alt

মতামত » সম্পাদকীয়

‘গাছকাটা উন্নয়ন’ এবং কিছু প্রশ্ন

: শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১

জীবন ধারণের জন্য অক্সিজেন যে কত জরুরি সেটা মহামারী নভেল করোনাভাইরাস বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছে। কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত যেসব রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে তারা একটু অক্সিজেনের জন্য যে কি হাপিত্যেশ করছেন তা প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টিএম দাস হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে, ৫০ বছর বয়সী একটি গাছ বছরে যে পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে তার আর্থিক মূল্য প্রায় ২১ লাখ টাকা। হিসাবটি ১৯৭৯ সালের। এ আর্থিক মূল্য এখন নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। শুধু অক্সিজেন সরবরাহের মধ্যেই গাছের উপকারী ভূমিকা সীমাবদ্ধ নয়।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫০ বছর বয়সী অনেক গাছ কেটেছে গণপূর্ত বিভাগ। কাটা পড়ার অপেক্ষায় আছে আরও গাছ। উক্ত স্থানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, দর্শনার্থীদের উন্নত খাবার সরবরাহের জন্য সেখানে উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হবে, তৈরি করা হবে ওয়াক ওয়ে, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। উদ্যানের ভেতরে প্রকল্প এলাকার প্রভূত উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির ফর্দটি বেশ দীর্ঘ। সেই ফর্দ পড়লে প্রশ্ন জাগে, এটা কি উন্নয়ন প্রকল্প নাকি অক্সিজেনের কারখানা ধ্বংসের আয়োজন।

বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঢাকা। এই শহরে দূষণমুক্ত বাতাস মেলা দুষ্কর। উন্নত খাবার পাওয়া যায় এমন বহু রেস্তোরাঁ শহরজুড়েই রয়েছে। উদ্যানের ভেতরে মানুষের দূষণমুক্ত বাতাসের পরিবর্তে কেন উন্নত খাবারের প্রয়োজন পড়বে সেটা অনেকের মতো আমাদেরও বোধগম্য নয়। সেখানে মানুষের গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কি দরকার আর ৫০০ গাড়ি পার্ক করার মতো ব্যবস্থা করার কি দরকার! বড় কোন বাণিজ্যিক এলাকায়ও এত বেশি গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা থাকে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রভূত উন্নতি সাধন ও সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিছু গাছ কাটা হয়েছে। আমরা জানতে চাইব গাছের চেয়ে সুন্দর এ পৃথিবীতে আর কিছু কি আছে। গাছ কেটে সরকার কি সৌন্দর্য সাধন করবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। সব সৌন্দর্য কি ইট আর কংক্রিটে! প্রকৃতির ক্ষতি সাধন করে তথাকথিত উন্নতি না করলেই কি নয়? গাছে রেখে উন্নতি করার বহু কায়দা-কৌশল বিশ্বের মানুষ অনেক আগেই আবিষ্কার করেছে। দেশের মাথামোটা কর্তাব্যক্তিদের সেটা কি জানা আছে? সৌন্দর্য বৃদ্ধির এ উদ্ভট চিন্তা কার মাথা থেকে এসেছে সেটা একটা প্রশ্ন।

প্রভূত উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনের নামে প্রকৃতি ধ্বংসের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু করতে হলে গাছ রক্ষা করেই করতে হবে। এজন্য সমীক্ষা করতে হবে। সমীক্ষা অনুযায়ী গাছ কাটার প্রয়োজন পড়লে সে বিষয়ে জনগণকে বিস্তারিত জানাতে হবে।

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

‘গাছকাটা উন্নয়ন’ এবং কিছু প্রশ্ন

শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১

জীবন ধারণের জন্য অক্সিজেন যে কত জরুরি সেটা মহামারী নভেল করোনাভাইরাস বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছে। কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত যেসব রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে তারা একটু অক্সিজেনের জন্য যে কি হাপিত্যেশ করছেন তা প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টিএম দাস হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে, ৫০ বছর বয়সী একটি গাছ বছরে যে পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে তার আর্থিক মূল্য প্রায় ২১ লাখ টাকা। হিসাবটি ১৯৭৯ সালের। এ আর্থিক মূল্য এখন নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। শুধু অক্সিজেন সরবরাহের মধ্যেই গাছের উপকারী ভূমিকা সীমাবদ্ধ নয়।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫০ বছর বয়সী অনেক গাছ কেটেছে গণপূর্ত বিভাগ। কাটা পড়ার অপেক্ষায় আছে আরও গাছ। উক্ত স্থানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, দর্শনার্থীদের উন্নত খাবার সরবরাহের জন্য সেখানে উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হবে, তৈরি করা হবে ওয়াক ওয়ে, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। উদ্যানের ভেতরে প্রকল্প এলাকার প্রভূত উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির ফর্দটি বেশ দীর্ঘ। সেই ফর্দ পড়লে প্রশ্ন জাগে, এটা কি উন্নয়ন প্রকল্প নাকি অক্সিজেনের কারখানা ধ্বংসের আয়োজন।

বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঢাকা। এই শহরে দূষণমুক্ত বাতাস মেলা দুষ্কর। উন্নত খাবার পাওয়া যায় এমন বহু রেস্তোরাঁ শহরজুড়েই রয়েছে। উদ্যানের ভেতরে মানুষের দূষণমুক্ত বাতাসের পরিবর্তে কেন উন্নত খাবারের প্রয়োজন পড়বে সেটা অনেকের মতো আমাদেরও বোধগম্য নয়। সেখানে মানুষের গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কি দরকার আর ৫০০ গাড়ি পার্ক করার মতো ব্যবস্থা করার কি দরকার! বড় কোন বাণিজ্যিক এলাকায়ও এত বেশি গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা থাকে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রভূত উন্নতি সাধন ও সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিছু গাছ কাটা হয়েছে। আমরা জানতে চাইব গাছের চেয়ে সুন্দর এ পৃথিবীতে আর কিছু কি আছে। গাছ কেটে সরকার কি সৌন্দর্য সাধন করবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। সব সৌন্দর্য কি ইট আর কংক্রিটে! প্রকৃতির ক্ষতি সাধন করে তথাকথিত উন্নতি না করলেই কি নয়? গাছে রেখে উন্নতি করার বহু কায়দা-কৌশল বিশ্বের মানুষ অনেক আগেই আবিষ্কার করেছে। দেশের মাথামোটা কর্তাব্যক্তিদের সেটা কি জানা আছে? সৌন্দর্য বৃদ্ধির এ উদ্ভট চিন্তা কার মাথা থেকে এসেছে সেটা একটা প্রশ্ন।

প্রভূত উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনের নামে প্রকৃতি ধ্বংসের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু করতে হলে গাছ রক্ষা করেই করতে হবে। এজন্য সমীক্ষা করতে হবে। সমীক্ষা অনুযায়ী গাছ কাটার প্রয়োজন পড়লে সে বিষয়ে জনগণকে বিস্তারিত জানাতে হবে।

back to top