alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়ে মাদক নির্মূল করা যাবে না

: বুধবার, ০৯ জুন ২০২১

মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। এ নীতির আলোকে ২০১৮ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বেশ জোরেশোরে কোমর বেঁধেই অভিযানে নেমে পড়ে তারা। তবে অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক বাণিজ্যের রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। চুনোপুঁটিদের ঘিরেই চলেছে তাদের অভিযান। এমনকি নিরীহ অনেক মানুষও পুলিশের মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রংপুর নগরীর খোর্দ্দ তামফাট এলাকায়।

গত সোমবার রাতে ওই এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে নিরীহ অটোচালক আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গাঁজা পাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেন তাজহাট থানা পুলিশের এসআই আসাদ। মাদক দিয়ে অটোচালককে ফাঁসানোর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা গভীর রাত পর্যন্ত থানা ঘেরাও ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়রের হস্তক্ষেপের কারণে ছাড়া পান ওই অটোচালক। গত বুধবার এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা থাকার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। অভিযানের নামে মাদকসেবী বা খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার ও মামলা করা এমন কি মেরে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। ২০১৮ সালের ২৬ মে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে কথিত ক্রসফায়ারে মারা যান টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক। গত সোমবার রংপুরের সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে আবুল হোসেন রক্ষা পেয়েছে। তবে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অনেক ঘটনাই লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে গেছে।

মাদক দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে। রংপুরের ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য এটা জরুরি। শুধুমাত্র বরখাস্ত বা বিভাগীয় শাস্তির নামে লোক দেখানো ব্যবস্থা নিলে চলবে না।

মাদকের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে গডফাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য জরুরি হচ্ছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কারা মাদক বাণিজ্য করে তার একাধিক তালিকা সরকারের কাছে রয়েছে। ব্যবস্থা নিতে হবে তালিকা ধরে। নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়ে মাদক নির্মূল করা যাবে না।

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়ে মাদক নির্মূল করা যাবে না

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১

মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। এ নীতির আলোকে ২০১৮ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বেশ জোরেশোরে কোমর বেঁধেই অভিযানে নেমে পড়ে তারা। তবে অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক বাণিজ্যের রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। চুনোপুঁটিদের ঘিরেই চলেছে তাদের অভিযান। এমনকি নিরীহ অনেক মানুষও পুলিশের মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রংপুর নগরীর খোর্দ্দ তামফাট এলাকায়।

গত সোমবার রাতে ওই এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে নিরীহ অটোচালক আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গাঁজা পাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেন তাজহাট থানা পুলিশের এসআই আসাদ। মাদক দিয়ে অটোচালককে ফাঁসানোর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা গভীর রাত পর্যন্ত থানা ঘেরাও ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়রের হস্তক্ষেপের কারণে ছাড়া পান ওই অটোচালক। গত বুধবার এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা থাকার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। অভিযানের নামে মাদকসেবী বা খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার ও মামলা করা এমন কি মেরে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। ২০১৮ সালের ২৬ মে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে কথিত ক্রসফায়ারে মারা যান টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক। গত সোমবার রংপুরের সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে আবুল হোসেন রক্ষা পেয়েছে। তবে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অনেক ঘটনাই লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে গেছে।

মাদক দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে। রংপুরের ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য এটা জরুরি। শুধুমাত্র বরখাস্ত বা বিভাগীয় শাস্তির নামে লোক দেখানো ব্যবস্থা নিলে চলবে না।

মাদকের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে গডফাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য জরুরি হচ্ছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কারা মাদক বাণিজ্য করে তার একাধিক তালিকা সরকারের কাছে রয়েছে। ব্যবস্থা নিতে হবে তালিকা ধরে। নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়ে মাদক নির্মূল করা যাবে না।

back to top