alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পাহাড়-বন কেটে আবার কেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প

: বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলো থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ঘর তৈরি করা হয়েছে ১,৪৪০টি। ভাসানচরে ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে। লক্ষ্য অনুযায়ী দ্রুতই আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজারের ওপর শরাণার্থীদের চাপ কমবে। মায়নামার থেকে নতুন করে কোন রোহিঙ্গা সেখানে আসছে বলেও জানা যায়নি। এই অবস্থায় সেখানকার পাহাড় ও বনবিভাগের গাছ কেটে নতুন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প বানানোর প্রয়োজন পড়ল কেন?

শরণার্থী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে ইতোমধ্যে কক্সবাজারের ৮ হাজার একরেরও বেশি বনভূমি উজার হয়েছে। স্থানীয় পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে আর কোন সরকারি বনভূমি দেয়া হবে না। অথচ টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প তৈরি করার জন্য পাহাড় ও বনবিভাগের গাছ কাটা হচ্ছে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত সংবাদ-এর একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। তাদের উপস্থিতির কারণে কেবল কক্সবাজারের পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে টাকার অঙ্কে সেটা ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শরণার্থী রোহিঙ্গারা।

পরিবেশের প্রশ্ন তো রয়েছেই, পাহাড় কেটে ক্যাম্প তৈরির সঙ্গে নিরাপত্তার প্রশ্নও রয়েছে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গত শনিবার পাহাড় ধসের কারণে দুটি পৃথক ক্যাম্পের দুজন রোহিঙ্গা মারা গেছে। শরণার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্নেও পাহাড় কেটে ক্যাম্প তৈরি করা সঙ্গত নয়।

আমরা বলতে চাই, ক্যাম্প তৈরির নামে পাহাড় ও গাছ কাটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কেটে ক্যাম্প বা চরে ঘর বানিয়ে আশ্রয় দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। শরণার্থী রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে হবে। মায়ানমারে জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) গত ৩ জুন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি ঘোষণা করেছে। তারা ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের অঙ্গীকার করেছে। তাদের ঘোষণা বা অঙ্গীকারের ফলে যে রোহিঙ্গা সমস্যার নাটকীয় সমাধান হবে তা নয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর মায়ানমারের তরফ থেকে এটাই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রগতি। আমরা বলতে চাই, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথে যে কোন অগ্রগতিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কূটনৈতিক মুন্সিয়ানা দেখাতে হবে। মায়নামারের ভেতরের একটি অংশ যে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত আছে সেটাকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এতে দেশটিতে রোহিঙ্গাবিরোধী গোষ্ঠী ও তাদের আন্তর্জাতিক মিত্রদের ওপর চাপ বাড়বে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পাহাড়-বন কেটে আবার কেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প

বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলো থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ঘর তৈরি করা হয়েছে ১,৪৪০টি। ভাসানচরে ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে। লক্ষ্য অনুযায়ী দ্রুতই আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজারের ওপর শরাণার্থীদের চাপ কমবে। মায়নামার থেকে নতুন করে কোন রোহিঙ্গা সেখানে আসছে বলেও জানা যায়নি। এই অবস্থায় সেখানকার পাহাড় ও বনবিভাগের গাছ কেটে নতুন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প বানানোর প্রয়োজন পড়ল কেন?

শরণার্থী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে ইতোমধ্যে কক্সবাজারের ৮ হাজার একরেরও বেশি বনভূমি উজার হয়েছে। স্থানীয় পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে আর কোন সরকারি বনভূমি দেয়া হবে না। অথচ টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প তৈরি করার জন্য পাহাড় ও বনবিভাগের গাছ কাটা হচ্ছে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত সংবাদ-এর একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। তাদের উপস্থিতির কারণে কেবল কক্সবাজারের পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে টাকার অঙ্কে সেটা ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শরণার্থী রোহিঙ্গারা।

পরিবেশের প্রশ্ন তো রয়েছেই, পাহাড় কেটে ক্যাম্প তৈরির সঙ্গে নিরাপত্তার প্রশ্নও রয়েছে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গত শনিবার পাহাড় ধসের কারণে দুটি পৃথক ক্যাম্পের দুজন রোহিঙ্গা মারা গেছে। শরণার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্নেও পাহাড় কেটে ক্যাম্প তৈরি করা সঙ্গত নয়।

আমরা বলতে চাই, ক্যাম্প তৈরির নামে পাহাড় ও গাছ কাটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কেটে ক্যাম্প বা চরে ঘর বানিয়ে আশ্রয় দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। শরণার্থী রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে হবে। মায়ানমারে জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) গত ৩ জুন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি ঘোষণা করেছে। তারা ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের অঙ্গীকার করেছে। তাদের ঘোষণা বা অঙ্গীকারের ফলে যে রোহিঙ্গা সমস্যার নাটকীয় সমাধান হবে তা নয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর মায়ানমারের তরফ থেকে এটাই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রগতি। আমরা বলতে চাই, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথে যে কোন অগ্রগতিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কূটনৈতিক মুন্সিয়ানা দেখাতে হবে। মায়নামারের ভেতরের একটি অংশ যে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত আছে সেটাকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এতে দেশটিতে রোহিঙ্গাবিরোধী গোষ্ঠী ও তাদের আন্তর্জাতিক মিত্রদের ওপর চাপ বাড়বে।

back to top