alt

opinion » editorial

মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতির কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

: বুধবার, ০২ জুন ২০২১

রাজধানীতে লাইসার্জিস এসিড ডাইথ্যালমাইড বা (এলএসডি) নামক মাদকের বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে বেশ কয়েকটি চক্র। যাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিদেশ থেকে কুরিয়ার পার্সেল অথবা অন্য পণ্যের সঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে এলএসডি। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অভিযানে খিলগাঁও এবং ভাটারা এলাকা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রকে গ্রেপ্তারে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ওই ছাত্র এলএসডি সেবন করত আর এলএসডি সেবনের প্রভাবে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করে।

রাজধানীতে এলএসডি মাদকের বিস্তারের খবরটি উদ্বেগজনক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শুধু এলএসডিই নয়, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের বিস্তার লক্ষ্য করা গেছে। তরুণদের একটি বড় অংশ এই আত্মঘাতী আসক্তির শিকার। এক্ষেত্রে এলাকাও সীমাবদ্ধ নেই-রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত গোটা দেশেই মাদকাসক্তি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল ২০১৮ সালের ৪ মে। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে শতাধিক সন্দেহভাজন মাদক কারবারি মারা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এরপরও দেশ থেকে মাদক নির্মূল হয়নি। কেন এখনও হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়, সেটা একটা প্রশ্ন। এই ব্যর্থতার কারণ বহুমাত্রিক। প্রথমত, দেশগুলো মাদকাসক্তির কারণগুলো খতিয়ে না দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বলপ্রয়োগ করে বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মাদক সমস্যার মূল উৎস এবং সরবরাহ চেইন ধ্বংস না করে বিপণন ও বিতরণ পর্যায়ে অভিযান চালানো হয়েছে। ফলে মাঠপর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা মাদকসেবীরা বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে, কিন্তু মাদক ব্যবসার রাঘব-বোয়ালরা পার পেয়ে গেছে।

মাদক নির্মূল করতে হলে সত্যিকার অর্থেই জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন দরকার। মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা গডফাদার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। মাদকাসক্তি স্থায়ী রূপ ধারণ করেছে মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতার কারণ। সীমান্তপথে মাদক চোরাচালান ও দেশের ভেতরে মাদকদ্রব্যের কেনাবেচা বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে বিজিবি, পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। মাদকাসক্তি দূর করার জন্য সামাজিক ও পারিবারিক প্রচেষ্টাও দরকার। প্রতিটি পরিবারের সন্তানদের দিকে দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন; খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতির কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

বুধবার, ০২ জুন ২০২১

রাজধানীতে লাইসার্জিস এসিড ডাইথ্যালমাইড বা (এলএসডি) নামক মাদকের বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে বেশ কয়েকটি চক্র। যাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিদেশ থেকে কুরিয়ার পার্সেল অথবা অন্য পণ্যের সঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে এলএসডি। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অভিযানে খিলগাঁও এবং ভাটারা এলাকা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রকে গ্রেপ্তারে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ওই ছাত্র এলএসডি সেবন করত আর এলএসডি সেবনের প্রভাবে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করে।

রাজধানীতে এলএসডি মাদকের বিস্তারের খবরটি উদ্বেগজনক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শুধু এলএসডিই নয়, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের বিস্তার লক্ষ্য করা গেছে। তরুণদের একটি বড় অংশ এই আত্মঘাতী আসক্তির শিকার। এক্ষেত্রে এলাকাও সীমাবদ্ধ নেই-রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত গোটা দেশেই মাদকাসক্তি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল ২০১৮ সালের ৪ মে। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে শতাধিক সন্দেহভাজন মাদক কারবারি মারা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এরপরও দেশ থেকে মাদক নির্মূল হয়নি। কেন এখনও হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়, সেটা একটা প্রশ্ন। এই ব্যর্থতার কারণ বহুমাত্রিক। প্রথমত, দেশগুলো মাদকাসক্তির কারণগুলো খতিয়ে না দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বলপ্রয়োগ করে বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মাদক সমস্যার মূল উৎস এবং সরবরাহ চেইন ধ্বংস না করে বিপণন ও বিতরণ পর্যায়ে অভিযান চালানো হয়েছে। ফলে মাঠপর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা মাদকসেবীরা বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে, কিন্তু মাদক ব্যবসার রাঘব-বোয়ালরা পার পেয়ে গেছে।

মাদক নির্মূল করতে হলে সত্যিকার অর্থেই জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন দরকার। মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা গডফাদার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। মাদকাসক্তি স্থায়ী রূপ ধারণ করেছে মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতার কারণ। সীমান্তপথে মাদক চোরাচালান ও দেশের ভেতরে মাদকদ্রব্যের কেনাবেচা বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে বিজিবি, পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। মাদকাসক্তি দূর করার জন্য সামাজিক ও পারিবারিক প্রচেষ্টাও দরকার। প্রতিটি পরিবারের সন্তানদের দিকে দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন; খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

back to top