alt

opinion » editorial

রাসায়নিক শিল্পপল্লীর কাজে ধীরগতি কেন

: সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১

২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ আগুনে ১২৪ জন মানুষ মারা যান। এরপর পেরিয়েছে ১০ বছরের বেশি সময়। কিন্তু রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নিতে রাসায়নিক শিল্পপল্লী প্রতিষ্ঠার প্রকল্পে মাটি ভরাটই শুরু হয়নি। পল্লী প্রতিষ্ঠার আগে রাসায়নিকের ব্যবসা অস্থায়ী গুদামে সরিয়ে নেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তাও বাস্তবায়ন হয়নি। এরই মধ্যে গত শুক্রবার ভোররাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আগুনে মারা গেলেন ৪ জন। এর আগে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন নামের একটি ভবনে আগুনে মারা যান ৭১ জন।

পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি যে একটুও কমেনি, আরমানিটোলার অগ্নিকা-ই তার জলন্ত প্রমাণ। এই দুর্ঘটনার পর আবারো সামনে এসেছে আবাসিক এলাকায় দাহ্য রাসায়নিক মজুদের ভয়াবহতার বিষয়টি। দুঃখজনক হলো- অগ্নিকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়াচড়া করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তা থেমে যায়।

নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল-অবিলম্বে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের সব দোকান ও গুদাম সরিয়ে ফেলা হবে। এজন্য কমিটি ও টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু সেসবের কিছুই করা হয়নি। নিমতলীতে অগ্নিকা-ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন হয়নি। চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কিছুটা তৎপর হয়েছিল কেমিকেল গোডাউনগুলো স্থানান্তরে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সেই কাজগুলোও ঝিমিয়ে পড়েছে।

রাসায়নিক পল্লী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল নিমতলীর আগুনের পরপরই। তবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুধু প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছিল। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা। অথচ বিসিক জানিয়েছে, প্রকল্পের জমিতে স্থান ভরাটের কাজ এখনো শুরু হয়নি।

আমরা জানতে চাই, এই নিঃস্পৃহতার কারণ কী? একটি রাসায়নিক পল্লী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার ১০ বছর পর মাটি ভরাটই শুরু না হওয়ার দায় কার? পুরান ঢাকায় অনির্দিষ্টকালব্যাপী রাসায়নিক গোডাউন থাকবে, বার বার সেখানে অগ্নিকা- ঘটবে আর নিরীহ মানুষের প্রাণ যাবে- এটাই কী ভবিতব্য?

পুরান ঢাকা থেকে সব রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা সরিয়ে নিতে হবে অবিলম্বে। এ ব্যাপারে আমরা কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। রাসায়নিক শিল্পপল্লীর কাজে জোরালো তৎপরতা দরকার। এক্ষেত্রে কেন অগ্রগতি ঘটেনি বা কারা দায়ী, তা খতিয়ে দেখতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

রাসায়নিক শিল্পপল্লীর কাজে ধীরগতি কেন

সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১

২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ আগুনে ১২৪ জন মানুষ মারা যান। এরপর পেরিয়েছে ১০ বছরের বেশি সময়। কিন্তু রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নিতে রাসায়নিক শিল্পপল্লী প্রতিষ্ঠার প্রকল্পে মাটি ভরাটই শুরু হয়নি। পল্লী প্রতিষ্ঠার আগে রাসায়নিকের ব্যবসা অস্থায়ী গুদামে সরিয়ে নেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তাও বাস্তবায়ন হয়নি। এরই মধ্যে গত শুক্রবার ভোররাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আগুনে মারা গেলেন ৪ জন। এর আগে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন নামের একটি ভবনে আগুনে মারা যান ৭১ জন।

পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি যে একটুও কমেনি, আরমানিটোলার অগ্নিকা-ই তার জলন্ত প্রমাণ। এই দুর্ঘটনার পর আবারো সামনে এসেছে আবাসিক এলাকায় দাহ্য রাসায়নিক মজুদের ভয়াবহতার বিষয়টি। দুঃখজনক হলো- অগ্নিকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়াচড়া করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তা থেমে যায়।

নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল-অবিলম্বে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের সব দোকান ও গুদাম সরিয়ে ফেলা হবে। এজন্য কমিটি ও টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু সেসবের কিছুই করা হয়নি। নিমতলীতে অগ্নিকা-ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন হয়নি। চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কিছুটা তৎপর হয়েছিল কেমিকেল গোডাউনগুলো স্থানান্তরে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সেই কাজগুলোও ঝিমিয়ে পড়েছে।

রাসায়নিক পল্লী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল নিমতলীর আগুনের পরপরই। তবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুধু প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছিল। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা। অথচ বিসিক জানিয়েছে, প্রকল্পের জমিতে স্থান ভরাটের কাজ এখনো শুরু হয়নি।

আমরা জানতে চাই, এই নিঃস্পৃহতার কারণ কী? একটি রাসায়নিক পল্লী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার ১০ বছর পর মাটি ভরাটই শুরু না হওয়ার দায় কার? পুরান ঢাকায় অনির্দিষ্টকালব্যাপী রাসায়নিক গোডাউন থাকবে, বার বার সেখানে অগ্নিকা- ঘটবে আর নিরীহ মানুষের প্রাণ যাবে- এটাই কী ভবিতব্য?

পুরান ঢাকা থেকে সব রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা সরিয়ে নিতে হবে অবিলম্বে। এ ব্যাপারে আমরা কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। রাসায়নিক শিল্পপল্লীর কাজে জোরালো তৎপরতা দরকার। এক্ষেত্রে কেন অগ্রগতি ঘটেনি বা কারা দায়ী, তা খতিয়ে দেখতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।

back to top