alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি

উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ

: বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি অধিকতর কার্যকর করতে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস) প্রণয়ন করে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি নিয়ে এনএসএসএসের একটি মধ্যবর্তী উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায় ৪৬ শতাংশ ভাতাভোগী উপযুক্ত না হয়েও এ ভাতা নিচ্ছেন।

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার হিসাবে গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ১২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। মহামারীর সময় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বাড়াবে এটা প্রত্যাশিত। তবে মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়েনি।

সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, বরাদ্দ ও আওতা বাড়লে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ে। গত কয়েকটি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে, সেইসঙ্গে কাগজে-কলমে বেড়েছে উপকারভোগীর সংখ্যা। বছর বছর উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়লেও দেশের দারিদ্র্য হ্রাসে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কাক্সিক্ষত ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা সেই প্রশ্ন ওঠেছে। মাথাপিছু বরাদ্দ না বাড়ায় উপকারভোগীদের পক্ষে জীবনধারণের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোও অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাদের অনেকেই দারিদ্র্যচক্র থেকে বেরোতে পারে না। দারিদ্র্যচক্র থেকে কেউ বেরোতে পারলেও অর্থনৈতিক অভিঘাতে আবারও তারা দরিদ্র হয়ে পড়ে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা বলছে, মহামারীর সময় দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাধীন বিভিন্ন খাতে উপকারভোগী নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। স্বজনপ্রীতি আর ভোটের রাজনীতির কারণে প্রকৃত অভাবগ্রস্তরা তালিকা থেকে বাদ পড়ে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের একটি অংশ নানান কৌশলে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সরকারের অনেক ভালো কর্মসূচিই ভেস্তে যাচ্ছে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বা বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। তার চেয়ে জরুরি হচ্ছে অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে এর সুফল পৌঁছে দেয়া। উপকারভোগী নির্বাচনে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি কঠোরভাবে দমন করতে হবে। যারা কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি

উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ

বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি অধিকতর কার্যকর করতে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস) প্রণয়ন করে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি নিয়ে এনএসএসএসের একটি মধ্যবর্তী উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায় ৪৬ শতাংশ ভাতাভোগী উপযুক্ত না হয়েও এ ভাতা নিচ্ছেন।

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার হিসাবে গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ১২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। মহামারীর সময় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বাড়াবে এটা প্রত্যাশিত। তবে মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়েনি।

সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, বরাদ্দ ও আওতা বাড়লে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ে। গত কয়েকটি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে, সেইসঙ্গে কাগজে-কলমে বেড়েছে উপকারভোগীর সংখ্যা। বছর বছর উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়লেও দেশের দারিদ্র্য হ্রাসে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কাক্সিক্ষত ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা সেই প্রশ্ন ওঠেছে। মাথাপিছু বরাদ্দ না বাড়ায় উপকারভোগীদের পক্ষে জীবনধারণের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোও অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাদের অনেকেই দারিদ্র্যচক্র থেকে বেরোতে পারে না। দারিদ্র্যচক্র থেকে কেউ বেরোতে পারলেও অর্থনৈতিক অভিঘাতে আবারও তারা দরিদ্র হয়ে পড়ে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা বলছে, মহামারীর সময় দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাধীন বিভিন্ন খাতে উপকারভোগী নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। স্বজনপ্রীতি আর ভোটের রাজনীতির কারণে প্রকৃত অভাবগ্রস্তরা তালিকা থেকে বাদ পড়ে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের একটি অংশ নানান কৌশলে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সরকারের অনেক ভালো কর্মসূচিই ভেস্তে যাচ্ছে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বা বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। তার চেয়ে জরুরি হচ্ছে অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে এর সুফল পৌঁছে দেয়া। উপকারভোগী নির্বাচনে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি কঠোরভাবে দমন করতে হবে। যারা কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

back to top