alt

opinion » editorial

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

: বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও জলোচ্ছ্বাস ও বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এর মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ধসে গেছে প্রায় শতাধিক বেড়িবাঁধ। এছাড়া জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বরগুনার ২৬টি গ্রাম, বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে পটুয়াখালীর ৩৪টি গ্রাম, ৩-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ফেনীতে পানিতে ডুবে মারা গেছেন এক জেলে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল ও ঝিনাইদহে ঝড়ো হাওয়ায় অর্ধশত বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে সারা দেশে প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বলে স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানান।

আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল যে, ইয়াস সরাসরি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে না। তবে এর প্রভাব পড়বে। তারপরেও উপকূলের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করার মতো। এর প্রভাবে জোয়ারের পানিতে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

করোনাকালে এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেশের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য এক বাড়তি দুর্যোগ। আয় কমে যাওয়ার এই সময়ে ক্ষেতের ফল-ফসল, বাড়িঘর ঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মানুষকে সমস্যায় ফেলেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সাড়ে ১৬ হাজার প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিবেচনায় এর পরিমাণ যথেষ্ট নয়। পানিবন্দী সব মানুষের জীবনধারণের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন ও অবস্থাসম্পন্নদের এগিয়ে আসা উচিত।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যারা আশ্রয়হীন হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িগুলোর বেশিরভাগই কাঁচা। উপকূলীয় এলাকায় পাকা ঘর গড়ে তোলা গেলে মানুষের আশ্রয়স্থল আরও নিরাপদ হতে পারে। বিষয়টি সরকারকে সক্রিয়ভাবে ভেবে দেখতে হবে।

কোন ঘূর্ণিঝড়ের পরে ক্ষতিগ্রস্ত ও অরক্ষিত বাঁধগুলো দিয়ে জোয়ারের পানি অবাধে ঢুকে আরেকটি বিপর্যয় তৈরি করে। যা আইলা ও সিডরের পরে উপকূলবাসীকে বেশ ভুগিয়েছে। এবারও একই ঘটনা ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো দ্রুত সংস্কার করা উচিত। বাঁধ সংস্কারে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বহু কৃষক ও খামারি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা চাইব, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াক। কোন কৃষক বা খামারির যদি ঋণ থাকে তবে সে ঋণ মওকুফ করতে হবে।

উপকূলে সুপেয় পানির সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। এ সংকট দূর করার জন্য পানির প্ল্যান্ট স্থাপনের দাবি উঠেছে। এ দাবি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও জলোচ্ছ্বাস ও বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এর মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ধসে গেছে প্রায় শতাধিক বেড়িবাঁধ। এছাড়া জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বরগুনার ২৬টি গ্রাম, বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে পটুয়াখালীর ৩৪টি গ্রাম, ৩-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ফেনীতে পানিতে ডুবে মারা গেছেন এক জেলে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল ও ঝিনাইদহে ঝড়ো হাওয়ায় অর্ধশত বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে সারা দেশে প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বলে স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানান।

আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল যে, ইয়াস সরাসরি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে না। তবে এর প্রভাব পড়বে। তারপরেও উপকূলের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করার মতো। এর প্রভাবে জোয়ারের পানিতে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

করোনাকালে এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেশের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য এক বাড়তি দুর্যোগ। আয় কমে যাওয়ার এই সময়ে ক্ষেতের ফল-ফসল, বাড়িঘর ঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মানুষকে সমস্যায় ফেলেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সাড়ে ১৬ হাজার প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিবেচনায় এর পরিমাণ যথেষ্ট নয়। পানিবন্দী সব মানুষের জীবনধারণের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন ও অবস্থাসম্পন্নদের এগিয়ে আসা উচিত।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যারা আশ্রয়হীন হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িগুলোর বেশিরভাগই কাঁচা। উপকূলীয় এলাকায় পাকা ঘর গড়ে তোলা গেলে মানুষের আশ্রয়স্থল আরও নিরাপদ হতে পারে। বিষয়টি সরকারকে সক্রিয়ভাবে ভেবে দেখতে হবে।

কোন ঘূর্ণিঝড়ের পরে ক্ষতিগ্রস্ত ও অরক্ষিত বাঁধগুলো দিয়ে জোয়ারের পানি অবাধে ঢুকে আরেকটি বিপর্যয় তৈরি করে। যা আইলা ও সিডরের পরে উপকূলবাসীকে বেশ ভুগিয়েছে। এবারও একই ঘটনা ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো দ্রুত সংস্কার করা উচিত। বাঁধ সংস্কারে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বহু কৃষক ও খামারি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা চাইব, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াক। কোন কৃষক বা খামারির যদি ঋণ থাকে তবে সে ঋণ মওকুফ করতে হবে।

উপকূলে সুপেয় পানির সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। এ সংকট দূর করার জন্য পানির প্ল্যান্ট স্থাপনের দাবি উঠেছে। এ দাবি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

back to top