদ্র্য হ্রাসে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ ক্যাশ পৌঁছানো, শিল্পকে সহায়তা দিয়ে কর্মসংস্থান ঝরেপড়া রোধসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে প্রক্রিয়াগত দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দফা বন্যা, আম্পানের আঘাত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা পদক্ষেপে আশানুরূপ সুফল মেলেনি। সম্প্রতি বিআইজিডির এক জরিপ বলেছে, ৬৫ শতাংশ প্রকৃত গরিব মানুষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

দারিদ্র্য বিমোচনের প্রক্রিয়াগত দুর্বলতাগুলো দূর করা দরকার। যে তালিকা ধরে ত্রাণ কিংবা সামাজিক সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে সেই তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে হবে সবার আগে। জীবন আর জীবিকা দুটোই রক্ষা করার চিন্তা থাকতে হবে এবং সব পরিকল্পনায় সেই চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য বা অর্থ সহায়তা দিতে হবে। সহায়তা কার্যক্রমে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে।

কোভিডের আঘাত সব জায়গায় একইভাবে অনুভূত হয়নি। শহরের তুলনায় গ্রামে তার প্রভাব কমই দেখা গেছে। সে কারণে শহরের বস্তিবাসীর জীবন গ্রামের শ্রমজীবীদের তুলনায় অনেক বেশি অরক্ষিত। রিকশাচালক, গৃহ-সহায়িকা, মুদি দোকানদার, ক্ষুদ্র ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীসহ বিশাল এক জনগোষ্ঠী সাময়িকভাবে কাজ হারাতে পারেন। তাই তাদের সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে আনতে হবে। যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

দারিদ্র্য বিমোচনের প্রক্রিয়াগত দুর্বলতাগুলো দূর করতে হবে

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

করোনায় প্রতিনিয়ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে এই নতুন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণার তৃতীয় ধাপে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে গেল। এত দিন বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা সমস্যার কারণে মানুষের গরিব হওয়ার শঙ্কা ছিল। করোনা পরিস্থিতি এখন দেশের সব খাতেই প্রভাব ফেলছে। কাজ হারিয়ে হঠাৎ করেই দারিদ্র্যের কবলে পড়েছেন অনেকে। এই দারিদ্র্য যাতে দীর্ঘমেয়াদি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।

করোনাকালে দারিদ্র্য হ্রাসে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ ক্যাশ পৌঁছানো, শিল্পকে সহায়তা দিয়ে কর্মসংস্থান ঝরেপড়া রোধসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে প্রক্রিয়াগত দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দফা বন্যা, আম্পানের আঘাত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা পদক্ষেপে আশানুরূপ সুফল মেলেনি। সম্প্রতি বিআইজিডির এক জরিপ বলেছে, ৬৫ শতাংশ প্রকৃত গরিব মানুষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

দারিদ্র্য বিমোচনের প্রক্রিয়াগত দুর্বলতাগুলো দূর করা দরকার। যে তালিকা ধরে ত্রাণ কিংবা সামাজিক সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে সেই তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে হবে সবার আগে। জীবন আর জীবিকা দুটোই রক্ষা করার চিন্তা থাকতে হবে এবং সব পরিকল্পনায় সেই চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য বা অর্থ সহায়তা দিতে হবে। সহায়তা কার্যক্রমে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে।

কোভিডের আঘাত সব জায়গায় একইভাবে অনুভূত হয়নি। শহরের তুলনায় গ্রামে তার প্রভাব কমই দেখা গেছে। সে কারণে শহরের বস্তিবাসীর জীবন গ্রামের শ্রমজীবীদের তুলনায় অনেক বেশি অরক্ষিত। রিকশাচালক, গৃহ-সহায়িকা, মুদি দোকানদার, ক্ষুদ্র ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীসহ বিশাল এক জনগোষ্ঠী সাময়িকভাবে কাজ হারাতে পারেন। তাই তাদের সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে আনতে হবে। যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top