alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সরকারি ঘর বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

: শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

ভোলার লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামে সরকারি বরাদ্দের অন্তত ১২টি ঘর বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত গৃহহীনদের পরিবর্তে ঘরগুলো সচ্ছল ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। এসব ব্যক্তিই এখন ঘরের সরঞ্জাম খুলে বিক্রি করছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, সরকার উক্ত গ্রামে ভূমিহীন ও দরিদ্রদের জন্য ঘর বরাদ্দ দিয়েছিল প্রায় ২০০। ঘর বিতরণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতি করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

ঘর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এর আগেও পাওয়া গেছে। সরকার গৃহহীনদের ঘর দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। অথচ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একশ্রেণির অসাধু লোক ঘর দিচ্ছেন সচ্ছলদের। আবার অসচ্ছলদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। ঘর নির্মাণের অনিয়ম-দুর্নীতির কথাও জানা যায়। ঘর তৈরি করতে না করতেই তা নষ্ট বা ধ্বংস হয়ে গেছে এমন খবর প্রায়ই গণমাধ্যামে প্রকাশিত হয়।

একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের কারণে গৃহহীনদের ঘর দেয়ার ভালো একটি উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এই শ্রেণীর ব্যক্তি যখনই সুযোগ পায় তখনই নানানভাবে অসহায় দুস্থ মানুষের ন্যায্য প্রাপ্য আত্মসাৎ করে। তারা কখনও ত্রাণের চাল আবার কখনও মাথা গোঁজার ঠাঁই আত্মসাৎ করে। দুর্নীতিবাজ এই লুটেরাশ্রেণীর বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। নইলে সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে তার কিছুটা ভাগও সব মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে না।

ভোলায় যারা ঘর নিয়ে দুর্নীতি করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। ঘরগুলো যেন প্রকৃত অভাবীরা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যেসব সচ্ছল ব্যক্তি নানা কারসাজি করে দরিদ্রদের ঘর হাতিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সরকারি ঘর বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

ভোলার লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামে সরকারি বরাদ্দের অন্তত ১২টি ঘর বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত গৃহহীনদের পরিবর্তে ঘরগুলো সচ্ছল ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। এসব ব্যক্তিই এখন ঘরের সরঞ্জাম খুলে বিক্রি করছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, সরকার উক্ত গ্রামে ভূমিহীন ও দরিদ্রদের জন্য ঘর বরাদ্দ দিয়েছিল প্রায় ২০০। ঘর বিতরণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতি করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

ঘর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এর আগেও পাওয়া গেছে। সরকার গৃহহীনদের ঘর দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। অথচ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একশ্রেণির অসাধু লোক ঘর দিচ্ছেন সচ্ছলদের। আবার অসচ্ছলদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। ঘর নির্মাণের অনিয়ম-দুর্নীতির কথাও জানা যায়। ঘর তৈরি করতে না করতেই তা নষ্ট বা ধ্বংস হয়ে গেছে এমন খবর প্রায়ই গণমাধ্যামে প্রকাশিত হয়।

একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের কারণে গৃহহীনদের ঘর দেয়ার ভালো একটি উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এই শ্রেণীর ব্যক্তি যখনই সুযোগ পায় তখনই নানানভাবে অসহায় দুস্থ মানুষের ন্যায্য প্রাপ্য আত্মসাৎ করে। তারা কখনও ত্রাণের চাল আবার কখনও মাথা গোঁজার ঠাঁই আত্মসাৎ করে। দুর্নীতিবাজ এই লুটেরাশ্রেণীর বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। নইলে সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে তার কিছুটা ভাগও সব মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে না।

ভোলায় যারা ঘর নিয়ে দুর্নীতি করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। ঘরগুলো যেন প্রকৃত অভাবীরা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যেসব সচ্ছল ব্যক্তি নানা কারসাজি করে দরিদ্রদের ঘর হাতিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top