alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নিরাপদ খাদ্য প্রসঙ্গে

: মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১

নিরাপদ খাদ্য একটি জাতীয় প্রত্যাশায় পরিণত হয়েছে। সুস্থ জীবনের অবিকল্প অনুষঙ্গ নিরাপদ খাদ্য। কিন্তু আমরা প্রতিদিন যা খাচ্ছি তা কতটুকু নিরাপদ? উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবারের প্লেটে পৌঁছানো পর্যন্ত নানা স্তরে নানা মাত্রায় খাদ্যে ভেজাল ও কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। খাদ্যের আরেকটি বড় বিপদ হচ্ছে ট্রান্সফ্যাট। খাবারে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।

স্বাস্থ্যকর আগামীর প্রত্যাশায় আজকে নিরাপদ খাবার- এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল সোমবার পালিত হয়েছে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের ব্যবহার ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত সেই প্রশ্ন উঠেছে। ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ তৈরি করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবে সেটি চূড়ান্ত হতে আরও মাস ছয়েক সময় লাগবে। বিধিমালা তৈরি হলেই যে সমস্যার সমাধান হবে তা নয়। সেটা বাস্তবায়ন করা একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা ২ পার্সেন্টের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে কমপক্ষে আরও ৫ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। যারা খাদ্য প্রক্রিয়াজতকরণের সঙ্গে যুক্ত তাদের সহযোগিতা ছাড়া ট্রান্সফ্যাটের বিপদ মোকাবিলা করা কঠিন হবে।

ট্রান্সফ্যাটের বিপদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। প্রক্রিয়াজত খাবার মানবদেহের কী ক্ষতি করে সেটা জানাতে হবে। সুস্থ জীবনের জন্য সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।

নিরাপদ খাদ্য পাবার পথে ভেজাল ও কীটনাশকের মতো বিপদও মোকাবিলা করা জরুরি। ভেজাল রোধে দেশে আইন রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য আইন করা হয়েছে ২০১৩ সালে। আইনের বাস্তবায়নের জন্য গঠন করা হয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এখন জরুরি হচ্ছে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা। নিরাপদ খাদ্যের অধিকার মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। নাগরিকদের এই অধিকার রক্ষায় সরকারকে কঠোর হতে হবে।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নিরাপদ খাদ্য প্রসঙ্গে

মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১

নিরাপদ খাদ্য একটি জাতীয় প্রত্যাশায় পরিণত হয়েছে। সুস্থ জীবনের অবিকল্প অনুষঙ্গ নিরাপদ খাদ্য। কিন্তু আমরা প্রতিদিন যা খাচ্ছি তা কতটুকু নিরাপদ? উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবারের প্লেটে পৌঁছানো পর্যন্ত নানা স্তরে নানা মাত্রায় খাদ্যে ভেজাল ও কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। খাদ্যের আরেকটি বড় বিপদ হচ্ছে ট্রান্সফ্যাট। খাবারে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।

স্বাস্থ্যকর আগামীর প্রত্যাশায় আজকে নিরাপদ খাবার- এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল সোমবার পালিত হয়েছে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের ব্যবহার ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত সেই প্রশ্ন উঠেছে। ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ তৈরি করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবে সেটি চূড়ান্ত হতে আরও মাস ছয়েক সময় লাগবে। বিধিমালা তৈরি হলেই যে সমস্যার সমাধান হবে তা নয়। সেটা বাস্তবায়ন করা একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা ২ পার্সেন্টের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে কমপক্ষে আরও ৫ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। যারা খাদ্য প্রক্রিয়াজতকরণের সঙ্গে যুক্ত তাদের সহযোগিতা ছাড়া ট্রান্সফ্যাটের বিপদ মোকাবিলা করা কঠিন হবে।

ট্রান্সফ্যাটের বিপদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। প্রক্রিয়াজত খাবার মানবদেহের কী ক্ষতি করে সেটা জানাতে হবে। সুস্থ জীবনের জন্য সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।

নিরাপদ খাদ্য পাবার পথে ভেজাল ও কীটনাশকের মতো বিপদও মোকাবিলা করা জরুরি। ভেজাল রোধে দেশে আইন রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য আইন করা হয়েছে ২০১৩ সালে। আইনের বাস্তবায়নের জন্য গঠন করা হয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এখন জরুরি হচ্ছে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা। নিরাপদ খাদ্যের অধিকার মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। নাগরিকদের এই অধিকার রক্ষায় সরকারকে কঠোর হতে হবে।

back to top