alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গ্যাং কালচার থেকে শিশু-কিশোরদের ফেরাতে হবে

: বুধবার, ০৯ জুন ২০২১

দেশের অনেক জায়গাতেই কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। রাজধানীর বাইরেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধের কথা জানা যায়। গত রোববার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের সবাইকে পরে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়।

হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গত এক বছরে ঢাকায় অন্তত পাঁচটি হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে কিশোর গ্যাং। ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে কিশোর গ্যাং রয়েছে কমবেশি ৪০টি।

প্রশ্ন হচ্ছে, কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠে কীভাবে, সেখানে যোগ দেয় কারা, আর তাদের আশ্রয়-প্রশয়ইবা দেয় কারা। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাসহ স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ব্যবহার করে। সম্প্রতি ‘ডি কোম্পানি’ নামক টঙ্গীর একটি কিশোর গ্যাংকে পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগে লন্ডন ফেরত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দেশে মাদক আর অস্ত্র সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। যেসব কিশোর অপরাধ জগতে পা বাড়ায় তাদের বড় একটি অংশই কোন না কোনভাবে মাদকসেবী বলে জানা যায়।

পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা আপন পরিবেশে যথেষ্ট মনোযোগ না পাওয়া শিশু-কিশোররা গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গ্যাং কালচার আরও তীব্র হয়েছে।

গ্যাং কালচার থেকে শিশু-কিশোরদের ফেরাতে হবে। কিশোর গ্যাং দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে। তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। মাদকমুক্ত এমন এক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে শিশু-কিশোররা অপরাধী হওয়ার সুযোগ পাবে না। সমাজ ও রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেউ যেন শিশু-কিশোরদের বিপথগামী করতে না পারে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার থাকতে হবে। সমাজে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বাড়াতে হবে।

শিশু-কিশোরদের অপরাধপ্রবণতা থেকে রক্ষা করতে পরিবারগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে। সন্তান যেন একা বা বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে অভিভাবকদেরকেই। সন্তান যেন গুণগত সময় ও আদর্শ পরিবেশ পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে মা-বাবাকে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গ্যাং কালচার থেকে শিশু-কিশোরদের ফেরাতে হবে

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১

দেশের অনেক জায়গাতেই কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। রাজধানীর বাইরেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধের কথা জানা যায়। গত রোববার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের সবাইকে পরে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়।

হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গত এক বছরে ঢাকায় অন্তত পাঁচটি হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে কিশোর গ্যাং। ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে কিশোর গ্যাং রয়েছে কমবেশি ৪০টি।

প্রশ্ন হচ্ছে, কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠে কীভাবে, সেখানে যোগ দেয় কারা, আর তাদের আশ্রয়-প্রশয়ইবা দেয় কারা। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাসহ স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ব্যবহার করে। সম্প্রতি ‘ডি কোম্পানি’ নামক টঙ্গীর একটি কিশোর গ্যাংকে পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগে লন্ডন ফেরত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দেশে মাদক আর অস্ত্র সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। যেসব কিশোর অপরাধ জগতে পা বাড়ায় তাদের বড় একটি অংশই কোন না কোনভাবে মাদকসেবী বলে জানা যায়।

পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা আপন পরিবেশে যথেষ্ট মনোযোগ না পাওয়া শিশু-কিশোররা গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গ্যাং কালচার আরও তীব্র হয়েছে।

গ্যাং কালচার থেকে শিশু-কিশোরদের ফেরাতে হবে। কিশোর গ্যাং দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে। তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। মাদকমুক্ত এমন এক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে শিশু-কিশোররা অপরাধী হওয়ার সুযোগ পাবে না। সমাজ ও রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেউ যেন শিশু-কিশোরদের বিপথগামী করতে না পারে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার থাকতে হবে। সমাজে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বাড়াতে হবে।

শিশু-কিশোরদের অপরাধপ্রবণতা থেকে রক্ষা করতে পরিবারগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে। সন্তান যেন একা বা বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে অভিভাবকদেরকেই। সন্তান যেন গুণগত সময় ও আদর্শ পরিবেশ পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে মা-বাবাকে।

back to top