alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রাঙ্গামাটিতে দেড় শতাধিক বিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার উপক্রম

স্কুলগুলোর আর্থিক সংকট দূর করুন

: বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

রাঙ্গামাটির বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দেড় শতাধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর পাঠক্রম চলছে মূলত স্থানীয়দের গণচাঁদা ও কিছু এনজিওর অর্থিক সহায়তায়। কিন্তু করোনার প্রভাবে মানুষের আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় বিদ্যালয়গুলোও তারা চালিয়ে নিতে পারছে না। শিক্ষকরাও দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পাঁচ সহস্রাধিক শিশুর শিক্ষাজীবন।

এটা দুঃখজনক যে, আর্থিক সংকটে রাঙ্গামাটির বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতো শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে এটা কাম্য নয়। বিষয়টি সত্য হয়ে থাকলে তা এসডিজি পূরণেও বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এ সমস্যার সমাধানে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে। ফলে তারা রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে থাকবে। যতদিন জাতীয়করণ না হয়, ততদিন বিদ্যালয়গুলো চালু রাখতে পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য মন্ত্রণালয় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে।

শুধু রাঙ্গামাটি নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বেসরকারি স্কুলগুলোরও এখন একই দশা। ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়নি, শিক্ষা খাতের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আয় উপার্জন এক কঠিন বাস্তবতার মধ্যে পড়ে যায়। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিন্তামুক্ত থাকলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শিক্ষা খাতের খরচ জাতির জন্য একটি সঠিক বিনিয়োগ হলেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এসব শিক্ষক-কর্মকর্তার জন্য তেমন কোন সরকারি অনুদান নেই, যদিও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারি প্রণোদনার প্যাকেজ রয়েছে। ৯ মাস ধরে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমভিত্তিক পাঠদান বন্ধ থাকায় অভিভাবকদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তার মাত্রা বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

করোনার সংকট কতো দিন স্থায়ী হবে, কেউ বলতে পারে না। আবার শিক্ষাকার্যক্রমও দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকতে পারে না। সরকার সহায়তা না করলে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা, শিক্ষক-কর্মচারীরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেনই, তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষার্থীরা। যারা একবার শিক্ষাঙ্গণ থেকে ছিটকে পড়বে, তাদের ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না। অতএব, যা করার এখনই করতে হবে।

পুরো শিক্ষা খাত নিয়ে সরকারের একটি ডেটাবেইস করা উচিত। কতজন শিক্ষার্থী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে, কতজন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, করোনার কারণে কতজন সমস্যায় পড়েছে, কার কী সহায়তা প্রয়োজন, সেসব তথ্য থাকতে পারে সেখানে। সরকার চাইলে এক মাসের মধ্যে এটি তৈরি করা কঠিন নয়। এই সহায়তার তালিকা তৈরির দায়িত্ব কাদের দেয়া হবে সেটিও একটি প্রশ্ন। তবে যাদেরকেই দেয়া হোক প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছ হয় তা নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষকদের এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে হবে।

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রাঙ্গামাটিতে দেড় শতাধিক বিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার উপক্রম

স্কুলগুলোর আর্থিক সংকট দূর করুন

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

রাঙ্গামাটির বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দেড় শতাধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর পাঠক্রম চলছে মূলত স্থানীয়দের গণচাঁদা ও কিছু এনজিওর অর্থিক সহায়তায়। কিন্তু করোনার প্রভাবে মানুষের আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় বিদ্যালয়গুলোও তারা চালিয়ে নিতে পারছে না। শিক্ষকরাও দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পাঁচ সহস্রাধিক শিশুর শিক্ষাজীবন।

এটা দুঃখজনক যে, আর্থিক সংকটে রাঙ্গামাটির বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতো শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে এটা কাম্য নয়। বিষয়টি সত্য হয়ে থাকলে তা এসডিজি পূরণেও বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এ সমস্যার সমাধানে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে। ফলে তারা রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে থাকবে। যতদিন জাতীয়করণ না হয়, ততদিন বিদ্যালয়গুলো চালু রাখতে পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য মন্ত্রণালয় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে।

শুধু রাঙ্গামাটি নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বেসরকারি স্কুলগুলোরও এখন একই দশা। ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়নি, শিক্ষা খাতের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আয় উপার্জন এক কঠিন বাস্তবতার মধ্যে পড়ে যায়। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিন্তামুক্ত থাকলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শিক্ষা খাতের খরচ জাতির জন্য একটি সঠিক বিনিয়োগ হলেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এসব শিক্ষক-কর্মকর্তার জন্য তেমন কোন সরকারি অনুদান নেই, যদিও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারি প্রণোদনার প্যাকেজ রয়েছে। ৯ মাস ধরে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমভিত্তিক পাঠদান বন্ধ থাকায় অভিভাবকদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তার মাত্রা বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

করোনার সংকট কতো দিন স্থায়ী হবে, কেউ বলতে পারে না। আবার শিক্ষাকার্যক্রমও দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকতে পারে না। সরকার সহায়তা না করলে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা, শিক্ষক-কর্মচারীরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেনই, তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষার্থীরা। যারা একবার শিক্ষাঙ্গণ থেকে ছিটকে পড়বে, তাদের ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না। অতএব, যা করার এখনই করতে হবে।

পুরো শিক্ষা খাত নিয়ে সরকারের একটি ডেটাবেইস করা উচিত। কতজন শিক্ষার্থী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে, কতজন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, করোনার কারণে কতজন সমস্যায় পড়েছে, কার কী সহায়তা প্রয়োজন, সেসব তথ্য থাকতে পারে সেখানে। সরকার চাইলে এক মাসের মধ্যে এটি তৈরি করা কঠিন নয়। এই সহায়তার তালিকা তৈরির দায়িত্ব কাদের দেয়া হবে সেটিও একটি প্রশ্ন। তবে যাদেরকেই দেয়া হোক প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছ হয় তা নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষকদের এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে হবে।

back to top