alt

opinion » editorial

প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর মিছিলে ওয়াসা

: শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১

প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের বেশিরভাগ সংস্থার মধ্যে সময় ও ব্যয় বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর মিছিলে যোগ দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। প্রতিষ্ঠানটির চলমান ১০ প্রকল্পের ৮টির কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়া প্রকল্পগুলোর মেয়াদ একে একে বাড়ানো হচ্ছে। এর সঙ্গে অবধারিতভাবে বাড়ছে ব্যয়। ইতোমধ্যে চারটি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ১০ প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা, যা আগে ছিল ২৬ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকল্পের গতি কেন ধীর আর ব্যয় কেন বাড়ছে সেটার একটি ব্যাখ্যা গণমাধ্যমকে দিয়েছে ওয়াসা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সরকার ও দাতা সংস্থার বিধিবিধান, রাস্তা খননের অনুমতি, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ও করোনা মহামারির মতো কারণে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আমরা জানতে চাইব, প্রকল্প হাতে নেয়ার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল কিনা। রাস্তা খুঁড়তে যে অনুমতি লাগবে বা জমি অধিগ্রহণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার- সেটা প্রকল্প হাতে নেয়ার সময়ই বিবেচনায় নেয়া এবং সে অনুযায়ী মেয়াদ ও ব্যয় নির্ধারণ করার কথা।

সরকার ও দাতা সংস্থার বিধিবিধানের কারণে নাকি প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের অযোগ্যতা-অদক্ষতা আর অনিয়মের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হয়- সেটা গবেষণার বিষয় হতে পারে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে ওয়াসার প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়া ও প্রকল্প ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারীর ওপর কারও হাত নেই। মহামারী চলাকালে ওয়াসা পানির দাম বাড়াতে পারল কিন্তু একটি প্রকল্পের কাজেও কাক্সিক্ষত অগ্রগতি ঘটাতে পারল না।

ওয়াসার কাজের সঙ্গে নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তির প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কাজে দেরি হলে নাগরিকদের সুপেয় পানি পাওয়া বা পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে। যথাসময়ে যথা কাজ করে নাগরিকদের অসন্তোষ দূর করার কোন চেষ্টা ওয়াসার আছে বলে মনে হয় না।

প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ঢালাওভাবে মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর মিছিলে ওয়াসা

শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১

প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের বেশিরভাগ সংস্থার মধ্যে সময় ও ব্যয় বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর মিছিলে যোগ দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। প্রতিষ্ঠানটির চলমান ১০ প্রকল্পের ৮টির কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়া প্রকল্পগুলোর মেয়াদ একে একে বাড়ানো হচ্ছে। এর সঙ্গে অবধারিতভাবে বাড়ছে ব্যয়। ইতোমধ্যে চারটি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ১০ প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা, যা আগে ছিল ২৬ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকল্পের গতি কেন ধীর আর ব্যয় কেন বাড়ছে সেটার একটি ব্যাখ্যা গণমাধ্যমকে দিয়েছে ওয়াসা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সরকার ও দাতা সংস্থার বিধিবিধান, রাস্তা খননের অনুমতি, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ও করোনা মহামারির মতো কারণে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আমরা জানতে চাইব, প্রকল্প হাতে নেয়ার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল কিনা। রাস্তা খুঁড়তে যে অনুমতি লাগবে বা জমি অধিগ্রহণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার- সেটা প্রকল্প হাতে নেয়ার সময়ই বিবেচনায় নেয়া এবং সে অনুযায়ী মেয়াদ ও ব্যয় নির্ধারণ করার কথা।

সরকার ও দাতা সংস্থার বিধিবিধানের কারণে নাকি প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের অযোগ্যতা-অদক্ষতা আর অনিয়মের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হয়- সেটা গবেষণার বিষয় হতে পারে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে ওয়াসার প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়া ও প্রকল্প ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারীর ওপর কারও হাত নেই। মহামারী চলাকালে ওয়াসা পানির দাম বাড়াতে পারল কিন্তু একটি প্রকল্পের কাজেও কাক্সিক্ষত অগ্রগতি ঘটাতে পারল না।

ওয়াসার কাজের সঙ্গে নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তির প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কাজে দেরি হলে নাগরিকদের সুপেয় পানি পাওয়া বা পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে। যথাসময়ে যথা কাজ করে নাগরিকদের অসন্তোষ দূর করার কোন চেষ্টা ওয়াসার আছে বলে মনে হয় না।

প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ঢালাওভাবে মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

back to top