alt

মতামত » সম্পাদকীয়

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে দুর্নীতি বন্ধ করুন

: শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১

ভোলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ওই জেলেদের পরিবারপ্রতি (দুই মাসের জন্য) ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। গত ২৯ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, একেকজন জেলেকে দুই মাসে ৮০ কেজির জায়গায় ৩৫-৩৬ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে।

দুই মাস ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার, বহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত নিষিদ্ধ। এতে জেলার প্রায় দুই লাখ জেলে পরিবার বেকার হয়ে পড়ে। বিকল্প কোন কাজের সংস্থান করা হয় না তাদের জন্য। ফলে এ সময় কোন আয়-রোজগার না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। তখন সরকারের বরাদ্দ করা চাল তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে। কিন্তু সেই চালই যদি না জোটে, তাহলে তাদের কষ্ট সহজেই অনুমেয়।

দরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দ চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। সরকারি সহায়তা না পেয়ে এবং বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে বাধ্য হন। ফলে তারা জেল-জরিমানার মুখে পড়েন।

উল্লিখিত ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বলছেন, বহন খরচের কারণে জেলেদের চাল কম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার চাল পরিবহন খরচ ঠিকমতো দিচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পরিষদের দূরত্ব কতটা যে এই পথ পাড়ি দেয়ার জন্য বরাদ্দকৃত চালের বেশিরভাগ অংশই বাদ দেয়া হবে? বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে কারও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

জেলেদের জন্য সরকার যদি চাল বরাদ্দই দিতে পারে তবে তা সঠিকভাবে বিতরণের জন্য উপজেলা থেকে ইউনিয়নে পৌঁছে দেয়ার কাজটিও অসম্ভব কিছু নয়। আমরা আশা করব, এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে।

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে দুর্নীতি বন্ধ করুন

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১

ভোলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ওই জেলেদের পরিবারপ্রতি (দুই মাসের জন্য) ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। গত ২৯ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, একেকজন জেলেকে দুই মাসে ৮০ কেজির জায়গায় ৩৫-৩৬ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে।

দুই মাস ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার, বহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত নিষিদ্ধ। এতে জেলার প্রায় দুই লাখ জেলে পরিবার বেকার হয়ে পড়ে। বিকল্প কোন কাজের সংস্থান করা হয় না তাদের জন্য। ফলে এ সময় কোন আয়-রোজগার না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। তখন সরকারের বরাদ্দ করা চাল তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে। কিন্তু সেই চালই যদি না জোটে, তাহলে তাদের কষ্ট সহজেই অনুমেয়।

দরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দ চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। সরকারি সহায়তা না পেয়ে এবং বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে বাধ্য হন। ফলে তারা জেল-জরিমানার মুখে পড়েন।

উল্লিখিত ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বলছেন, বহন খরচের কারণে জেলেদের চাল কম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার চাল পরিবহন খরচ ঠিকমতো দিচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পরিষদের দূরত্ব কতটা যে এই পথ পাড়ি দেয়ার জন্য বরাদ্দকৃত চালের বেশিরভাগ অংশই বাদ দেয়া হবে? বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে কারও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

জেলেদের জন্য সরকার যদি চাল বরাদ্দই দিতে পারে তবে তা সঠিকভাবে বিতরণের জন্য উপজেলা থেকে ইউনিয়নে পৌঁছে দেয়ার কাজটিও অসম্ভব কিছু নয়। আমরা আশা করব, এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে।

back to top