alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গ্যাসকূপ খননে বাপেক্স কেন নয়

: মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিজেএসসি গাজপ্রম দেশের ১০টি গ্যাসকূপ খননের দায়িত্ব পেয়েছিল ২০১২ সালে। খননের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে কূপ প্রতি গড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। তাদের খনন করা পাঁচটি কূপ বালু আর পানি উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ হওয়া কূপগুলোকে গ্যাস উত্তোলনের উপযোগী করার দায়িত্ব তখন নিতে হয়েছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (বাপেক্স)। কূপ খননে বাপেক্সের খরচ হয় ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা।

বাড়তি খরচ আর তিক্ত-অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও গাজপ্রমকে টার্ন-কি পদ্ধতিতে ভোলার তিনটি গ্যাসকূপ খননের কাজ দেয়া হলো। এজন্য তাদের দেয়া হবে প্রায় ৬৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাপেক্সকে পাশ কাটিয়ে আবারও গাজপ্রমকে বাড়তি ব্যয়ে কাজ দেয়া হল সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা যে হিসাব দিয়েছেন তাতে, বাপেক্স কূপ খননের কাজ পেলে রাষ্ট্রের ব্যয় কমত ৪০০ কোটি টাকারও বেশি।

কূপ খননে বাপেক্সের অভিজ্ঞতা বা সাফল্য কম নয়। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী, পাঁচটি কূপ খনন করে একটিতে গ্যাস পাওয়াকেই সাফল্য বলে ধরা হয়। বাপেক্স এ পর্যন্ত কূপ খনন করেছে ১২টি যার ৭টিতে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। ভোলা গ্যাসক্ষেত্র বাপেক্সেরই আবিষ্কার। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি ভোলায় গ্যাস উত্তোলন করছে। সম্প্রতি শ্রীকাইলে নিজস্ব জনবল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংস্থাটি সফলভাবে ঝুঁকিপূর্ণ (উচ্চচাপ) গ্যাসকূপ ওয়ার্কওভার করেছে।

সক্ষমতা আছে, অভিজ্ঞতা আছে, সাফল্য আছে খরচও কম- তারপরও বাপেক্সকে কেন কাজ দেয়া হলো না সেটা এক রহস্য। অভিযোগ রয়েছে, চড়া দামে ভিনদেশী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া গেলে স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠীর কমিশন বাণিজ্যে সুবিধা হয়। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা জরুরি। কারণ বিদেশি কোম্পানিকে দেয়া চড়া মূল্যের ভার শেষ পর্যন্ত জনগণকেই বহন করতে হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গ্যাসকূপ খননে বাপেক্স কেন নয়

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিজেএসসি গাজপ্রম দেশের ১০টি গ্যাসকূপ খননের দায়িত্ব পেয়েছিল ২০১২ সালে। খননের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে কূপ প্রতি গড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। তাদের খনন করা পাঁচটি কূপ বালু আর পানি উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ হওয়া কূপগুলোকে গ্যাস উত্তোলনের উপযোগী করার দায়িত্ব তখন নিতে হয়েছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (বাপেক্স)। কূপ খননে বাপেক্সের খরচ হয় ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা।

বাড়তি খরচ আর তিক্ত-অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও গাজপ্রমকে টার্ন-কি পদ্ধতিতে ভোলার তিনটি গ্যাসকূপ খননের কাজ দেয়া হলো। এজন্য তাদের দেয়া হবে প্রায় ৬৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাপেক্সকে পাশ কাটিয়ে আবারও গাজপ্রমকে বাড়তি ব্যয়ে কাজ দেয়া হল সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা যে হিসাব দিয়েছেন তাতে, বাপেক্স কূপ খননের কাজ পেলে রাষ্ট্রের ব্যয় কমত ৪০০ কোটি টাকারও বেশি।

কূপ খননে বাপেক্সের অভিজ্ঞতা বা সাফল্য কম নয়। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী, পাঁচটি কূপ খনন করে একটিতে গ্যাস পাওয়াকেই সাফল্য বলে ধরা হয়। বাপেক্স এ পর্যন্ত কূপ খনন করেছে ১২টি যার ৭টিতে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। ভোলা গ্যাসক্ষেত্র বাপেক্সেরই আবিষ্কার। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি ভোলায় গ্যাস উত্তোলন করছে। সম্প্রতি শ্রীকাইলে নিজস্ব জনবল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংস্থাটি সফলভাবে ঝুঁকিপূর্ণ (উচ্চচাপ) গ্যাসকূপ ওয়ার্কওভার করেছে।

সক্ষমতা আছে, অভিজ্ঞতা আছে, সাফল্য আছে খরচও কম- তারপরও বাপেক্সকে কেন কাজ দেয়া হলো না সেটা এক রহস্য। অভিযোগ রয়েছে, চড়া দামে ভিনদেশী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া গেলে স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠীর কমিশন বাণিজ্যে সুবিধা হয়। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা জরুরি। কারণ বিদেশি কোম্পানিকে দেয়া চড়া মূল্যের ভার শেষ পর্যন্ত জনগণকেই বহন করতে হয়।

back to top