alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নদী দূষণ বন্ধে চাই জোরালো উদ্যোগ

: সোমবার, ০৭ জুন ২০২১

যত দিন গড়াচ্ছে রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ততোই বাড়ছে। নদী দূষণ পরিমাপের অন্যতম মাপকাঠি হলো পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মান। মানসম্পন্ন প্রতি লিটার পানিতে ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) থাকতে হয়। এ বছরের মার্চে মিরপুরে বুড়িগঙ্গা সেতুর কাছে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ০.৩২ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১.৮৮ শতাংশ কম। গত বছর ৩.২ শতাংশ ডিও থাকা তুরাগের পানির মানও নেমেছে অর্ধেকে। শিল্পকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের ফলে দুই দশক ধরে রাজধানীর নদী দখল ও দূষণ ঘটেছে ব্যাপক হারে।

২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্টে দেয়া এক আদেশে নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ বলা হয়েছে। আদালত বলা হয়েছে, মানুষ বা প্রাণী যেমন কিছু আইনি অধিকার পায় তেমনি নদ-নদীও যেন অধিকার পায়। ঢাকার চারপাশের নদীগুলো এখন দূষণ আর দখলে বিপর্যস্ত হয়ে মৃত প্রায়। নদীর অভ্যন্তরে প্রাণের অস্তিত্ব মেলে না। এর উপরিভাগে মানুষের চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। রাজধানীর সদরঘাট থেকে গাবতলীতে বিআইডাব্লিউটিসির চলাচল করা ১২টি ওয়াটার বাসের মধ্যে ১০টি বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, নদীর পানির দুর্গন্ধে ওয়াটার বাসে যাত্রী মেলে না।

শিল্পবর্জ্য, পয়োবর্জ্য, দুই সিটির কঠিন বর্জ্য এবং নৌযানের বর্জ্য-এ চারটি বড় উৎসকে নদী দূষণের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়। নদী দূষণের উৎস যেমন একাধিক তেমনি দূষণ রোধ ও তদারকী করার কর্তৃপক্ষও একাধিক। পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে ঢাকা ওয়াসা, শিল্প কারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশ অধিদপ্তর, কঠিন বর্জ্য অপসারণ ও পরিশোধন করার দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের আর নৌযানের বর্জ্য অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব বিআইডাব্লিউটিএ’র। সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষই যথাযথ দায়িত্ব পালন করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা একে অপরের ওপর দায় চাপায়। তাদের দায়িত্ব কী সেটা যখন স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় তখন তারা লোকবল সংকটসহ নানান সংকটের কথা বলে দায় সারেন।

আমরা জানতে চাই লোকবল এবং সামর্থ্য যতটুক আছে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার কী কর্তৃপক্ষ করছে? নদী দূষণ প্রশ্নে দায় চাপানোর এ খেলা বন্ধ করতে হবে। দখল ও দূষণ বন্ধে যার যা দায়িত্ব আছে সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই পালন করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

নদী দূষণ বন্ধে একাধিক প্রকল্পের কথা শোনা যায়। কিন্তু এসব কবে বাস্তবায়ন হবে আর কবে দূষণ বন্ধ হবে, প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা পাবে সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতের অনেক মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে যার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। আমরা বলতে চাই, নদী দূষণ রোধে নেয়া প্রকল্পগুলোর কাজের গতি তরান্বিত করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নদী দখল ও দূষণের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করাও জরুরি।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নদী দূষণ বন্ধে চাই জোরালো উদ্যোগ

সোমবার, ০৭ জুন ২০২১

যত দিন গড়াচ্ছে রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ততোই বাড়ছে। নদী দূষণ পরিমাপের অন্যতম মাপকাঠি হলো পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মান। মানসম্পন্ন প্রতি লিটার পানিতে ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) থাকতে হয়। এ বছরের মার্চে মিরপুরে বুড়িগঙ্গা সেতুর কাছে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ০.৩২ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১.৮৮ শতাংশ কম। গত বছর ৩.২ শতাংশ ডিও থাকা তুরাগের পানির মানও নেমেছে অর্ধেকে। শিল্পকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের ফলে দুই দশক ধরে রাজধানীর নদী দখল ও দূষণ ঘটেছে ব্যাপক হারে।

২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্টে দেয়া এক আদেশে নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ বলা হয়েছে। আদালত বলা হয়েছে, মানুষ বা প্রাণী যেমন কিছু আইনি অধিকার পায় তেমনি নদ-নদীও যেন অধিকার পায়। ঢাকার চারপাশের নদীগুলো এখন দূষণ আর দখলে বিপর্যস্ত হয়ে মৃত প্রায়। নদীর অভ্যন্তরে প্রাণের অস্তিত্ব মেলে না। এর উপরিভাগে মানুষের চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। রাজধানীর সদরঘাট থেকে গাবতলীতে বিআইডাব্লিউটিসির চলাচল করা ১২টি ওয়াটার বাসের মধ্যে ১০টি বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, নদীর পানির দুর্গন্ধে ওয়াটার বাসে যাত্রী মেলে না।

শিল্পবর্জ্য, পয়োবর্জ্য, দুই সিটির কঠিন বর্জ্য এবং নৌযানের বর্জ্য-এ চারটি বড় উৎসকে নদী দূষণের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়। নদী দূষণের উৎস যেমন একাধিক তেমনি দূষণ রোধ ও তদারকী করার কর্তৃপক্ষও একাধিক। পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে ঢাকা ওয়াসা, শিল্প কারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশ অধিদপ্তর, কঠিন বর্জ্য অপসারণ ও পরিশোধন করার দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের আর নৌযানের বর্জ্য অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব বিআইডাব্লিউটিএ’র। সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষই যথাযথ দায়িত্ব পালন করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা একে অপরের ওপর দায় চাপায়। তাদের দায়িত্ব কী সেটা যখন স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় তখন তারা লোকবল সংকটসহ নানান সংকটের কথা বলে দায় সারেন।

আমরা জানতে চাই লোকবল এবং সামর্থ্য যতটুক আছে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার কী কর্তৃপক্ষ করছে? নদী দূষণ প্রশ্নে দায় চাপানোর এ খেলা বন্ধ করতে হবে। দখল ও দূষণ বন্ধে যার যা দায়িত্ব আছে সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই পালন করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

নদী দূষণ বন্ধে একাধিক প্রকল্পের কথা শোনা যায়। কিন্তু এসব কবে বাস্তবায়ন হবে আর কবে দূষণ বন্ধ হবে, প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা পাবে সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতের অনেক মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে যার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। আমরা বলতে চাই, নদী দূষণ রোধে নেয়া প্রকল্পগুলোর কাজের গতি তরান্বিত করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নদী দখল ও দূষণের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করাও জরুরি।

back to top