alt

opinion » editorial

নিম্নবিত্তের সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়ান

: বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১

মহামারী করোনার কারণে দেশের বেশিরভাগ মানুষের আয় কমে গেছে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাওয়া-পরার খরচের টাকার জোগান হয়নি নিম্ন আয়ের অন্তত ৮৬ শতাংশ মানুষের। ৬২ শতাংশ মানুষ কোন না কোনভাবে কাজ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই কাজ হারিয়েছেন গত বছরের এপ্রিল-মে মাসে। বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, করোনার অভিঘাতে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামোর সীমাবদ্ধতা বেড়েছে। কাজ হারানো অনেকে কাজ ফিরে পেলেও তাদের আয় কমে গেছে। জীবন চালিয়ে নিতে মধ্যবিত্তরা সঞ্চয়ে হাত দিতে বাধ্য হয়েছেন। পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ কমেছে অনেকের। স্কুল থেকে ঝরে পড়ার সংখ্যাও বাড়ছে। এতদিন যারা নিম্নমধ্যবিত্ত ছিল করোনার প্রকোপে তাদের অনেকেই দরিদ্র শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে। করোনার সংকটে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে যারা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করতেন কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। করোনার চেয়েও জীবিকা নিয়ে তারা বেশি বিচলিত।

এ অবস্থায় সরকারের উচিত দরিদ্র মানুষের সহায়তায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া। কাজ হারানো মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। জীবন রক্ষায় বিধিনিষেধ মেনেই অর্থনীতির চাকা যত দ্রুত সম্ভব সচল করা দরকার, যাতে কাজ হারানো মানুষগুলো ফের কাজে যোগ দিতে পারেন।

গত বছর সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল। কিন্তু সুষ্ঠু তালিকার অভাবে সবাই সেই সুবিধা পাননি। শেষ পর্যন্ত ৩৬ লাখ পরিবার এ সহায়তা পেয়েছে। এ বছরও সরকার ৩৬ লাখ পরিবারকে সমপরিমাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সময়মতো অসহায় মানুষের কাছে সহায়তার অর্থ পৌঁছে দিতে হবে। মধ্যবিত্তদের স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। যারা কর্মহীন তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব মানুষকে যদি মহামারিজনিত আর্থিক সঙ্কট থেকে উদ্ধার করা না যায় তবে কোনও ধরণের প্রবৃদ্ধি দিয়েই লাভ হবে না।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

নিম্নবিত্তের সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়ান

বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১

মহামারী করোনার কারণে দেশের বেশিরভাগ মানুষের আয় কমে গেছে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাওয়া-পরার খরচের টাকার জোগান হয়নি নিম্ন আয়ের অন্তত ৮৬ শতাংশ মানুষের। ৬২ শতাংশ মানুষ কোন না কোনভাবে কাজ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই কাজ হারিয়েছেন গত বছরের এপ্রিল-মে মাসে। বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, করোনার অভিঘাতে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামোর সীমাবদ্ধতা বেড়েছে। কাজ হারানো অনেকে কাজ ফিরে পেলেও তাদের আয় কমে গেছে। জীবন চালিয়ে নিতে মধ্যবিত্তরা সঞ্চয়ে হাত দিতে বাধ্য হয়েছেন। পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ কমেছে অনেকের। স্কুল থেকে ঝরে পড়ার সংখ্যাও বাড়ছে। এতদিন যারা নিম্নমধ্যবিত্ত ছিল করোনার প্রকোপে তাদের অনেকেই দরিদ্র শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে। করোনার সংকটে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে যারা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করতেন কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। করোনার চেয়েও জীবিকা নিয়ে তারা বেশি বিচলিত।

এ অবস্থায় সরকারের উচিত দরিদ্র মানুষের সহায়তায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া। কাজ হারানো মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। জীবন রক্ষায় বিধিনিষেধ মেনেই অর্থনীতির চাকা যত দ্রুত সম্ভব সচল করা দরকার, যাতে কাজ হারানো মানুষগুলো ফের কাজে যোগ দিতে পারেন।

গত বছর সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল। কিন্তু সুষ্ঠু তালিকার অভাবে সবাই সেই সুবিধা পাননি। শেষ পর্যন্ত ৩৬ লাখ পরিবার এ সহায়তা পেয়েছে। এ বছরও সরকার ৩৬ লাখ পরিবারকে সমপরিমাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সময়মতো অসহায় মানুষের কাছে সহায়তার অর্থ পৌঁছে দিতে হবে। মধ্যবিত্তদের স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। যারা কর্মহীন তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব মানুষকে যদি মহামারিজনিত আর্থিক সঙ্কট থেকে উদ্ধার করা না যায় তবে কোনও ধরণের প্রবৃদ্ধি দিয়েই লাভ হবে না।

back to top