alt

opinion » editorial

ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট

উদাসীন হলে চড়া মূল্য দিতে হবে

: সোমবার, ০৭ জুন ২০২১

চলতি মাসে দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারা বলছে, দেশে করোনার ভারতীয় বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণ ঘটছে। এ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশঙ্কা, করোনার সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে।

সীমান্তবর্তী জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলায়ও ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঘটছে। করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগী, শনাক্তের হার, মৃত্যু ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। করোনার সংক্রমণ শনাক্তের হার আবার ১১ শতাংশে উঠেছে। কিছু দিন আগেও সংক্রমণের হার ছিল ৬-৭ শতাংশ। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কোভিডের রোগী বাড়তে শুরু করার দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী হয়। করোনার সংক্রমণ বাড়া মানে অবধারিতভাবে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়া। প্রতিবেশী ভারতকে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহ চাপ মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমরা চাই না, বাংলাদেশ এমন চাপে পড়–ক। বিশ্বজুড়ে করোনার যে প্রবণতা তাতে এর সংক্রমণ বন্ধ করা এখন পর্যন্ত অসম্ভব। তবে সংক্রমণের গতিকে যদি ধীর করা যায় তাহলেও হয়তো বড় কোন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। এজন্য জরুরি হচ্ছে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। এ ছাড়া করোনা মোকাবিলার মোক্ষম আর কোন অস্ত্র এ মুহূর্তে আমাদের নেই।

করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে সীমান্তবর্তী দুটি জেলা পূর্ণ এবং সাতটি জেলায় এলাকাভিত্তিক ‘লকডাউন’ দেয়া হয়েছে। তবে লকডাউন ঘোষণা করাই যথেষ্ট নয়, তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ এপ্রিল সারা দেশে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ১৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে। তবে বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে মানুষের উদাসীনতা রয়েছে। এ উদাসীনতা চলতে থাকলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সীমান্তে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। সীমান্ত এলাকায় করোনার টেস্ট ও কন্টাক্ট ট্রেসিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় রোগী ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর নির্ধারিত কোন কোন হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক হাসপাতালেই নেই আইসিইউ। করোনার জন্য আরও হাসপাতাল বাড়ানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী হাসপাতাল করা যেতে পারে। সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নিশ্চিত করতে হবে। সব হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে জরুরিভাবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট

উদাসীন হলে চড়া মূল্য দিতে হবে

সোমবার, ০৭ জুন ২০২১

চলতি মাসে দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারা বলছে, দেশে করোনার ভারতীয় বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণ ঘটছে। এ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশঙ্কা, করোনার সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে।

সীমান্তবর্তী জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলায়ও ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঘটছে। করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগী, শনাক্তের হার, মৃত্যু ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। করোনার সংক্রমণ শনাক্তের হার আবার ১১ শতাংশে উঠেছে। কিছু দিন আগেও সংক্রমণের হার ছিল ৬-৭ শতাংশ। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কোভিডের রোগী বাড়তে শুরু করার দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী হয়। করোনার সংক্রমণ বাড়া মানে অবধারিতভাবে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়া। প্রতিবেশী ভারতকে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহ চাপ মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমরা চাই না, বাংলাদেশ এমন চাপে পড়–ক। বিশ্বজুড়ে করোনার যে প্রবণতা তাতে এর সংক্রমণ বন্ধ করা এখন পর্যন্ত অসম্ভব। তবে সংক্রমণের গতিকে যদি ধীর করা যায় তাহলেও হয়তো বড় কোন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। এজন্য জরুরি হচ্ছে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। এ ছাড়া করোনা মোকাবিলার মোক্ষম আর কোন অস্ত্র এ মুহূর্তে আমাদের নেই।

করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে সীমান্তবর্তী দুটি জেলা পূর্ণ এবং সাতটি জেলায় এলাকাভিত্তিক ‘লকডাউন’ দেয়া হয়েছে। তবে লকডাউন ঘোষণা করাই যথেষ্ট নয়, তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ এপ্রিল সারা দেশে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ১৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে। তবে বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে মানুষের উদাসীনতা রয়েছে। এ উদাসীনতা চলতে থাকলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সীমান্তে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। সীমান্ত এলাকায় করোনার টেস্ট ও কন্টাক্ট ট্রেসিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় রোগী ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর নির্ধারিত কোন কোন হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক হাসপাতালেই নেই আইসিইউ। করোনার জন্য আরও হাসপাতাল বাড়ানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী হাসপাতাল করা যেতে পারে। সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নিশ্চিত করতে হবে। সব হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে জরুরিভাবে।

back to top